চিকন হওয়ার উপায় কি? বিস্তারিত জেনে নিন
চিকন হওয়ার অনেক উপায় রয়েছে আপনার কাছে যেটি সুবিধা মনে হয় সেটিও গ্রহণ করতে পারেন আপনি যদি মনে করেন যে আপনার হাতে প্রচুর সময় রয়েছে তাহলে আপনি নিয়মিত বাইরে হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন সাইকেলিং করুন।
আপনার শরীরে প্রচুর মেদ থাকলে, আর আপনি যদি নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন তাহলে আপনার শরীর থেকে ঘাম ঝরবে আপনার চর্বি গলে যাবে, ধীরে ধীরে আপনি চিকন হতে শুরু করবেন। সুন্দর একটি শরীর গঠন সবাই করতে চাই কিন্তু এটা তো আর এমনি এমনি হবে না।
এর জন্য সাধনার প্রয়োজন, আপনাকে প্রতিনিয়ত খাবার মেনটেন করতে হবে যে সমস্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বা প্রচুর ক্যালরি রয়েছে সে সমস্ত খাবার গুলো সামান্য গ্রহণ করতে হবে।
পাশাপাশি নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে এই উভয়ের সমন্বয়ে আপনি ধীরে ধীরে চিকন হতে পারবেন এবং আপনার বাড়তি ওজন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।
কিভাবে চিকন হওয়া যায়?-জেনে নিন শতভাগ কার্যকর
বন্ধুগণ আমাদের যাদের শরীর অনেক বেশি ওজন রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই আমরা খুব চিন্তিত থাকি। আমাদের শরীরের ওজন যখন স্বাভাবিকভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তখন আমরা খুব একটা সচেতন হই না।
আমরা তখনই সচেতন হই যখন আমরা বেকায়দায় পড়ে যাই, অর্থাৎ অতিরিক্ত চর্বি জমে গেছে শরীরে, শরীরে এনার্জি নেই, শক্তি কমে আসছে এরকম সময় আপনাদের মনে হয় শরীরের ওজন কমাতে হবে তা না হলে এনার্জি হারিয়ে ফেলেছি।
তখন আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করি কিভাবে ওজন কমানো যায় তার উপায় বের করার, চেষ্টা করি খোঁজার এবং জানার চেষ্টা করি। স্বাভাবিকভাবে যে সমস্ত খাবার আমরা গ্রহণ করি ঘরে এবং বাইরে আমাদের মনে রাখতে হবে সে সমস্ত খাবার গুলোর মধ্যে প্রচুর ফ্যাট রয়েছে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে।
এই সমস্ত খাবারগুলো এভোয়েড করা বা সামান্য পরিমাণে গ্রহণ করা, তাহলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন স্বাভাবিকভাবে দেখা যাবে না। খাবারের ক্ষেত্রে কিছু খাবার মেনে চলা উচিত যেগুলোকে এভোয়েড করতে হবে বা সামান্য পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
এর পাশাপাশি আমরা নিয়মিত এক্সারসাইজ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি। আমাদের ওজন কমাতে ব্যর্থতার পিছনে বড় কারণ হচ্ছে অলসত। আমরা যদি নিয়মিত দৌড়াদৌড়ি করি, সাইকেলিং করি আপনি একটু সময় পেলে হাটাহাটি করুন, সাইকেলিং করুন।
যাদের বাইরে যাওয়ার সময় নেই তারা চাইলে বাসার ভিতরে ট্রেডমিল নিয়ে হাটাহাটি করতে পারেন, বাই স্পিনিং বাইক কিনে সাইকেলিং করতে পারেন, এক কথায় আপনাকে এটা যেভাবে হোক করতে হবে তা না হলে আপনি আপনার শরীরের যত্ন নিতে পারবেন না।
সাথে কয়েকটা দিন সাঁতার কাটার অভ্যাস করে তুলুন, সাঁতার কাটা খুব ভালো একটি ব্যায়াম যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি নিয়মিত খাবার মেনটেইন করেন বা ডায়েট মেনে চলেন।
পাশাপাশি নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন যেমনই হোক না কেন আপনার ওজন কমতে বা চিকন হওয়াটা সময়ের ব্যাপার।
খুব তাড়াতাড়ি চিকন হওয়ার উপায়-সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুগণ আমাদের যখন খুব বেশি ওজন বেড়ে যায় আমরা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তাই পড়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রথম থেকেই যদি শরীরের যত্নটা নিতে থাকি তাহলে এরকম অস্বাভাবিক ওজন বাড়বে না।।
যখন ওজন অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায় তখন আমাদের টনক এবং আমরা তাড়াহুড়া করি, কি করে ওজন কমানো যায় খুব তাড়াতাড়ি।
সবকিছু আসলে এত সহজে হয় না। আপনাকে এর জন্য অনেক কিছু মেন্টেন করতে হবে, খাবার মেনটেন করতে হবে আপনার লাইফস্টাইল এর পরিবর্তে নিয়ে আসতে হবে রীতিমতো তার জন্য আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে যে মানুষ কি কারনে মোটা হয় বা কি কারনে ওজনটা বেড়ে যায়। আপনি একটু খেয়াল করে দেখেন যে সমস্ত কারণে ওজনটা বেড়েছে ঠিক ঐ সমস্ত কারণগুলোই যদি আপনি মেনে চলেন।
অর্থাৎ আপনার লাইফ স্টাইল যেমন হওয়ার কারণে ওজনটা বেড়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে আপনি আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে দেখেন আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমে যাবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়-জেনে নিন দারুণ কার্যকর
প্রিয় বন্ধুগণ আপনি যদি চিকন হতে চান তাহলে ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে সে উপায়গুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরোয়া পরিবেশে চিকন হতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে, আপনার লাইফ স্টাইল যদি খুব বাজে হয়, তবে সে ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।
তা না হলে আসলে এটা সম্ভব নয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন বা অভ্যাস করুন। পরিমাণ মতো পানি পান করুন যার কারণে আপনার কিডনি ভাল থাকবে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানি মধ্যে লেবুর রস মিশে খাওয়ার অভ্যাস করুন আপনার অতিরিক্ত চর্বি বা বাজে চর্বি কাটতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার খুব কম পরিমাণ গ্রহণ করবেন।
খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি রাখুন। শাকসবজি দিয়ে আপনি আপনার পেট ভরানোর চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ঘরে অথবা বাইরে কমপক্ষে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করুন যা আপনার মন ও শরীরকে চাঙ্গা রাখতে প্রাণবন্ত রাখতে সয়েব ভূমিকা রাখবে।
আপনি নিয়মিত আপনার লাইফস্টাইলে এ ধরনের অভ্যাস রাখতে পারলে ধীরে ধীরে আপনার শরীরের বাজে চর্বি ঝরতে শুরু করবে এবং আপনি চিকন হয়ে উঠবেন।
২০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট-সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই ডায়েট স্যাট ফলো করে থাকি। আমরা অনেকেই ডায়েট মেইনটেইন করতে পারি না, বিশেষ করে যাদের ওজন খুব বেশি প্রথমে চিন্তা করে ওজন কমাতেই হবে কিছুদিন মেন্টেন করি তারপরে আবার যা তাই।
ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে পরিমাণ মতো সুষম খাবার পূরণ করতে হবে আর এই পরিমাণ মতো সুষম খাবার গ্রহণ করার নামই হলো ডায়েট। প্রিয় বন্ধুগণ আপনাকে প্রথমে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিতে হবে।
আপনি এর জন্য ইন্টারনেটের সার্চ দিয়ে ডায়েট চার্ট কালেকশন করতে পারেন অথবা কোন এক্সপার্টের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েও সেটা করতে পারেন, মূল কথা আপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট চার্ট মেইনটেইন করতে হবে। যা আপনাকে রাখবে প্রাণবন্ত এবং সুস্থ ।
- একেবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
- শর্করা জাতীয় খাবার পেট ভরে না খাওয়াই ভালো, শাকসবজি খেয়ে পেট ভরানোর চেষ্টা করবেন
- ফল খেলে খোসা খাওয়ার চেষ্টা করবেন
- মাংস খেতে চাইলে চর্বি অংশ বাদ দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন
- তেলেভাজা খাবার সম্পূর্ণ বর্জন করুন
- ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য পরিত্যাগ করুন
- পানি পরিমাণ মতো পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন
- নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস করুন
মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন
মেয়েদের মোটা শরীর কিভাবে চিকন করা যায় সে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করব এ পর্বে। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতে বসে এক ধরনের ড্রিং তৈরি করবেন যে ড্রিঙ্ক পান করার মাধ্যমে আপনার পেটের চর্বি, থাইয়ের চর্বি এগুলো কমতে শুরু করবে।
আপনি যদি টানা কয়েকদিন এভাবে ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে তার উপকার নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। এই ড্রিংক পানের মাধ্যমে আপনার চর্বি মোমের মত গলতে শুরু করবে। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
তাই নিশ্চিন্তে ঘরে বানিয়ে এই ড্রিঙ্ক পানের মাধ্যমে আপনি আপনার ওজন কমিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই। এই ড্রিংসটি তৈরির জন্য সবার প্রথমে আপনাকে একটি দেশি আদা নিতে হবে বিশেষ করে যে আদায় প্রচুর ঝাঁজ রয়েছে সে আদা সংগ্রহ করবেন।
তারপরে ভালো করে আদা চামড়া ছিলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে কুচিকুচি করে কেটে নেবেন। এরপরে এই আদা কুচি একটি পাত্রে রাখবেন এটার মধ্যে কয়েক চামচ দুই থেকে তিন চামচ জিরা নিতে হবে, জিরার পানি শরীর থেকে বাজে কোলেস্টেরল দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
এরপরে কিছু লবঙ্গ দিয়ে, কিছু পানি দিয়ে চুলোতে গরম করতে হবে, এর মধ্যে সামান্য কিছু পরিমাণ লবণ দিতে পারেন, ভালো করে ফুটিয়ে নেওয়ার পরে এই মিশ্রণটি একটি গ্লাসে ছাকনি দিয়ে ছেকে ঢেলে নিতে হবে।
গ্লাসে ঢেলে নেওয়ার পরে হালকা গরম থাকা অবস্থাতে এর সাথে সামান্য পরিমাণে মধু যোগ করতে হবে, তারপরে একটি লেবুর অর্ধেক পরিমাণ লেবুর ভালো করে চিপে রস এর সাথে মিশিয়ে নিতে হবে ভালো করে, এ মিশ্রণটি ভালোভাবে মিক্স করতে হবে।
এই মিশ্রণটি হালকা গরম থাকা অবস্থাতে খেয়ে নিতে হবে, আপনি ঘরে বসে নিয়মিত টানা ১০ দিন এভাবে খেলে আপনার ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমতে শুরু করবে, যা দেখে আপনি নিজেই আশ্চর্য হবেন।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যারা মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা অবশ্যই এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি
উপকৃত হয়েছেন।
এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। সবশেষে আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url