গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট: সুস্থ বৃদ্ধির গাইড | Rahul IT BD

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট: সুস্থ বৃদ্ধির গাইড

প্রিয় পাঠক আপনি কি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট, গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায়, কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির খাবার ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে একদম সঠিক জায়গাতে আপনি ক্লিক করেছেন। কারণ আর্টিকেলটিতেএই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট
তাই আপনি যদি এ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য রইল এবং আপনাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাই। তাই আর বেশি দেরি না করে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির চার্ট সম্পর্কে জানতে এখনই পড়ে নিন।

ভূমিকাঃগর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলে কিভাবে নিজের যত্ন নিলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার পাশাপাশি যারা এ সংক্রান্ত বিষয় জানেন না অর্থাৎ জানতে আগ্রহী বা না জানার কারণে সমস্যায় আছেন। 

আপনি যদি এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে এই সমস্যার সমাধান আপনারা পেয়ে যাবেন। 

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট সম্পর্কে জেনে নিন

প্রতিটি মা চায় তার বাচ্চা সুস্থ থাকুক। গর্ভাবস্থা একটি সুন্দর সময়। বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির তত্ত্ব নিয়ে আজকে আমরা জানব।

গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধির গুরুত্ব

মা এবং সন্তানের সুস্থতা নির্ভর করে ওজন বৃদ্ধির উপর।

গর্ভকালীন সপ্তাহ অনুযায়ী ওজন চার্ট:

এখানে একটা চার্ট দেওয়া হল:

সাপ্তাহ বাচ্চার ওজন (গ্রামে) বাচ্চার দৈর্ঘ্য (সে.মি.)
১২ সাপ্তাহ ১৪ ৫.৪
১৬ সাপ্তাহ ১০০ ১১.৬
২০ সাপ্তাহ ৩০০ ১৬.৪
৪০ সাপ্তাহ ৩৪০০ থেকে ৩৬০০ ৪৮.২ থেকে ৫২.৪

ওজন চার্ট ব্যবহারের উপকারিতা

  1. গর্ভধারণের সময়ে বাচ্চার বৃদ্ধি বুঝতে সাহায্য করে।
  2. ডাক্তার কি পরামর্শ দিচ্ছেন বুঝা যায়।
  3. মা সুস্থ থাকলে বাচ্চা ভালো থাকে।

গর্ভকালীন পুষ্টির চাহিদা চিন্তা করার বিষয়

বাচ্চার ওজন খুব কম বা বেশি হলে ডাক্তার দেখান।

এই চার্ট মা এবং ডাক্তারকে সন্তানের সুস্থতা নিয়ে সচেতন করে।

স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও পুষ্টিকর খাবার অনুসরণ করুন।

Frequently Asked Questions For গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট: সুস্থ বৃদ্ধির গাইড

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত?

গর্ভধারণের বিভিন্ন ধাপে বাচ্চার ওজনের গড় প্রায় 100 গ্রাম থেকে শেষ ত্রিমাসিকে 3. 5 থেকে 3. 6 কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়।

গর্ভাবস্থায় ওজন চার্ট কেন জরুরি?

ওজন চার্ট গর্ভাবস্থায় বাচ্চার স্বাস্থ্যগত উন্নতি ও সম্ভাব্য জটিলতাগুলি নির্ণয় করতে সাহায্য করে।

প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার ওজন কেমন হয়?

প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার ওজন বিভিন্ন হারে বাড়ে, শুরুতে ধীর গতিতে এবং পরে সাধারণত ত্রিমাসিক শেষে দ্রুত।

গর্ভাবস্থার কোন সময়ে ওজন বৃদ্ধি পায়?

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রিমাসিকে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায় সর্বাধিক।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন 

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের প্রোটিন, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম যুক্ত এবং আয়রন জাতীয় খাবার তার খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এ সমস্ত ভিটামিনযুক্ত খাবার এর মধ্যে যদি একটি বাদ পড়ে যায় তাহলে গর্ভাবস্থায় শিশুর ওজন বাড়বে না। 

তাই গর্ভাবস্থায় একজন মা যদি তার সন্তানের ওজন বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা উচিত হবে। 

একজন মায়ের খাবারের তালিকায় যদি ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের মাত্রা কম থাকে তাহলে যেমন রক্তশূন্যতা দেখা দিবে তেমনি শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি করবে। 

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে পরিমাণ মতো তা না হলে শিশুর হাড় মজবুত হবে না, তাই শিশুর হাড় মজবুত গর্ভবতী মাকে অবশ্যই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন একজন গর্ভবতী মাকে গ্লাস থেকে এক গ্লাস দুধ খেতে হবে। 

প্রোটিনের খুব ভালো উৎস হিসেবে চর্বি ছাড়া মুরগির মাংস খেতে পারেন, গরু বা খাসির মাংস খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। 

চর্বি ছাড়া মুরগির মাংস খেতে পারলে খেতে যেমন প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রেন্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য অনেক ভালো। 

এরপরে সবুজ শাকসবজি এবং প্রচুর ফলমূল খেতে হবে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস রয়েছে যেটা আমাদের শিশু ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরী। সে সময় আপনি ভুট্টা গমের রুটি লাল চিড়া রয়েছে সেটা খেতে পারেন অনেকেই রুটি খেতে পারে না তারা চিড়া খেতে পারেন। 

সামুদ্রিকমাছ খেতে পারেন কারণ সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণে ভালো ফ্যাট রয়েছে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে এবং ওমেগা থ্রি সম্পর্কে আমরা অনেকে অবগত রয়েছি সামুদ্রিক মাছের প্রচুর অমেগা থ্রি রয়েছে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ফ্রেন্ড ডেভেলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

তবে সামাজিক মাছটা সপ্তাহে একদিন দুদিন খাওয়া যেতে পারে কন্টিনিউ খাওয়ার দরকার নেই। এরপরে রয়েছে কলা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন আপনার শরীরের যে পরিমাণ আয়রন পর্যন্ত আপনি নিয়মিত এক থেকে দুইটি কলা খেলে সে হারুনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। 

এর ফলে আপনার রক্তশূন্যতা দূর হবে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গর্ভবতী মা নিয়মিত খেজুর খেতে পারে খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে এটি একটি পুষ্টিকর খাবার, এই খাবারটি গ্রহণ করলে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে তেমনি গর্ভ অবস্থায় শিশুর ওজন বৃদ্ধি পাবে। 

গর্ভাবস্থায় বাদাম খুবই কার্যকর একটি খাবার আপনি চাইলে কাজুবাদাম চিনাবাদাম কাঠ বাদাম এগুলো মিক্স করে খেতে পারেন এটা আপনার শরীর স্বাস্থ্য যেমন ভালো রাখবে তেমনি গর্ভাবস্থায় সন্তানের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি বেন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুবই ভালো হবে। 

ডাল বা বিচ জাতীয় যে সমস্ত খাবার গুলো রয়েছে এ সমস্ত খাবারগুলো খাবারে তালিকায় গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাকে দেওয়া উচিত বা রাখা উচিত, ডাল যেমন শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে স্বয়ং ভূমিকা রাখবে তেমনি প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। 

তাই গর্ভাবস্থায় সন্তানের ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার ডাল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে বা খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে ঘন ডাল খেলে আরো বেশি ভালো হয়। 

বীজ জাতীয় যে সমস্ত খাবার রয়েছে সিমের বিচি কুমড়োর বিচি এ ধরনের বিচিগুলো খাওয়া যেতে পারে এগুলো খেলে যেমন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন তেমনি ভাবে আপনার বাচ্চার জন্যও অনেক পুষ্টিকর হবে।

কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে ও নবজাতকের ওজন বৃদ্ধির উপায়

গর্ভবতী মায়েদের ঘুমটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। যে সমস্ত কাভারে খুব ভালো পরিমাণ আয়রন রয়েছে প্রোটিন রয়েছে সে সমস্ত খাবার গুলো বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত আপনাকে এ ধরনের খাবারগুলো খাবারে তালিকায় রাখতে হবে। 

অতিরিক্ত টেনশনে থাকা যাবে না অতিরিক্ত টেনশনে থাকলে আপনার যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি তেমনি আপনার গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি হতে বাধা প্রদান করবে। তাই চেষ্টা করবেন টেনশন ফ্রি থাকার জন্য এবং আনন্দে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করবেন। 

বেশি স্ট্রেস নেওয়া উচিত হবে না কারণ বেশি এক্সপ্রেস নিলে আপনার বাচ্চার জন্য সেটি ভালো নাও হতে পারে, রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করবেন বিশেষ করে বাচ্চা যখন গর্ভে থাকবে তখন স্ট্রেস কম রাখার চেষ্টা করবেন। 

প্রিয় মানুষদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করবেন যাদের সাথে কথা বলতে আপনার ভালো লাগবে তাদের কথা শুনতে ভালো লাগবে যারা আপনাকে ভালো রাখতে পারবে। 

তাদের কাছাকাছি তাহলে টেনশন হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেকটা কম থাকবে কারণ তারা আপনাকে সবসময় পরিস্থিতি অনুযায়ী ভালো রাখার চেষ্টা করবে। 

আপনি পজিটিভ চিন্তাভাবনা করবেন সব সময় অনেকটা সেলফ ডিপেন্ডেন্ট থাকার চেষ্টা করবেন এতে আপনি যেমন ভাল থাকবেন তেমনি আপনার শিশু ভালো থাকবে পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়বে। 

শুধু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে বাচ্চার ওজন বাড়বে ব্যাপারটা এমনটা নয়, এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই চাপমুক্ত, টেনশনমুক্ত থাকতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন একটা সুস্থ বাচ্চা এবং ভালো ওজনের বাচ্চা নিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই টাইম মেনটেন করে খেতে হবে। 

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে প্রচুর পরিমাণ ঘুমাতে হবে রিলাক্স থাকতে হবে তবেই আপনি সুস্থ বাচ্চা পরিমাণ মতো ওজন সহকারে পেতে পারেন।

বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির খাবার এবং শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায়-সম্পর্কে জেনে নিন

সর্বপ্রথম যে খাবারের কথা বলব সেটা হল দুধ কারণ এর মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম। দুধ এ সমস্ত ভিটামিনস এর ভালো একটি উৎস। তাই নিয়মিত বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির জন্য খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর এই খাবার রাখতে পারেন। 

এর পরে রয়েছে ডিম ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি ডিম খাওয়া খুবই জরুরী। শিশুকে শাকসবজি ফলমূল খাওয়াতে হবে যেটা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। 

বাচ্চাদেরকে তৈলাক্ত জাতীয় মাছ খাওয়াতে পারেন এ পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন সামুদ্রিক মাছের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভালো ফ্যাট এবং প্রচুর উচ্চমানের প্রোটিন যা বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে পাশাপাশি ব্রেন ও স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করবে। 

শিশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত একটি থেকে দুইটি কলা খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন এর পাশাপাশি ভালো মানের খেজুর অর্থাৎ অর্গানিক খেজুর খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন। তারপরে আপনি বাচ্চাকে বিভিন্ন ধরনের বাদাম রয়েছে যেমন চিনা বাদাম কাজু বাদাম কাঠবাদাম। 

এ সমস্ত বাদামগুলো আপনি একসাথে নিয়মিত কিছু পরিমাণ খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন শিশু ফলে ওজন বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি ব্রেন ভালো থাকবে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকবে। তাই বাচ্চারা যাতে নিয়মিত এই সমস্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আশা করি আপনারা কিভাবে গর্ব অবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। 

এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। আমি আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করি আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url