সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন | Rahul IT BD

সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা অনেকেই শরীরের জন্য উপকারী ব্যায়াম এবং যোগ ব্যায়াম সম্পর্কে হয়তো জানেন না। যারা এই আর্টিকেলটি পড়ে শরীরের জন্য উপকারী ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলটিতে স্বাগতম।
উপকারী ব্যায়ামগুলো
আমাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। আমরা যদি নিয়মিত শরীর চর্চা করি তাহলে, আমরা অনেক সুস্থ থাকতে পারবো। আল্লাহর রহমতে অনেক ধরনের রোগ থেকেও আমরা মুক্তি পাব। তাই নিয়মিত ব্যায়াম এর গুরুত্ব অপরিসীম, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টটিতে শরীরের জন্য উপকারী ব্যায়াম বা শরীরচর্চা নিয়ে কথাবার্তা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে কি করলে, কিভাবে চললে, কিভাবে আমরা প্রতিদিন নিজেকে সঠিক নিয়মের মধ্য দিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবো। আমরা জানি যে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। 

বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি। আমাদের মানসিক চাপ কমাতেও পারি, মনকে প্রাণবন্ত রাখতে পারি। সে সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ ব্যায়াম কোনগুলো জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুগণ সুস্থ থাকতে চাইলে দুইটি বিষয় আমাদের মেনে চলা উচিত। একটি হলো সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ, পাশাপাশি নিয়মিত শরীরের জন্য উপকারী ব্যায়াম করা। আমরা অনেক সময় সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করলেও এক্সারসাইজ  নিয়মিত করা হয়ে ওঠে না। 


আমরা যদি প্রতিদিন কিছু সহজ ব্যায়াম করি, তাহলে আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ব্যায়াম করার পূর্বে শরীরটাকে ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। প্রতিদিন আমরা ফ্রি-হ্যান্ড কিছু ব্যায়াম করতে পারি। 

একটু সময় পেলেই এই ব্যায়াম চাইলেই করতে পারি। একটু হাঁটাহাঁটি করলাম, সাঁতার কাটলাম, ইত্যাদি এ ধরনের ব্যায়ামগুলো আমরা একটু সময় পেলেই করা উচিত।

যেসব ব্যায়াম হার্টের জন্য সবচেয়ে উপকারী সে বিষয়ে বিস্তারিত 

বর্তমানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে ৪০ বছর বয়সের মানুষ গুলোকেও ইদানিং হার্ট অ্যাটাক করতে দেখা যাচ্ছে। হার্টের যে কার্যক্ষমতা এটা ধরে রাখতে চাইলে, আমাদেরকে নিয়মিত কিছু অনুশীলন বা এক্সারসাইজ করা উচিত। 

যেমন হাঁটা চলাফেরা, একটু দৌড়ানো, সাইকেলিং করা, একটু সাঁতার কাটা, হালকা একটু খেলাধুলা, এ সমস্ত অভ্যাসগুলো করলে আমাদের হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়বে। বয়সের সাথে সাথে মানুষের হার্টের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কমতে থাকে। 

তাই সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে। এই সমস্ত এক্সারসাইজগুলো করলে, হার্টের কার্যক্ষমতা অনেক বয়স পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিটাও অনেকটা কমে আসে।

সাইকেলিং না দৌড়ানো, কোনটি বেশি উপকারী সে বিষয়ে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক সাইকেলিং করাও একটি ভালো ব্যায়াম আবার দৌড়ানো একটি ভালো ব্যায়াম। যেটা শরীরের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তো সাইকেলিং টা অনেক সময় ঘরোয়া পরিবেশও করা যায়। স্পিনিং বাইক কিনে বাসাতে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই সাইকেলিং করতে পারে। 


আর অন্যদিকে দৌড়ানো বা দৌড়াদৌড়ি এটা তো বাইরের পরিবেশে বা খোলামেলা পরিবেশে, মনোরম পরিবেশে দৌড়ালে শরীর এবং মন ভালো লাগে। এক্সারসাইজের পাশাপাশি প্রকৃতির বাতাস, ন্যাচারাল সিনারি উপভোগ করার মাধ্যমে ও মন শরীর, মানসিকতা ভালো থাকে। 

তাই আমরা বলতে পারি যে, উভয় ব্যায়াম শরীর এবং মন ভালো রাখার জন্য খুবই কার্যকর পাশাপাশি শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত।

শরীর-মন সুস্থ রাখতে প্রয়োজন যোগ ব্যায়াম এর বিস্তারিত 

ব্যায়াম করলে শরীর এবং মন দুটোই সজীব সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকে। যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব। শরীরের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, ডিপ্রেশন দূর করা সম্ভব। ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময় হলো খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি করা যায় তাহলে সেটি খুবই কার্যকর। 

নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো করলে কর্ম ক্ষেত্রে কাজের চাপ, মানসিক চাপ, সংসারের চিন্তাভাবনা, পরিবারের ভবিষ্যৎ, এসব নিয়ে বেশিরভাগ সময়ে আমরা একটা মানসিক চাপে থাকি বা চাপ অনুভব করি সেটা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। এই সমস্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বা নিজেকে রিল্যাক্স করতে চাইলে যোগ ব্যায়ামের বিকল্প নেই।

শারীরিক ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

প্রিয় বন্ধুগণ নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আমাদের শরীরের ফিটনেস বাড়ে, আমাদের ক্রিয়েটিভিটি চিন্তাভাবনা করার শক্তি বেড়ে যায়, আমাদের শারীরিক কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় এবং শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের যৌবন দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখা যায়, লাবণ্য ধরে রাখা যায়। 

নিয়মিত ব্যায়ামের শারীরিক উপকারিতা সম্পর্কে কিছু বিষয় পয়েন্ট আকারে দেখানো হলোঃ
  • রোগ প্রতিরোধ করে
  • মনকে চাঙ্গা রাখে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক
  • শরীরের মধ্যে ফুরফুরা ভাব থাকে
  • কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে তোলে
  • ঘুমের জন্য সহায়ক
  • যৌন জীবনকে প্রাণবন্ত করে

সকালে কি কি ব্যায়াম করা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত 

সকালে ব্যায়াম করতে চাইলে প্রিয় পাঠক আমাদের কার্ডিও ব্যায়ামগুলো করা উচিত এবং সকলের জন্য এটি বেশি উপকারী। যেমন সকালে একটু হাঁটাহাঁটি করা, সাঁতার কাটলাম, একটু দৌড়ালাম, একটু সাইকেলিং করলাম, ইত্যাদি তবে সকালে এই ব্যায়ামগুলো একেবারে খালি পেটে না করাই ভালো। 

খুবই হালকা কিছু খেয়ে ব্যায়াম করা উচিত। তবে পেট ভরে খেয়ে ব্যায়াম করা যাবে না, হালকা কিছু খাওয়া উচিত।

সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন

প্রিয় বন্ধুগণ সকালে ব্যায়াম করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে সকালের আবহাওয়াটা থাকে বিশুদ্ধ ,ধুলাবালি, গাড়ি-ঘোড়ার ধোঁয়া, শব্দ দূষণ ইত্যাদি থাকে না বললেই চলে। এক্সারসাইজ করলে পেশী শক্ত হয়, নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে। 

বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আমাদের মানসিক স্ট্রেস তৈরি হয়। তাই সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে, আমাদের ঘুমের সমস্যাটা থাকলে, সেটাও দূর হয়। ওজন বেশি থাকলে নিয়মিত এক্সারসাইজের মাধ্যমে ওজনটা কমাতে সাহায্য করে। 

ডায়াবেটিস থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এবং সকালের ব্যায়াম আমাদের দীর্ঘ আয়ুর জন্য খুবই কার্যকরী। এজন্য নিয়মিত সকালে একটু দৌড়াদৌড়ি করতে পারি ,একটু হাঁটা চলাফেরা, হালকা কোন খেলাধুলা, আমরা এর সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটিতে আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম এবং যোগ ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করি যারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন। 

আর বেশি কথা না বাড়িয়ে, আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে, নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই, সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url