হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নিন | Rahul IT BD

হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে হতাশা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়, মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায়, মানসিক চাপ দূর করার উপায়, এবং নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
আপনারা যারা এ ধরনের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তারাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাই এই সমস্যার সমাধান পেতে যারা আগ্রহী তাদেরকে আজকের আর্টিকেলে স্বাগতম। 

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ আমাদের অনেকেই হতাশা ও দুশ্চিন্তা গ্রস্থ থাকেন এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেক সময় ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। আপনাদের দিক বিবেচনা করে আজকের আর্টিকেলটি আমার লিখা তাই আশা করি এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি ইনফরমেটিভ হবে সুতরাং আপনারা এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকলে, উক্ত সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন ইনশাল্লাহ।

হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

প্রত্যেকের জীবনে কমবেশি হতাশা ও দুশ্চিন্তা থাকে। যত নবী রাসুল পৃথিবীতে এসেছেন এবং আল্লাহর যত প্রিয় বান্দা গত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের জীবনেই হতাশা দুশ্চিন্তা এসেছে। তারা তাদের কঠিন সময় গুলোতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।

পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার ও বিপদ-আপদ দূর করার বিভিন্ন আমলের কথা উল্লেখ রয়েছে। এই আমল গুলার মধ্যে সর্বপ্রথম এবং প্রধান যে আমলের কথা বলব সেটা হলো জিক্রুল্লাহ বা আল্লাহর জিকির। আল্লাহর জিকির এর চেয়ে কার্য করার কোন ওষুধ নেই হতাশার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার। 

আল্লাহতালার জিকিরের মাধ্যমে মানুষের অন্তর প্রশান্ত হয়ে থাকে। মুখে আল্লাহতালার কথা বলা আল্লাহর সাথে একান্তে কথা বলা। নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করা। অর্থসহ বুঝে যদি কুরআন তেলাওয়াত করা যায় দেখবেন মানসিকভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অনৈতিকভাবে আপনার ভেতরে মানসিক প্রশান্তি তৈরি করে দিবে। 

বিশ্বাসী মোমিনরা তাই সর্বদা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করেন। তাওয়াক্কুল অর্থ নির্ভরতা ও ভরসা করা। তাওয়াক্কুল তথা কর্ম ফলের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করলে হতাশা ও দুশ্চিন্তা আসতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করল তবে তিনি তার জন্য যথেষ্ট।” 

দুশ্চিন্তা ও হতাশা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো ইতিবাচক চিন্তা ও কল্যাণমূলক পরিকল্পনা। কখনো কখনো মানুষ চেষ্টা প্রচেষ্টা ও কর্ম সম্পাদনের পর তা সুফল বা ভালো ফল না পেলে হতাশা দুর্ভাবনা ও দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত হয়। তাওয়াক্কুল মানুষকে হতাশামুক্ত সম্ভাবনাময় জীবন দান করে। 

আশা, উৎসাহ ,উদ্দীপনা ও সৎ সাহস নিয়ে সত্য- সঠিক ন্যায়ের পথে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে। ইস্তেগফার করলে হতাশা ও দুশ্চিন্তা এবং বিপদ আপদ দূর হয়। আল্লাহতালা বলেন ‘‘অতঃপর আমি বলেছি তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও তিনি তো মহা ক্ষমাশীল।” 

সালাত হল আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপনের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। । বান্দা যখন সিজদায় চলে যায় তখন আল্লাহর সবচেয়ে নিকটতম অবস্থানে চলে যায়। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোন হতাশা দুশ্চিন্তায় পড়তেন তখন তিনি সিজদায় চলে যেতেন। 

ইস্তেগফার করলে বিপদ আপদ দূর হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে, আল্লাহ তাকে সংকট উত্তোলনের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন এবং অকল্প নিয়ে উচ্চ থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।

মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

টেনশন বা দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনের সঙ্গে অত প্রেতো ভাবে জড়িত। টেনশন ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া আজকাল কঠিন ব্যাপার। মানসিক চাপ নিদ যন্ত্রের ক্ষতি সাধন করে। দুশ্চিন্তা স্বল্প পুষ্টির খাবার খাওয়া বা ব্যায়াম করার অনিহার ফলে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। 

মানসিক চাপের ফলে ও সৃষ্ট সমস্যা গুলো সাধারণত আরো ভয়াবহ হয়ে থাকে।  বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলা মেনে চললে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেগুলো হলো-

* মেডিটেশন-মানসিক চাপ দূর করে মনকে শান্ত করার জন্য মেডিটেশন একটি অত্যন্ত কার্যকরী ব্যায়াম। 25 মিনিট করে টানা তিন দিন মেডিটেশন করলে তার শরীরের দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ফলে মানসিক চাপ থেকে ব্রেনকে মুক্ত রাখে।

* নিজেকে ব্যস্ত রাখুন-আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন গেম খেলুন বা কোন হস্তশিল্প তৈরি করুন তাহলে দেখবেন মানসিক টেনশন থেকে আপনি নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। বলা হয়ে থাকে,‘‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’’। 

এটি কিন্তু বাস্তবিক সত্য। আপনি কোন কাজ না করে অলসভাবে শুয়ে বসে থাকলে মানসিক টেনশন বেড়ে যায়।

* ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন-মনের মধ্যে খুব জমা করে রাখার অভ্যাস কখনো হৃদ যন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। ক্ষমা করার পরিবর্তে খুব জামা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

* নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন-যারা সাধারণত টাইপ এ চরিত্রের মানে সবসময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান তারাই মূলত মানসিক টেনশন এ ভুগে থাকেন। অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি চরিত্রের শত্রুতার মনোভাব তৈরি করে।

* ক্যাফেইন নেয়া কমিয়ে দিন-কাফের খুব দ্রুত আপনার ইন্দ্রিয় কে সজাগ করে তোলে এবং মানসিক চাপ বর্ধক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে । তাই ঘনঘন চা কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন কেননা এসবই প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে।

* তালিকা তৈরি করুন-আপনার মনে হতে পারে আপনি শত শত সমস্যায় ভুগছেন। তাই আপনার দুশ্চিন্তা কারণগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন দেখবেন অল্প কয়েকটি পর আর কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা আপনার দুশ্চিন্তা কমাতে এবং আপনাকে মানসিকভাবে শান্তি দিতে সাহায্য করবে।

* বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান- সব সময় একাকী থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ক্ষতিসাধন করে থাকে। একা একা থাকলে মানসিক টেনশন বেশি হয়ে থাকে তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর।

* প্রাণ খুলে হাসুন-নিয়মিত আমল প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানসিকভাবে ভালো থাকা যায় তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে সব সময় হাসিখুশি থাকার এতে মানসিক চাপ কমবে।

* পর্যাপ্ত ঘুম-বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে না ঘুমিয়ে থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সুস্থ থাকতে হলে ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুম আবশ্যক। সঠিকভাবে ঘুম হলে ব্রেন ফ্রেশ থাকে হলে মানসিক টেনশন কম হয়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।

মানসিক চাপ দূর করার উপায় জানতে এই পোস্টটি পড়ুন

প্রায় মানসিক চাপ তৈরি করে নানা ধরনের ব্যক্তিগত সামাজিক সমস্যা।, মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় ঘুম না হওয়া কাজে মন বসাতে না পারা, দুশ্চিন্তা মানসিক অস্থিরতা প্রভৃতি। এগুলো শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে। তাই চাপ সামলাতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে মানসিক চাপ কমানো যায় এর জন্য কিছু টিপস রয়েছে সেগুলো হল-

* গান শুনুন-মাথা চাপ থাকলে কাজে মন বসানো কঠিন হয়। সে ক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন গান শুনুন গান শুনলে মন ভালো হয় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে গান।

* ভালো লাগার কাজ করুন-, আবৃত্তি, বই পড়া বাগান করা বা অন্য যে কোন পছন্দের কাজে সময় দিন। এ সময়টুকুতে অন্য সবকিছু ভুলে যান। মনের আনন্দে ভালবেসে ভালো লাগার কাজ করুন।

* প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান-কাছের মানুষদের সঙ্গে দেখা করুন সময় কাটান।। দেখা করা সম্ভব না হলে ফোনে কথা বলুন প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আপনার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করুন

* চা পান করুন-মানসিক চাপ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে চা। তাই চাপ কমাতে চা পান করতে পারেন তবে খুব বেশি চা পান করার অভ্যাস না করাই ভালো।

* বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন-দীর্ঘশ্বাস নিন। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে। ছেড়ে দিন এটা চাপ কমাতে ও মন শান্ত করতে সাহায্য করে

* ঠিকমতো খান-। খাওয়ার অনিয়ম করলে চলবে না ঠিকমতো খাওয়ার অভ্যাস করা, ফলমূল ও শাক সবজি বেশি করে খান পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

* ঘুরতে যান -মানসিক চাপ আপনার কাজের ক্ষতি করছে তা সেটা কমানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য কাজের ব্যস্ততা যতই থাকুক ঘুরে আসুন কোন জায়গা থেকে দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে। সেটা হতে পারে শহর থেকে দূরে প্রকৃতির কাছে কোথাও। আবার হতে পারে আপনার পছন্দের যে কোন জায়গা।

মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়-জেনে নিন

বর্তমানে মানসিক চাপ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছত অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হোক সেটা পারিপার্শ্বিক অবস্থা,, দুশ্চিন্তা ক্লান্তি কিংবা একঘেয়ে জীবন যা চাপ সৃষ্টি করে মনের ওপর। মন ভালো থাকার সঙ্গে শরীরের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। 

সেক্ষেত্রে এর চার দীর্ঘ সময় বয়ে বেড়ালে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের রোগ এমনকি হতে পারে হৃদরোগ। কেউ এই মানসিক রোগে ভোগলে উক্ত ব্যক্তির মধ্যে ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ এবং মানসিক যে পরিবর্তনগুলো আসতে শুরু করে তা হল হঠাৎ বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠা, নিজেকে সবার কাছ থেকে, গুটিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা দেয়। 

বেশি সময় ধরে মন খারাপ থাকা কথা বলতে না চাওয়া প্রতিবাচক চিন্তা করা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এর ফলে টক,, পেটের সমস্যা আলসারের মতো রোগের প্রবণতা বেড়ে যায়। 

মানসিক চাপ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মেডিটেশন খুব কার্যকরী। মেলেটেশন মনকে প্রশান্তি দেয় এবং মাংসপেশীকে শিথিল করে। নিয়মিত এবং পর শরীরের ক্লান্তি দূর করে মনকে প্রফুল্ল রাখে। সুষম খাদ্য তালিকা ও এর চাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 

নিয়মিত সুষম খাদ্য, ফল, শাকসবজি, প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যতটা সম্ভব তেলেভাজা, ঝাল, শর্করা ও চর্বি জাতীয়, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

মনের অশান্তি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

যখন কোন জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং নেগেটিভ ফলাফলের আশঙ্কা মনের মধ্যে বিরাজ করে এ থেকে এ বাঁচতে হলে ইতিবাচক চিন্তা করুন, কোন সমস্যা থাকলে তা নিরসনে উত্তম পথ খুঁজুন, প্রতিটা সমস্যার সমাধান আছে । 

এছাড়াও একাকী থাকার কারণে অনেকে মানসিক চাপ ফিল করে কোন রোগের পরবর্তী স্নায়ু দুর্বলতার কারণে এমন হয়।সুজনশীল কিছু করতে চেষ্টা করুন,নতুন কিছু কেনাকাটা করুন, না হয় ক্লোজ রিলেটিভ সাথে কথা বলতে পারেন। 

পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন যেমন আদা দিয়ে লাল চা অথবা আদা গ্রিন টি, ফলমূল শাকসবজি বেশি খাবেন। এলকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সৃষ্টিকরতার কাছে সাহায্য কামনা করলে তিনি একটা উপায় বের করে দেন তার কাছে সেখানে শুরু যেখানে মানুষের শেষ।

চিন্তা মুক্ত থাকার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

দুশ্চিন্তা করেন না এমন মানুষ নেই। মাথা থাকলে চিন্তা থাকবে আর চিন্তা থাকলে দুশ্চিন্তাও থাকবে। দুশ্চিন্তা একেবারে দূর করা হয়তো সম্ভব নয় কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনি খুব সহজেই দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখার বেশ কিছু টিপস রয়েছে সেগুলা ফলো করলে চিন্তামুক্ত থাকা যায়।-

* চিন্তা মুক্ত থাকার জন্য মেডিটেশন একমাত্র সমাধান। সকালে শান্ত পরিবেশে ১০ থেকে ১৫ মিনিটসন করুন তাহলে দেখবেন দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারছেন। 
*চোখ বন্ধ করে গভীরভাবে বুক ভরে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।
এভাবে পাশ থেকে দশ মিনিট করুন দেখবেন দুশ্চিন্তে দূর হয়ে যাবে।
* যখন দুশ্চিন্তা হয় তখন মানুষ শুধু মাত্র নিজের দুশ্চিন্তাকে মগ্ন থাকে এটা দুশ্চিন্ত আরো বেড়ে যায়। তাই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে দুশ্চিন্তার কারণ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে ভালো।
* শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে পরে মস্তিষ্ক ফ্রেস থাকে এবং চিন্তা মুক্ত থাকা যায়।
* চকলেট মানসিক চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কে ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে থাকে এবং মস্তিষ্ক শিথিলের কাজ করে উপাদানটি থাকে যে কারণে দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন আমি আশা করি আপনারা হতাশা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় ,মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায়, মনের অশান্তি দূর করার উপায়, এবং নিজেকে চিন্তামুক্ত থাকার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।

এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। সবশেষ আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url