নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য লাভের গোপন কৌশল | Rahul IT BD

নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য লাভের গোপন কৌশল

প্রিয় পাঠক আপনি কি নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম, নারিকেল তেল খাওয়ার উপকারিতা এবং চুলে নারিকেল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একেবারে সঠিক জায়গাতে ক্লিক করেছেন। আপনি যদি নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম না জেনে থাকেন তবে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। 
নারিকেল তেল খাওয়ার চমৎকার নিয়ম
আর জেনে নিন নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আশা করি আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অনেক উপকৃত হবেন। তাই আর কথা না বাড়িয়ে অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। 

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক নারিকেল তেলের মধ্যে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। আপনারা অনেকেই নারিকেল তেলের পুষ্টিগুণ জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। নারিকেল তেল আমাদের খাদ্যাভাসে অপরিহার্য উপাদান। সঠিক নিয়মে ব্যবহারে, এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে চমত্কার। 

সুতরাং, আমাদের দৈনন্দিন রান্নায় এর উপযুক্ত পরিমাণ নিশ্চিত করা জরুরি। আসুন, সুস্বাস্থ্যের জন্য নারিকেল তেল অন্তর্ভুক্ত করি।তাই আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি ইনফরমেটিভ হবে। এজন্য এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম জানুন

নারকেল তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা

নারিকেল তেল একটি অসামান্য খাদ্য উপাদান। এর স্বাস্থ্য উপকার অনেক। আজ আমরা নারিকেল তেলের কয়েকটি উপকার নিয়ে জানব।

হার্ট স্বাস্থ্য বৃদ্ধি

নারিকেল তেল হার্টের জন্য ভালো। এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি আছে। এই তেল খেলে হার্ট ভালো থাকে, রোগ কমে।

ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি

  • ত্বকে জেল্লা আনে।
  • চুল করে মজবুত ও উজ্জ্বল।
  • ত্বক রাখে মসৃণ
  • রুক্ষতা ও খুসকি দূর করে।

Frequently Asked Questions For নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম

নারিকেল তেল দৈনন্দিন খাওয়ার সুফল কী?

নারিকেল তেল হজম শক্তি উন্নত করে, মেটাবোলিজম বাড়ায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর লৌরিক অ্যাসিড অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণাবলী রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

নারিকেল তেল খাওয়ার আদর্শ পরিমাণ কী?

প্রতিদিন নারিকেল তেলের 1-2 চামচ (সর্বোচ্চ 30 ml) খাওয়া উচিত। বেশি পরিমাণ খেলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হতে পারে।

নারিকেল তেল কেন ওজন কমাতে সহায়ক?

নারিকেল তেলের মাঝারি শৃঙ্খলের ত্রিগ্লিসেরাইডস শরীরের মেটাবলিজম ত্বরান্বিত করে এবং ক্যালোরি পোড়ানোর হার বাড়ায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক।

নারিকেল তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে?

নারিকেল তেলের স্বাস্থ্যকর সম্পৃক্ত চর্বি হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) স্তর কমাতে সাহায্য করতে পারে।

বন্ধুরা নারিকেল তেল আপনারা বিভিন্ন উপায় খেতে পারেন। আমরা সারা দিনে বিভিন্ন ধরনের মজাদার খাবার খেয়ে থাকে এ সমস্ত মজাদার খাবারে নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ নারিকেল তেল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। 

সাধারণত আমরা যে কোন খাবারের সয়াবিন তেল অথবা সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সয়াবিন তেল ব্যবহার করে থাকি। পুষ্টিবিদদের মধ্যে সয়াবিন তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, তাই তারা ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল অর্থাৎ কোল্ড প্রেস সরিষার তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

সব থেকে ভালো হয় যদি খাওয়ার তেল হিসেবে নারিকেল তেল ব্যবহার করা যায় সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকে। অনেকেই আমরা জানি না নারকেল তেল কিভাবে খেতে হয় কোন কোন খাবারের সাথে ব্যবহার করা যায়। খাবারের নিয়ম কেমন এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজানা। 

কিন্তু নারিকেল তেল দিয়ে রান্না বান্না করা যেকোনো খাবার ভাজি করা খুব সুস্বাদু করে এই স্বাস্থ্যকর খাবারটি গ্রহণ করা যায় যা শরীরের জন্য দারুন উপকারী। আপনি বিভিন্ন উপায়ে নারিকেল তেল খেতে পারেন, আজকে কতগুলো উপায় নিয়ে আলোচনা করবঃ

টোস্ট এর সাথে
আমরা সাধারণত নাস্তাতে বিভিন্ন ধরনের পাউরুটি, রুটি ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি এসব ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় মাখন ব্যবহার করে থাকি এর পরিবর্তে আপনি চাইলে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনি আপনার রুটি পা রুটি বা টোস্ট এর উপরে নারিকেল তেল ছড়িয়ে দিন, এতে যেমন একটি সুন্দর ফ্লেভার আসবে তেমনি খেতেও অনেক ভালো লাগবে।

কফিকে বেশি ক্রিম করতে
আমরা সবাই কফি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আমরা আমাদের প্রিয় এই খাবারটির সাথে যদি এক চামচ নারিকেল তেল মিক্স করে খেতে পারে এতে যেমন ফ্লেভারের পরিবর্তন হয় তেমনি বাড়তি এনার্জি যুক্ত হয়। 

তাহলে গরম কফির সঙ্গে এক চা চামচ নারিকেল তেল এবং পছন্দমত বা ইচ্ছামত প্রয়োজন অনুযায়ী চিনি দিয়ে ব্লেন্ড করে খেলে আপনার মধ্যে দারুন অনুভূতি হবে।

খই ভেজে নিন
খুবই সাধারণত আমরা বাইরে থেকে কিনে খাই তবে বর্তমানে অনেকেই বাসাতে ভুট্টা কিনে নিয়ে খই তৈরি করে থাকেন। এর স্বাদকে হারু চমৎকার করতে এবং ভাজার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন যা অনেক পুষ্টিকর হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত হবে। 

এর উপর খুবই অল্প পরিমাণে নারিকেল তেল ছিটিয়ে দিলে দেখবেন খুবই সুন্দর হয়েছে যেটা আপনার চমৎকার লাগবে।

কুকিং স্প্রে
আমরা অনেকেই সকালে নাস্তা সাথে ডিম পোচ খেতে পছন্দ করি। ননস্টিক ফ্রাই পেন এর উপর একটু নারিকেল তেল দিলে বা স্প্রে করলে সুন্দর ফ্লেভার আসে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।

স্বাস্থ্যকর মেয়োনেজ
আপনারা চাইলে ঘরে নারকেল তেলের ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর মেয়োনেজ তৈরি করতে পারেন খুবই সহজে। এর জন্য লাগবে আপনার চারটি ডিমের কুসুম, চাচা মোচের এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পাশাপাশি আদা চামচ শুকনো সরিষা। 

এ সকল উপাদান গুলো একত্রিত করে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো হবে না মিশে যাচ্ছে। ব্লেন্ডার করা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে সামান্য পরিমাণ নারিকেল তেল দিয়ে মেশাতে হবে। 

তবে খেয়াল রাখতে হবে খুবই ধীরে ধীরে মেশাতে হবে দ্রুত মেশানোর চেষ্টা করলে মেয়োনেজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সম্পূর্ণ ধীরে ধীরে মেশানো শেষ হলে তৈরি হয়ে যাবে আপনার মজাদার বা আপনার পছন্দের মেয়োনেজ।

নারিকেল তেলের নানাবিদ উপকারিতা রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো চুলের যত্নে। আদিকাল থেকে চুলের যত্নে নারিকেল তেলের ব্যবহার হয়ে এসেছে। রুক্ষ, মলিন, প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে, স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তুলতে নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। 

নারকেল তেলের প্রাকৃতিক ময়শচারাইজার চুলকে নরম, কোমল করে তোলে। এছাড়াও নারিকেল তেলে আছে ফ্যাটি এসিড ভিটামিন বি ও সি, জিংক, পটাশিয়াম, যা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় ।ত্বকের যত্নে নারকেল তেলের কোন জুড়ি নেই। 

নারিকেল তেল ত্বকে ব্লিচ ও ক্লিনার এর কাজ করে ।নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হবে এবং ব্রণের দাগ ও ক্ষত দূর হবে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নারিকেল তেল ব্যাপক ভূমিকা পালন করে নারিকেল তেলে রয়েছে অধিক মাত্রা ফাইবার খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন । 

এ তেল পরিপাক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে অতিরিক্ত মেদ  দূর করতে সহায়তা করে এতে পরিমিত মাত্রায় ফ্যাটি এসিড থাকে যা অত্যধিক ওজন এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। নারিকেল তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়,নারিকেল তেল খেলে ক্ষতিকর কলেস্টরলে মাত্রা বাড়ায় না। 

নারিকেল তেল রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে এটা রক্তের গ্লুকোজ কে সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। নারিকেল তেলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যা হাড় ভালো রাখে। 

নারিকেল তেল এক মহা ঔষধ। এটা খাওয়ার নিয়ম হলো একদিনে এক চা চামচ নারিকেল তেল খাওয়ার ৩ ঘন্টা পর আবার এক চা চামচ খেতে হবে। যদি এটা খাওয়ার পর পেটের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেই দিন আর খাওয়া যাবে না। 

এভাবে আবার পরের দিন এক চামচ খাওয়ার পর তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে তারপর আবার এক চামচ খেতে হবে । এরকম করে খেতে খেতে বড় চামচের এক চামচে অভ্যাস করতে হবে প্রতিদিন। 

নারিকেল তেল খাওয়ার শুরু করার আগে শরীরটাকে আগে নারিকেল তেল খাওয়ার উপযুক্ত করতে হবে। 

যাতে এটা হজম করা যায় কারণ এটা খেলে অনেকেরই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা শরীরের কোন সমস্যার সমাধানের জন্য নারিকেল তেল খাবেন সেটার পরিমাণ হবে চার থেকে নয় চা চামচ।

চুলে নারিকেল তেলের উপকারিতা-শতভাগ কার্যকর

চুলে নারিকেল তেল ব্যবহারের প্রচলন বহুকাল ধরে। অনেকেই সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে নারিকেল তেল ব্যবহার করেন চুলের যত্নে। চুল থেকে প্রোটিন লস হওয়া মানে চুল শেষ পর্যন্ত দুর্বল এবং অস্বাস্থ্যকর হয়ে যাওয়া আর এটা থেকে চুলকে রক্ষা করে নারিকেল তেল। 

নারিকেল তেল কেবল ড্যামেজ চুলের রক্ষা করে না হেলদি চুলেরও প্রোটিন লস হতে বাধা দেয় । নারিকেল তেল আর্দ্রতা ধরে রাখে, তাই চুল থাকে ময়শ্চারাইজড এবং মজবুত, ঝলমলে এবং রেশমি। নারকেল তেল চুলকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। 

ফাইবারের ফোলা এবং সংকুচিত হওয়ায় চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এর কারণ হলো স্কাল্পের পানি ধারণ এবং শোষণ। নারিকেল তেল এই ড্যামেজ থেকে চুল এবং স্কাল্প সম্পন্ন ভাবে রক্ষা করে। নারকেল তেলে আছে জীবাণুনাশক বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং পুষ্টি যা আদর্শ চুল এবং মাথার স্কাল্পের সুরক্ষার জন্য ভাইরাস সংক্রমণকে ধ্বংস করে দেয়। 

এমনকি চুলের অকালে পেকে যাওয়া রোধ করে অনেক দিন কালো চুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সাহায্য করে। নারকেল তেল বিশ্ব জুড়ে সমস্ত মানুষের কাছে উপকারী বলে স্বীকৃত। তাই সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুলের জন্য নারিকেল তেলের বিকল্প হতে পারে না।

মুখে নারিকেল তেলের ব্যবহার-সম্পর্কে জেনে নিন

নারকেল তেলে পুষ্টিকর ফ্যাটি এসিড থাকে যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে লিননিক এসিড, ভিটামিন এফ যা ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত লরিক এসিডকে অন্তর্ভুক্ত করে। 

নিয়মিত নারিকেল তেল মুখে ব্যবহার করলে ত্বক নরম এবং হাইড্রেট থাকে। নারিকেল তেল মশ্চারাইজার হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে থাকে। মুখে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল এর উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল এর পুষ্টিগুণ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। আমরা যদি খাবারের তেল হিসেবে এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবো। 

হার্ট কে সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আবার বিশেষ করে যাদের ওজন অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে অর্থাৎ ওজন জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবারের তেল হিসেবে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন কারণ এই তেল নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

যেহেতু এই তেলের মধ্যে রয়েছে ন্যাচারাল পুষ্টিগুণ সেহেতু খাবারের রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে আমরা এই তেল ব্যবহার করতে পারি। অবশ্যই সেক্ষেত্রে এই তেল অর্গানিক হতে হবে। আপনার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে এই তেল অত্যন্ত কার্যকর। 

শরীরের রক্তের ঘনত্বের ভারসাম্য রক্ষা করে। যার ফলে রক্তের সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। পাশাপাশি এই তেল আপনার ত্বক আপনার চুল এবং দাঁত সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

নারিকেল তেল খাওয়ার উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

শুধু চুলেই নয় নারিকেল তেল খাওয়ার কাজেও ব্যবহার করা হয়। নারিকেল তেল খেলে হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমে যায় সেই সাথে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে নারিকেল তেল উপকারী কোলেস্টরেল বা এইচ ডি এল এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা চিন্তায় থাকেন তারা নারিকেল তেল খেতে ভুলবেন না অর্থাৎ নারিকেল তেল ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নারিকেল তেল ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে নারিকেল তেল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

দাঁতের সুরক্ষায় কেলকিউমিন নামক একটি উপাদান ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এই উপাদানটি যাতে ঠিকমতো শরীর দ্বারা শোষিত হয় সেদিকে খেয়াল রাখে এই নারিকেল তেল। এই কারণে নারিকেল তেল খাওয়া শুরু করলে দাঁতের কোন সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। 

শরীরের সার্বিক কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়,নারিকেল তেলের মধ্যে থাকা ফাটি অ্যাসিড লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেই সাথে কিডনি এবং পেন কিয়াসের কোন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে। 

পরিশেষে-

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি তারা নারিকেল তেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি উপকৃত হয়েছেন। 

এই ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। সবশেষে আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url