ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় জানতে পোস্টটি পড়ুন
প্রিয় পাঠক আপনি কি ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে ক্লিক করেছেন। কারণ এই পোস্টটিতে ঘরে বসে থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোকপাত করা হয়েছে।
তাই আপনি যদি ঘরে বসে থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। তাই আর দেরি না করে কিভাবে আমরা ঘরে বসে থেকে ইনকাম করতে পারি সে সম্পর্কে জেনে নিই।
ভূমিকাঃঘরে বসে ইনকাম করার উপায়
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের দেশের অনেক ছেলে মেয়েদের মূলধন কম থাকার কারণে বাজারে বা কোন প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে কোন ব্যবসা পরিচালনা করা খুব কঠিন ব্যাপার। তাই আমরা অনেকেই ঘরে বসে থেকে ইনকাম করতে চাই। কিন্তু আমরা জানি না কিভাবে ঘরে বসে থেকে ইনকাম করা যায়।
এ সম্পর্কে বিভিন্ন উপায় জানার জন্য আমরা সাধারণত ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকি। আপনারা যারা এই সমস্যায় চিন্তিত আছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে ইনশাল্লাহ এর সমাধান পেয়ে যাবেন।
ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় জানতে পোস্টটি পড়ুন
আধুনিক যুগ প্রযুক্তির যুগ। বর্তমান আধুনিক যুগে প্রযুক্তির ছোয়ায় ছেলেরা যেমন ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারে ঠিক তেমনি ভাবে মেয়েদেরও ঘরে বসে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
এখন আর চাকরির জন্য বিভিন্ন অফিসে দৌড়াদৌড়ি-না করেও ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আর ঘরে বসে আয় করার ক্ষেত্রে মেয়েরা বর্তমান যুগে মোটেও পিছিয়ে নেই। তারা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে সক্ষম।
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা। আপনি যত বেশি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করার সুযোগ তৈরি হবে।
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায় গুলির কারণে তারা টাকা ইনকামের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি বাড়ির মানুষগুলিকে সময় দিতে পারে এবং চাইলে কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার জন্য অনলাইনে অনেকগুলো উপায় রয়েছে তবে তাদের বেশিরভাগই পুরুষদের জন্য উপযুক্ত হলেও কিছু উপায় আছে যা নারীরা করতে সক্ষম।
আধুনিক সমাজে মেয়েরা ঘরে বসে যেমন অর্থ উপার্জন করতে পারে তেমনি সে পরিবারের জন্য ও অবদান রাখতে পারে। নিজের উপার্জন করা টাকায় যদি পরিবারের কন্ট্রিবিউট করা যায় তার আনন্দটাই আলাদা।
ঘরে বসে মেয়েদের আয় করার সেরা কিছু উপায় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। এই আর্টিকেলটি মেয়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান হিসেবে কাজ করবে, যারা ঘরে বসে উপার্জন করতে চান।
মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার এ প্রাসঙ্গিক উপায় অনুসরণ করে, আপনি নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে উন্নত করতে পারেন। আসুন জেনে নেই উপায় গুলো সম্পর্কে।
১. অনলাইনে পাঠদান- মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল অনলাইনে পাঠদান করা। আপনি যে বিষয়ে ভাল দক্ষতা ও জ্ঞান রাখেন সেই বিষয়কে কেন্দ্র করেই অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে পারেন।
এতে করে লেখাপড়া করার পাশাপাশি মেয়েরা ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করতে পারে। এজন্য আপনাকে একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হবে না, বরং আপনি নিজে সুবিধামতো সময়ে ক্লাস সিডিউল করতে পারবেন।
অনলাইনে পাঠদান করে মেয়েরা যে টাকা উপার্জন করে তা যেমন তার নিজের পড়াশোনার কাজে বা ব্যক্তিগত কাজে খরচ করতে পারে তেমনি সে পরিবারের জন্য ও অবদান রাখতে পারে। নিজের উপার্জন করা টাকায় যদি পরিবারের কন্ট্রিবিউট করা যায় তার আনন্দটাই আলাদা।
২. ব্লগিং করে আয়- আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে অনলাইন ব্লগিং করার কথা ভাবতে পারেন। আপনি বাসায় বসে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে কিংবা একটি ওয়েবসাইট কিনে নিয়ে সেখানে ব্লগিং করে আয় করতে পারেন।
এর জন্য আপনি লাইফ স্টাইল, মুভি, সাজসজ্জার সরঞ্জাম, ফ্যাশন, ট্রাভেল গার্ডেনিং, ফুড বা অন্য কোন শিক্ষাগত বিষয়কে ট্রপিক হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আবার নিজের জীবনে প্রথম ঘটনাগুলো কেউ ব্লক হিসেবে পোস্ট করতে পারেন।
৩. ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ইনকাম- আপনি ফেসবুক ও ইউটিউবে পেজ এবং চ্যানেল খুলে যে বিষয়ে আপনি পারদর্শী সে বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে বা ফেসবুকে এড দিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।
৪. মুরগির খামার- বাড়িতে মুরগির খামার করে সেখান থেকে ডিম ও মুরগি উভয় বিক্রি করে মুনাফ অর্জন করতে পারেন। এজন্য মেয়েদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই তারা বাড়িতেই ছোট্ট একটি জায়গায় মুরগির খামার করে এটার মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারে।
৫. সেলাইয়ের কাজ- সেলায়ের কাজের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি সেলাইয়ের কাজ করতে পারেন তাহলে এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। এটার মাধ্যমে আশেপাশের পারামহল্লার মেয়েদের পোশাক বানিয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
৬. গহনা তৈরি- গহনা পছন্দ করে না এমন মেয়ে নেই বললেই চলে। আপনি বাসায় বিভিন্ন ধরনের গহনা তৈরি করে সে গহনা অনলাইনে বা অফলাইনে বিক্রি করে ভালো অর্থ আয় করতে পারেন।
৭. অনলাইনে ট্রেনিং- আপনি যে জিনিসটা সবথেকে ভালো পারেন বা বোঝেন সেটার উপরে অনলাইনে ট্রেনিং করাতে পারেন। আপনি যদি রান্না করতে ভালো পারেন, তাহলে আপনি অনলাইনে রান্না করার উপর ট্রেনিং করাতে পারেন, আপনি যদি সেলাই ভালো করেন, তাহলে সেলার উপর ট্রেনিং করাতে পারেন।
আপনি যদি নাচ ভালো পারেন তাহলে নাচের উপরে ট্রেনিং করাতে পারেন, আর আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো কথা বলতে পারেন তাহলে আপনি ইংরেজি শিক্ষার উপর অনলাইনে ট্রেনিং করাতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি যে বিষয়টা ভালো বোঝেন সে বিষয়টার উপরে অনলাইনে ট্রেনিং করিয়ে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারেন। অনলাইন ট্রেনিং এর মাধ্যম হতে পারে আপনার জন্য ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়।
৮. মাছের খামার- অল্প পুজিতে আপনি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে মুনাফ অর্জন করতে পারেন।
৯, বিউটি পার্লার করে- প্রতিটা মেয়েই সাজগোজ করাকে পছন্দ করে। আর সুন্দরভাবে সাজগোজ করার জন্য আমরা বিউটি পার্লারে যেয়ে থাকি। এজন্য প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বিউটি পার্লারের চাহিদা বেশ জনপ্রিয়।। আপনি একটি পার্লার খুলে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।
১০. শিশুদের ডে কেয়ার সেন্টার- বর্তমানে আমাদের সমাজে অনেক কর্মজীবী মায়েরা আছে যারা তাদের শিশুদের ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে তার কর্মে যান। আপনি যদি একটি ডে কেয়ার সেন্টার খুলেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ভালো অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
১১. পিঠা তৈরি- বাসায় তৈরি করা পিঠা সবাই পছন্দ করে তাই আপনি চাইলে বাসায় পিঠা বানিয়ে সেটা ফেসবুকে অ্যাড করে বিক্রি করতে পারেন। এতে ভালো অর্থ উপার্জন সম্ভব।
মেয়েদের জন্য ঘরে বসে এই ব্যবসাটি হতে পারে একটি উত্তম ব্যবসা। এখন বিষয় হচ্ছে যে, সে এই থ্রিপিস বা কাপড় কিনবে কোথায় থেকে? এর জন্য সবচেয়ে উত্তম জায়গা হল ইসলামপুর কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেট।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা কিছু স্মল বিজনেস আইডিয়া
যদি সে ইন্ডিয়ান শাড়ি বা ইন্ডিয়ান থ্রি পিস কিনতে চাই তাহলে তার জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেট হলো ঢাকা বঙ্গ বাজার। তাই এটি একটি অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে। এবার আপনি হয়তো ভাবছেন যে এগুলো সেল করবো কোথায়, যে সমস্ত জায়গায় গার্জিয়ানদের ভিড় বা আড্ডা চলে সেখানে।
মনে করেন যে, কোন কিন্টার গার্ডেন স্কুলের সামনে বাচ্চার মায়েরা বাচ্চাদের স্কুল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকে। সেখানে আপনি যদি একটি ব্যাগের মধ্যে করে থ্রি পিস ইন্ডিয়ান।
অথবা বাংলাদেশি কাপড় পাশাপাশি জুয়েলারি, কসমেটিক্স কিছু নিয়ে গেলেন, তাদেরকে আপনার প্রোডাক্ট কিছু দেখালেন এর মাধ্যমেও আপনার সেল সেখান থেকে আসবে।
মেয়েদের জন্য এ ব্যবসাটি হতে পারে চমৎকার একটি ব্যবসা। জুয়েলারি এবং কসমেটিকের মালামাল কিনতে চাইলে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় মার্কেট হলো চকবাজার। সেখানে সে পাইকারি দামে সমস্ত ধরনের পণ্য পেয়ে যাবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে যে এগুলো কোথায় বেচবো?
যেখানে আমাদের মা বোনেরা অবসর সময় আড্ডা দিয়ে থাকে, সে সমস্ত জায়গাতে সুন্দর ব্যাগে করে কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে যে দেখালেও আপনার সেল আসবে। এমন আরো অনেক উপায় সেল করার জন্য, আপনাকে শুধু ভাবতে হবে, কোথায় গেলে আমার প্রোডাক্ট সেল করা সম্ভব।
আমাদের দেশে অনেক মেয়ে আছে বা গৃহিনী আছে যারা বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ জেনে থাকে। যারা সেলাইয়ের কাজ ভালো জানে তারা ঘরে বসে সেলাইয়ের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। ঘর সাজানোর জিনিস যেমন- শো-পিচ রয়েছে।
যারা ভালো শো-পিচ তৈরি করতে পারেন, তারা শো-পিচ তৈরি করে, অনলাইন বা অফলাইনে সেল করতে পারেন। আপনি যদি ভালো নকশি কাঁথা তৈরি করতে পারেন, সেটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।
কারণ শীতকালে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে, নকশী কাঁথার মান ভালো করতে পারলে আপনার বিক্রি নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না।
আপনি যদি ভালো রাধুনী হন তাহলে ফুড হোম ডেলিভারি এর ব্যবসা করতে পারেন। তারপরে বিভিন্ন ছোট ছোট অনুষ্ঠানের রান্নার দায়িত্ব নিতে পারেন। এছাড়াও পিঠা, চানাচুর, লাড্ডু জাতীয় বিভিন্ন খাবার বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
আপনি নিজে ভাল সেলাই করতে পারলে, কোন পুঁজি ছাড়াই একটা অনলাইন বুটিক খুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনলাইনে যে অর্ডার পাবেন সেটা বাসায় বসে করবেন। তারপর কাস্টমারকে ডেলিভারি দিবেন। এটি মেয়েদের ইনকামের অন্যতম উপায় হতে পারে।
আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পোশাক ডিজাইনারের উপর বা টি শার্ট ডিজাইনার এর উপর ট্রেনিং নিয়ে নিজে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি আপনার জন্য লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।
ফিটনেস সেন্টারঃ বর্তমানে ভালো লোকেশন দেখে ফিটনেস সেন্টার খুলতে পারলে বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়েরা শারীরিক ফিটনেস এর মাধ্যমে যেমন উপকৃত হবে, তেমনি আপনার জন্য হতে পারে খুবই স্ট্যান্ডার্ড একটি বিজনেস।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা হতে পারে। অনেক মার্কেটার আছে, যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলার এর বেশি ইনকাম করে থাকে।
অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে সার্ভে করে আপনি কিন্তু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। সার্ভে ওয়েবসাইট গুলোতে একাউন্ট করে যখন আমরা সার্ভে করা শুরু করি।
সার্ভে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন কোম্পানি টাকা দেয় তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কে একেবারে একচুয়াল ইনফর্মেশন গুলো ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে জানার জন্য তারা এই সার্ভে রিপোর্ট করিয়া থাকে।
তার উপর বেশ করে তারা প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে থাকে। প্রত্যেক সার্ভ করার পর আপনি ১ থেকে ২ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। সেটা নির্ভর করে ছাড়বে ওয়েবসাইটের উপর।
ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেনঃ আপনার যদি এ ব্যাপারে কোন দক্ষতা না থেকে থাকে তবে যে কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আমি ফ্রি কোর্সের মাধ্যমে শেখেন বা youtube ভিডিওর মাধ্যমে শিখতে পারেন।
ইউটিউব হল চলমান একটি ইউনিভার্সিটি, যে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে কোন বয়স লাগে না, কোন সার্টিফিকেট লাগেনা, যেকোনো বয়সের মানুষ, যেকোনো টপিক নিয়ে এই চলমান ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে শিখতে পারে। যারা শুধু লিখতে পারেন কম্পিউটারে, তারা শুধু ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন, আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করতে পারেন।
যাদের কম্পিউটারের উপরে ভালো নলেজ রয়েছে তাদের ইনকামের সম্ভাবনাটা অনেক বেশি রয়েছে তবে যারা কম্পিউটার নলেজ কম রয়েছে তাদের সম্ভাবনাটাও কিন্তু কম নয়। ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় হতে পারে।
ই-কমার্সঃ ই-কমার্স হলো অনলাইনে কেনাকাটা সম্পর্কে যে বাণিজ্য সেটাই হলো ই কমার্স। আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে আপনি সেই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন।
আবার আপনার একটি যদি ওয়েবসাইট থেকে থাকে সে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে।
আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে আপনি সেই ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপন দেখে আপনি প্রোডাক্ট সেল করেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এটি আপনার জন্য ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ একটি উপায় হতে পারে।
ই-কমার্স শুরু করার জন্য আপনার যে অনেক জ্ঞান থাকতে হবে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। আপনার যদি ফেসবুক পেজ থাকে, ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি ই-কমার্স বিজনেস করার যোগ্য। ই-কমার্স করতে হলে আপনি যত বেশি জানবেন তত বেশি আপনার উপার্জন হবে।
ভিডিও মেকিংঃ আপনি যদি ঘরে বসে ভিডিও মেকিং করেন, তাহলে ঘুমিয়ে থেকেও ইনকাম করা সম্ভব হয়। কারণ আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ আপনার ভিডিও দেখতে থাকে এবং সেখান থেকে আপনার টাকা উপার্জন হতে থাকবে।
তাই আপনি ইউটিউবে ভিডিও মেকিং শুরু করতে পারেন, youtube ভিডিও থেকে আপনি চার ভাবে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
প্রথমতঃ ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনকাম হতে পারে, দ্বিতীয়তঃ ভিডিওতে বিভিন্ন ব্যক্তির স্পন্সর নিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন, তৃতীয়তঃ সুপার চ্যাটের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন,
চতুর্থতোঃ ভিডিওর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আপনি ইনকাম করতে পারেন। তাই ভিডিও মেকিং হতে পারে আপনার জন্য ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়।
অনলাইনে কোন ওয়েবসাইটে বা কোন জায়গায় লেখালেখি করাটাই হলো ব্লগ। আপনি যদি গঠনমূলক একটি আর্টিকেল বা ব্লগ লিখেন তাহলে দেখা যায় যে আপনি ইনকাম ঐ একটি আর্টিকেল দ্বারা ইনকাম পেতেই থাকবেন। আবার অনেকের কাছে কনটেন্ট চাইলে বিক্রিও করতে পারেন।
কারণ অনেকের ওয়েবসাইট আছে কিন্তু সে লেখালেখি করার ততটা সময় পায়না, তাই তার ওয়েবসাইটটি কন্টিনিউ রাখার জন্য কনটেন্ট রাইটার দ্বারা লিখিয়ে থাকেন। সুতরাং আপনি যদি ভালো আর্টিকেল রাইটার হতে পারেন বা ভালো ব্লগ লিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই কাজটি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় হতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অনেক বড় বড় কোম্পানির ওয়েবসাইট রয়েছে যে সমস্ত ওয়েবসাইটে তাদের প্রচুর প্রোডাক্ট রয়েছে। সে সমস্ত কোম্পানির ওয়েব সাইটের অ্যাফিলিয়েট লিংক নিয়ে, আপনি যদি তাদের প্রোডাক্ট সেল করে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি সেখান থেকে এফিলিয়েট কমিশন পেয়ে যাবেন।
এটা হতে পারে আপনার জন্য অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়। যারা অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রদান করে তাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি তাদের প্রোডাক্ট সেল করে আপলোড কমিশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
সেই লিংকটা আপনি আপনার ফেসবুকে দেন, ইউটিউবে দিতে পারেন, সেই লিংক ধরে কেউ যদি সেই সাইটে গিয়ে প্রোডাক্ট কিনে, তাহলে আপনি অবশ্যই সেই প্রোডাক্ট এর কমিশন পেয়ে যাবেন। এটাই এফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলেট মার্কেটিং করতে কোন পুঁজি লাগে না, লাগে শুধু যথাযথ জ্ঞান।
অনলাইন কনসালটেন্টঃ আপনি যদি রিলেশনশিপ ভালো বোঝেন তাহলে আপনি অনলাইনে রিলেশনশিপ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করতে পারেন। আজকাল বৈবাহিক জীবনে অনেক সমস্যা দেখা দেয় সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এডভাইস দিতে পারেন।
আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ভালো প্ল্যানিং বুঝেন তাহলে তাদেরকে আপনি আপনি প্ল্যানিং অ্যাডভাইজার হিসেবে অনলাইনে কাজ করতে পারেন।
আপনি খেলাধুলা ভালো বুঝে থাকলে আপনি খেলাধুলার সম্পর্কে অনলাইনে এডভাইজার হিসেবেও কাজ করতে পারেন।
আর্টিকেল রাইটার/ব্লগ রাইটারঃ অনলাইনে কোন ওয়েবসাইটে বা কোন জায়গায় লেখালেখি করাটাই হলো ব্লগ। আপনি যদি গঠনমূলক একটি আর্টিকেল বা ব্লগ লিখেন তাহলে দেখা যায় যে আপনি ইনকাম ঐ একটি আর্টিকেল দ্বারা ইনকাম পেতেই থাকবেন।
আবার অনেকের কাছে কনটেন্ট চাইলে বিক্রিও করতে পারেন।
কারণ অনেকের ওয়েবসাইট আছে কিন্তু সে লেখালেখি করার ততটা সময় পায়না, তাই তার ওয়েবসাইটটি কন্টিনিউ রাখার জন্য কনটেন্ট রাইটার দ্বারা লিখিয়ে থাকেন।
সুতরাং আপনি যদি ভালো আর্টিকেল রাইটার হতে পারেন বা ভালো ব্লগ লিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই কাজটি করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটরঃ আপনি একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। এই কাজ আপনি ঘরে বসেও করতে পারেন। ভিডিও এডিটর একটি স্বাধীন পেশা, যারা ভিডিও আপলোড করতে চাই, তাদের ভিডিও আপনি এডিট করে কাজ করে দিতে পারেন এবং তার মাধ্যমে আপনি পেমেন্ট নেবেন।
তাই ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করে চমৎকার ইনকাম করার সুযোগ আপনার রয়েছে। এটি হতে পারে আপনার জন্য অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়।
ই-টিউটরঃ আপনি ই-টিউটর শুরু করতে পারেন। আপনি যদি আরবি ভালো পারেন, আর যারা আরবি জানে না, আপনি তাদেরকে ই-টিউটর মাধ্যমে আরবি শিক্ষা দিতে পারেন। স্কাইপ এর মাধ্যমে পড়ান, imo এর মাধ্যমে পড়ান, whatsapp এর মাধ্যমে পড়াতে পারেন।
বর্তমানে এখন ই-টিউশন শুরু হয়েছে, এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। তাহলে ই-টিউশন হতে পারে ইনকামের অন্যতম মাধ্যম।
ওয়েব ডেভলপারঃ আপনি যদি ওয়েব ডেভলপারের কাজ না জানেন, তাহলে যে কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ শিখে, আপনি ওয়েবসাইট ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে পারেন, যখন আপনার ওয়েবসাইট ডেভলপারের কাজ সম্পূর্ণভাবে আপনার আয়ত্তে চলে আসবে।
তখন ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে ঘরে বসে আপনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি হতে পারে আপনার জন্য ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারঃ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সের হিসাবে আপনি কাজ করতে পারেন বিভিন্ন কোম্পানির সাথে।
কারণ আজকাল বড় বড় কোম্পানির ফেসবুক লাগতেছে, টুইটার লাগতেছে, instagram লাগতেছে, ইমো লাগতিছে এবং তারা সেটা ম্যানেজ করার জন্য একজন কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়।
অনেক কোম্পানি যারা এই পারপাসে অনেক টাকা ব্যয় করে থাকে, তাই আপনি যদি কয়েকটি কোম্পানির সাথে চুক্তি করে এ ধরনের কাজগুলো করে দেন, তাহলে আপনি প্রতি মাসে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সের হিসাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে সেটি হতে পারে আপনার জন্য ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ মাধ্যম।
মেয়েদের পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করার কার্যকরী উপায় জানুন
পড়ালেখার পাশাপাশি অনেক প্রতিকূল পরিবারের ছেলেমেয়েরা অল্প বয়স থেকে বিভিন্ন কাজের মধ্যে ঢুকে যায়। পরিবারের অবস্থা সচ্ছল হলেও বাবা মায়ের কাছ থেকে টাকা না নিয়ে যদি নিজে উপার্জন করা যায় সেই উপার্জনটা যদি হয় খুবই সামান্য তারপরও সেটাতে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়।
ছাত্র অবস্থায় প্রতিটা ছেলেমেয়ে চায় আত্মনির্ভরশীল হতে। নিজের হাত খরচার কিছু টাকা পরিবারের কাউকে উপহার দেওয়া এগুলো যদি নিজে উপার্জনের টাকা দিয়ে করা যায় তাহলে আলাদা একটা শান্তি পাওয়া যায়। পড়ালেখার পাশাপাশি অনেক ছেলে মেয়েরাই বিভিন্ন রকম পার্টটাইম কাজ করে থাকে।
এক বা অধিক উপায়ে এই আয় করা যায় সেগুলো হলঃ
* টিউশনি-পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার কথা চিন্তা করলেই প্রথমে আসে টিউশনি। অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজে চালিয়ে থাকে।
কিছু পদ্ধতি এপ্লাই করে খুব সহজ স্টুডেন্ট ম্যানেজ করা যায়। টিউশনিতে শুধু টাকা আয় জন্যই করা হয় তা কিন্তু নয় এটা অনেক আনন্দ দিতে পারে।
* হাতের কাজ-লেখাপড়ার পাশাপাশি হাতের কাজের মাধ্যমেও আয় করা যায়। অনেকে অনেক কিছুই করে শখ হিসাবে এবং এসব থেকে অনেক আয় করা সম্ভব।
* ফটোগ্রাফি-বর্তমান সময়ে ছবি তোলাটা একটা শখে পরিণত হয়েছে। ফোনে ছবি তুলে না এমন লোকের সংখ্যা নেই বললেই চলে। ছবি তোলা কে প্রফেশন হিসেবে নিতে পারলে, প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির দিকে মনোযোগ যদি থাকে।
তবে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ম্যানেজ করে ফটোশুট করে আয় করা যায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা বিয়ে বাড়িতে যেয়ে ছবি তুলে আয় করা যেতে পারে।
* facebook-বর্তমান সময়ে ফেসবুক ব্যবহার করেনা এমন লোকের সংখ্যা নেই বললেই চলে। শুধু হাই হ্যালো হিসেবে facebook কে ব্যবহার না করে এটাকে আয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্যবসার জন্য এটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে তাতে গ্রাহক আনা ও তাদের কাছে প্রোডাক্ট পৌছিয়ে দিয়ে আয় করা যায়।
* রেস্টুরেন্টে বা হোটেলে-পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে আয় করার যেমন সুযোগ রয়েছে তেমনি কোন রেস্টুরেন্টে বা হোটেলে ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করেও আয় করা যেতে পারে।
* workshop-নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ভালো দখল থাকলে তা মানুষকে ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শেখানো যেতে পারে। একটি নির্দিষ্ট এন্ট্রি ফি এর মাধ্যমে এই ওয়ার্কশপটি করলে আয় করা সম্ভব।
* ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট-দেশের আনাচে-কানাচে নানা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রমোশনের কাজে নিয়োজিত। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারা যায় আবার ব্যবস্থা করা যায়।
* ফ্রিল্যান্সিং-বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং আয়ের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম। অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করছে।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি মেয়েরা কিভাবে ঘরে বসে আয় করবে সে উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়েছেন।
এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। সবশেষে আমি তার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url