স্ক্রিনশটস টেকনিকস-গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার-কপিরাইটিং-আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ | Rahul IT BD

স্ক্রিনশটস টেকনিকস-গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার-কপিরাইটিং-আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটিতে স্ক্রিনশট টেকনিকস, গ্রামেরটিক্যাল এরর চেকার, কপিরাইটিং, আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যারা এই বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানতে চান, তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম এবং শেষ পর্যন্ত দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

তাই আপনি সম্পূর্ণ এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়লে, আমি আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই পোস্টটিতে এসব সংক্রান্ত বিভিন্ন স্ট্রাটেজি বিশ্লেষণ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা অনেকেই এসব সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেটের সার্চ করে থাকেন। এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে, আপনি পরিষ্কার ধারণা নিতে পারবেন।

স্ক্রিনশটস টেকনিকস-গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার-কপিরাইটিং-আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ

স্ক্রিনশটস টেকনিকস

কোন একটি বিষয়কে ভালোভাবে বোঝানোর জন্য বা দেখানোর জন্য আমাদেরকে অনেক সময় স্ক্রিনশট নিতে হয়। স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যে অংশটা আমার প্রয়োজন, সে অংশটা বাদে বাকি অংশটা যেন না নেওয়া হয়। স্ক্রীনশট নেওয়ার বিভিন্ন ডিভাইস আছে, এ সমস্ত ডিভাইসের ব্যবহারও এক-এক রকম। 

তাই আপনি যে ডিভাইসটি ব্যবহার করবেন সে ডিভাইসটি সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে। আপনার যদি স্ক্রিনশট ডিভাইস সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকে, তাহলে আপনি গুগলে সার্চ করে, আপনি যে ডিভাইসটি ব্যবহার করবেন, সেটার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

বাংলা পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে কোন ভুল থাকলে সেটা সাধারণত খুঁজে পাওয়া যায় না, সেক্ষেত্রে ইংরেজি পোস্ট বা ইংরেজি বাক্যের মধ্যে ভুল থাকলে নিচে রেড লাইন চলে আসে, যে শব্দটি ভুল থাকে সেটার উপর মাউস পয়েন্ট নিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করলে আপনাকে বেশ কয়েকটি সাজেশন দেবে। 

সেখান থেকে শব্দটি সঠিক করা যায়। অর্থাৎ আপনি যদি কোন ইংরেজি বানান ভুল করে থাকেন তাহলে আপনি সেটা এভাবে ঠিক করে নিতে পারবেন।


এবার বাংলা বানান ভুল ধরার জন্য আমরা কি করতে পারি, সেক্ষেত্রে Avro spell checker এই সাইটের মাধ্যমে, বাংলা বানান ভুল থাকলে সঠিক করতে পারি পাশাপাশি একই বানান যদি অনেকগুলো ভুল থাকে সেটিও Chang all অপশন এর মাধ্যমে আমরা সঠিক করে নিতে পারি। 

কপিরাইটিং বিশ্লেষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কপিরাইটিং এর ভিতরে তিনটা জিনিস রয়েছে। আমরা সেই তিনটা জিনিস নিয়ে বিশ্লেষণ করবো।

Attention- আপনি যখন রাস্তাঘাটে শত-শত বা হাজার হাজার বিজ্ঞাপন দেখতে পান, সবগুলো কি আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করে, করে না কিন্তু তাইনা। কিছু বিজ্ঞাপন আছে যেগুলো আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করে বা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। 

মনে করেন যে আপনি ফেসবুক টাইমলাইনে উপর-নিচ করতে করতে কোন একটা ছবি বা ভিডিওর প্রতি আপনার মনোযোগ বা দৃষ্টি আটকে গেল, তার মানে সেটা আপনার দৃষ্টিকে বা মনোযোগকে আটকে দিয়েছে। 

একজন কপি রাইটারের কাজ হল আপনার মনোযোগকে বা দৃষ্টিকে ক্যাচ করা। তাহলে মূল বিষয়টি হচ্ছে যে, আপনি কোন সেবা বা কোন কিছু বিক্রি করতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হচ্ছে, পাঠককে কি করে তার দৃষ্টি বা তার মনোযোগকে আকৃষ্ট করা যায়।


Promise- আপনি যে আপনার পণ্য বা সেবা আপনার পাঠকদেরকে বা কাস্টমারকে দিচ্ছেন সেটার সুবিধা গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে, যাতে করে কাস্টমারের মধ্যে একটা আস্থা বা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়। 

অর্থাৎ আপনি যে প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিলেন, সে বিজ্ঞাপন টা যাতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ থাকে, কাস্টমারের কাছে যাতে অথেন্টিক মনে হয়।

Call to action- এর পরের কাজটি হলো Call to action. এর মানে এই কাজটি হবে কাস্টমারের দিক থেকে। আপনি কাস্টমারকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যা করার করেছেন, তারপর বিজ্ঞাপনের প্রতি বা প্রোডাক্টের প্রতি আস্থা তৈরি করার জন্য যা করার সেটাও করেছেন। 

এ সমস্ত কমপ্লিট করার পরে কাস্টমার তখন যে প্রসেস অবলম্বন করে সেবাটি নেয় বা প্রোডাক্টটি নেয় সেটাই হলো Call to action. তাহলে কপিরাইটিং বিষয়টা হলো, কোন ব্যক্তির Attention ক্যাচ করে Promise করার মাধ্যমে কোন কিছু বিক্রি করা বা সেবা প্রদানের মাধ্যমে কাস্টমারকে গ্রহণ করানো।

Plagiarism কি? কেন করবেন না সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

যদি কেউ আপনার ওয়েবসাইটে যে সমস্ত পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা আছে সেখান থেকে কেউ যদি কয়েক লাইন লিখা বা প্যারাগ্রাফ অথবা পোস্টের কোন একটি অংশ কপি করে সেটা তার ওয়েবসাইটে পেস্ট করে থাকে। 

সেটাই হলো Plagiarism. তার মানে আপনার লেখা কোন পোস্ট বা আর্টিকেল সে কফি করে তার ওয়েবসাইটে পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াটাই হলো Plagiarism।

আপনি কষ্ট করে যে আর্টিকেল লিখছেন তা একজন চুরি করে তার নিজের ওয়েবসাইটে দিবে এই ব্যাপারটা কিন্তু সম্পূর্ণ আইনবিরোধী একটি কাজ। তাই যেহেতু এটি অপরাধমূলক একটি কাজ তাই এটি না করাই উচিত।

আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং বিশ্লেষণ সম্পর্কে জেনে নিন

আর্টিকেল স্পিনিং বলতে কোন একটা আর্টিকেল তৈরি থেকে অন্য একটি আর্টিকেল তৈরিকে বোঝায়। তার মানে হচ্ছে আপনি কোন একটা আর্টিকেলকে হুবহু কফি না করে সেই কথাগুলোকেই আপনি আপনার মত করে একটু ভিন্ন করে উপস্থাপন করাটাকে আর্টিকেল স্পিনিং বলে। 

আপনি অন্য কারোর আর্টিকেলকে হুবহু কপি না করে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে সে সমস্ত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে এ ধরনের কাজ করা যায়। তবে এটা কোন সঠিক উপায় নয় কারণ গুগল কোন ক্ষেত্রে যদি ধরতে পারে তাহলে সেটা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতি হতে পারে। 

অন্যদিকে আর্টিকেল ক্রাপিং হলো Free article sppinner.com এমন একটি ওয়েবসাইটের ভিতরে গিয়ে কোন একটি কিওয়ার্ড দিয়ে দেবেন, আর সেই ওয়েবসাইট আপনাকে পুরো একটি আর্টিকেল লিখে দিবে। তার মানে আপনি ক্রাপিং ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র কিওয়ার্ড দিচ্ছেন আর সেই সাইটটি আপনাকে পুরো আর্টিক্যালি দিয়ে দিচ্ছে। 

এ ধরনের ওয়েবসাইট কে আমরা বলি আর্টিকেল ক্র্যাপার। তবে এটা সঠিক উপায় নয়, কারণ google কর্তৃপক্ষ বা যে কোনো সার্চ ইঞ্জিন এটা বুঝতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

পরিশেষে

আপনি যদি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই স্ক্রিনশটস টেকনিকস-গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার-কপিরাইটিং-আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এবং আমি আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন। 

এ ধরনের নিয়মিত আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url