মাখন এর উপকারিতা এবং মাখন তৈরি করার নিয়ম-শতভাগ কার্যকর জেনে নিন | Rahul IT BD

মাখন এর উপকারিতা এবং মাখন তৈরি করার নিয়ম-শতভাগ কার্যকর জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলে মাখন খাওয়ার উপকারিতা, বাচ্চাদের মাখন খাওয়ানোর নিয়ম, মাখন তৈরি করার নিয়ম এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। 
মাখন এর উপকারিতা এবং মাখন তৈরি করার নিয়ম
উক্ত বিষয় সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক মাখনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এই পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। আপনারা অনেকেই মাখনের পুষ্টিগুণ জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। 

তাই আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি ইনফরমেটিভ হবে। এজন্য এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

মাখন এর উপকারিতা-সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

মাখন স্বাস্থ্যকর সুস্বাদু একটি খাবার। প্রাচীনকাল থেকে মাখনের জনপ্রিয়তা রয়েছে মানুষের মাঝে। মাখন এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাথার ফ্যাট যা সীমিত পরিমাণ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হার্টকে সুস্থ রাখে তবে অবশ্যই সীমিত পরিমাণ বা পরিমাণ মতো খেতে হবে। 

যদিও পুষ্টিগুনে ভরপুর মাখন তারপরেও এটি পরিমাণ মতো খাওয়াটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অনেক ধরনের বাজে খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের বাজে মেদ তৈরি হয়, যা আমাদের শরীরের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

বাজে খাবারের ফলে যে সমস্ত মেঘ তৈরি হয় বা চর্বি তোরা এই ছবিগুলো বাজে চড়বে যে চর্বি ঝরাতে অনেক কষ্টকর ব্যাপার। অপরদিকে মাখনের মধ্যে যে ফ্যাট রয়েছে তা শরীরের জন্য খুবই ভালো ফ্যাট, এ ফ্যাট শরীরের মেদ বাড়ালেও সেটা ঝরাতে খুব একটা কষ্টকর ব্যাপার নয়। 

কারণ মাখনের মধ্যে রয়েছে ভালো ফ্যাট যা নিয়মিত এক্সারসাইজ করার মাধ্যমে, বা ডায়েট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এই ফ্যাট ঝরানো সম্ভব। আমাদের প্রত্যেকের শরীরে ভালো ফ্যাট প্রয়োজন। অনেক পুষ্টিবিদের মতে যাদের শরীরে ক্যালরির মাত্রা কম। 

তারা নিয়মিত পরিমান মত খাদ্য তালিকায় মাখনের মত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার রাখলে তাদের ক্যালরির চাহিদা পূরণ হবে। তা যারা মনে করেন শরীরে ক্যালরির ঘাটতি রয়েছে অনেক বেশি তারা চাইলে মাখন খাবার তালিকায় রাখতে পারেন। লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে মাখন। 

যারা সাধারণত দুগ্ধ জাত অর্থাৎ দুধ দিয়ে তৈরি যে সমস্ত খাবার গুলো রয়েছে যেমন মাখন, এ ধরনের খাবার যারা গ্রহণ করেন সাধারণত তাদের লিভারের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। 

মাখনের পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। মাখন খনিজ উপাদানের সমৃদ্ধ একটি খাবার। এখন খনিজ উপাদান খুদা কমাতে সাহায্য করে, এর মধ্যে রয়েছে আয়োডিন, সিলোনিয়াম ইত্যাদি কার্যকরী খনিজ উপাদান রয়েছে। 

মধ্যে ভিটামিন ই, ডি ও এ থাকে যা আমাদের শরীরের পুষ্টিগুণ চাহিদা পূরণ করে থাকে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে মাখনের ব্যবহার অতুলনীয় আমরা আমাদের প্রিয় খাবার গুলোর সাথে মাখন মিশিয়ে থাকি যাতে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

মাখন খাওয়ার নিয়ম এবং মাখন কিভাবে খায়-জেনে নিন

যেসব খাবার খাওয়া খারাপ না কিন্তু পরিমিত খাওয়া উচিত এমন খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাখন। দৈনন্দিন জীবনে মাখন সবসময়ই খাওয়া হয়। এটি খেতে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকরও বটে। তবে এটা সত্যি যে মাখন এর ফ্যাট মোটা হওয়ার জন্য অন্যতম কারণ। মাখন একটি মুখরোচক খাবার। 

মাখন থেকে ভিটামিন এ, ডি,ই, কে এবং উৎকৃষ্ট মানের ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, সেলেনিয়াম, আয়োডিন পাওয়া যায়।মাখনের অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ থাকার কারণে এটা মানব শরীরের কোষের মেমব্রেন মজবুত করতে, লিভারের কার্যকারিতা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে,হারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। 

সকালের নাস্তা কিংবা পাস্তা তৈরিতে অন্যান্য উপাদানের সাথে প্রয়োজন হয় মাখন। এটির সাধারণত কোন খাবারে মেখে খাওয়া হয়। এছাড়া রান্না করতে যেমন কিছু ভাজতে, সস তৈরিতে অথবা খাবারের বিশেষ সুঘ্রাণ আনতে মাখন ব্যবহৃত হয়। মাখনের চর্বি, পানি এবং দুগ্ধ প্রোটিন থাকে। 

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মাখন খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। মাখন খেলে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন শুরু হয় এবং চিনির পরিমাণ হ্রাস পায়। মাখন খেলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

মাখন এ অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও একজন মানুষ একদিনে দুই থেকে তিন চামচের বেশি মাখন খেতে পারবে না। পরিমাণের বেশি মাখন খাওয়া উচিত নয়।

বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম-সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

প্রিয় বন্ধুগণ আমাদের অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন থাকে যে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাখন খাওয়ানোটা কতটুকু উপকার হবে না বাচ্চাদের জন্য ক্ষতি হবে সে বিষয়টা নিয়ে আমরা চিন্তিত থাকি। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে সে বিষয়টি জানতে পারবেন। 

বাটারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে তবে এটা ভালো ফ্যাট যার কারণে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো যেতে পারে সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার খাওয়ানো যেতে পারে। তবে নিয়মিত বা বেশি পরিমাণে খাওয়ানোর প্রয়োজনে সেটা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই পরিমাণ মতো বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো উচিত।

মাখন তৈরি করার নিয়ম-শতভাগ কার্যকর জেনে নিন

মাখন তৈরি করতে যে দুধ জাল দিয়ে করতে হবে ব্যাপারটা এমন নয় দুধ জাল করা ছাড়াও কাঁচা দুধ দিয়েও ব্লেন্ডারের মাধ্যমে মাখন তৈরি করা যায়। বাজারে বাটার কিনতে পাওয়া যায় তবে সেগুলো প্রসেস করা থাকে। 

যার কারণে সেটা শতভাগ খাঁটি বলা যায় না কিন্তু আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে বা ঘরে বসে মাখন তৈরি করার নিয়ম জেনে আপনি নিজ বাসাতে বানাতে পারেন তাহলে সেটা শতভাগ খাঁটি হবে এবং অর্গানিক হবে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো উপকারী এবং স্বাস্থ্যসম্মত। 

এই মাখনটি হবে সম্পূর্ণ অর্গানিক। এর মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ পাবেন শতভাগ। যদি আপনি বাসাতে ঘরোয়া উপায়ে বানিয়ে থাকেন তাহলে। প্রথমে যে উপকরণটি লাগবে সেটা হল দুধ আপনার ইচ্ছামত পরিমাণ দুধ নিতে পারেন, অবশ্যই দুধ টা ঠান্ডা হতে হবে সে ক্ষেত্রে দুধ নেয়ার পরে ফ্রিজে রাখবেন।
 
ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে তারপরে দুধটাকে লিকুইড করে নিতে হবে। এখান থেকে কিছু পরিমাণ দুধ ব্লেন্ডারের মধ্যে দিয়ে ব্লেন্ডারের মিডিয়াম স্পিডে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ধরে ব্লেন্ড করতে হবে ভালো করে। 

তাহলে দেখা যাবে যে আস্তে আস্তে বাটারটা উঠে আসবে, আপনি দেখবেন যে দুধের উপরে কিছু ফেনা হয়ে এসেছে তবে এটা বাটার নয়। যখন দেখবেন যে এই ফেনাটা কিছুটা ইয়েলো কালার হয়ে গেছে, হাত দিয়ে ধরলে তৈলাক তো মনে হবে তখন বুঝবেন যে এটা বাটারে পরিণত হয়েছে। 

এক মিনিট পরপর চেক করতে থাকবেন যেন কি অবস্থা রয়েছে। কমপক্ষে পাঁচ মিনিট ধরে ব্লেন্ড করতে থাকবেন তারপরে দেখবেন যে সেটা বাটার হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে দেখবেন যে অনেক তৈলক্ত লাগবে, তখন বাটার উঠায় নিতে হবে। অবশ্যই ফ্রিজের ঠান্ডা পানির মধ্যে এই বাটারটা উঠিয়ে রাখতে হবে। 

যে দুধ দিয়ে আপনি বাটার তৈরি করেন সে দুধটি কিন্তু আপনি চাইলে খেতে পারেন এখানে স্বাদের যে খুব একটা পরিবর্তন হয় ব্যাপারটা এমনও নয়, চাইলে আপনি দুধ খেতে পারেন। পরবর্তীতে বাটার হাত দিয়ে চিপে আলাদা একটি পাত্রে উঠিয়ে নিতে হবে। 

চেষ্টা করবেন বাটারের মধ্যে থেকে পানিটা সম্পূর্ণ বের করে ফেলার তবে কিছুটা পানির থেকে যাই সেটা বড় সমস্যা নয়। এরপর বাটার পরিষ্কার বাটিতে নিয়ে তার মধ্যে রেখে ডিপ ফ্রিজের মধ্যে রাখবেন। চেষ্টা করবেন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ডিপ ফ্রিজে রাখার জন্য। 

তারপরে আপনি দেখবেন আপনার তৈরি হয়ে গেছে, সম্পূর্ণ রেডি। বাজারে তৈরি যে বাটার, সে বাটারি কিছুটা পুষ্টিগুণের ঘাটতি থাকলেও ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে বাটার আপনি তৈরি করবেন তাতে শতভাগ পুষ্টিগুণ পাবেন। তাই চেষ্টা করবেন নিজে বানানোর।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি তারা মাখন এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি উপকৃত হয়েছেন। এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। 

সবশেষে আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url