চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন | Rahul IT BD

চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ ও চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না তাই এ বিষয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। তাই এই আর্টিকেলটিতে এর পুষ্টিগুণ এবং খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
সুতরাং আপনি সে বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ এই আর্টিকেলটিতে চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চিয়া সিড মানব শরীরের জন্য খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞরা এই বীজকে সুপার ফুড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বর্তমানে আমাদের দেশে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের সংখ্যা অনেক বেড়েই চলেছে। 

সেক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত পরিমান মত চিয়া বীজ খেলে, ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চিয়া সিড এর উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম এবং পুষ্টিগুণ নিয়ে এই আর্টিকেলটিতে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুগন, তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাথরুমপৃথিবীতে যত ধরনের পুষ্টিকর খাবার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো চিয়া সিড। চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তিলের মত। আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না এটা মধ্য আমেরিকায় বেশি পাওয়া যায়। 

প্রাচীন অ্যাজটেক জাতিদের মতে এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি হওয়ায়, এটিকে তারা সোনার চেয়ে বেশি মূল্যবান মনে করতো। নিম্নে চিয়া সিড এর উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ
  • প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
  • ওমেগা-৩ থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
  • ঘুম ভালো হতে সহায়তা করে পাশাপাশি ত্বক এবং চুল সুন্দর রাখে
  • রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখে
  • ডায়াবেটিস বেশি হবার ঝুঁকি কমায়
  • দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়
  • ডিমের চেয়ে তিনগুণ বেশি উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায়
চিয়া সিড এর উপকার যেমন রয়েছে তেমনি কিছুটা অপকারও রয়েছে। আমরা জানি প্রতিটা খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা থাকে। সবকিছু পরিমান মত খেলে উপকার পাওয়া যায় কিন্তু মাত্রা অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। 

তাই চিয়া সিড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হবে, তখনই যখন আপনি পরিমাণ মতো এটি গ্রহণ করবেন। পরিমাণ মত গ্রহণ না করলে আপনার পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে, ওজন অস্বাভাবিক ভাবে কমতে পারে এবং রক্তচাপ বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

চিয়া সিড অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। প্রতিনিয়ত চিয়া সিড নিয়ম মত খেলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। চিয়া সিড বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি হলো সুপার ফুড। আল্লাহপাক চিয়া বীজের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ দিয়ে ভরপুর করেছে। 

প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত পুষ্টিগুণ থাকায়, মানব দেহের হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে এবং মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।


চিয়া সিড স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস থাকায় চিয়া বীজকে আমরা সুপার ফুড বলতে পারি বা পুষ্টিগুনে ভরপুর বলতে পারি। 

চিয়া সিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় পাশাপাশি রক্তচাপ কমাতে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। চিয়া সিডে প্রচুর ফাইবার থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। 

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিয়া সিড এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা প্রতিনিয়ত পরিমান মত চিয়া সিড খেলে আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। চিয়া সিড প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে মানব শরীরে হাড় এবং পেশী মজবুত রাখতে সহায়তা করে। 

প্রতিনিয়ত চিয়া সিড খেলে বার্ধক্যের সমস্যা দূর হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে পাশাপাশি যৌবনকে টেকসই এবং শক্তিশালী করে তোলে।
  • কলার থেকে দ্বিগুণ পটাশিয়াম রয়েছে
  • পালংশাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন রয়েছে
  • দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালশিয়াম রয়েছে
  • কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জানুন

চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ থাকায় আমরা নিয়মিত পরিমাণ মতো খেলে দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এজন্য খালি পেটে সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে যদি আমরা প্রতিনিয়ত এক গ্লাস পানির মধ্যে এক চামচ বা দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিলে আরো বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। 

মেদ ভুড়ি কমাতে অনেক পুষ্টিবিদরা চিয়া সিড খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 


চিয়া সিড খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া উচিত। মেদ ভুড়ি এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জেনে খেলে ভালো হবে।

চিয়া বীজ লেবুর জলে মিশিয়ে খেলে সাতদিনে ওজন কমবে

চিয়া বীজে প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আমাদের সুস্থ এবং ফিট রাখতে সহায়তা করে। আমরা যারা মেদ ভুঁড়ি বা অতিরিক্ত চর্বি সমস্যা নিয়ে ভুগছি, তাদের জন্য এই বীজ লেবুর রসের সাথে পরিমাণ মতো মিশিয়ে খেলে সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিকর মেদ, চর্বি কমতে থাকবে। 

স্বাভাবিকভাবে শরীরের ওজন প্রয়োজনের থেকে বেশি হলে, অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন-হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। তাই ওজন কমাতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত পরিমানমত সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।

চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে খেলে নানা উপকার জানুন 

প্রিয় পাঠক চিয়া সিড খাওয়া শুরু করার আগে এর সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া ভালো। পরিমাণ মতো খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে তবে সকালে বা রাতে খাওয়ার তিরিশ মিনিট আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। 

আবার দুই চামচ লেবুর রসের সাথে দুই চামচ চিয়া সিড, এক গ্লাস পানির মধ্যে মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়ার যায়।

পরিশেষে

এ কথা বলে শেষ করবো যে, এই আর্টিকেলটিতে চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ, এর উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম, এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। 

আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। এ ধরনের নিয়মিত আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url