মুখের আঁচিল দূর করার ক্রিম এবং আঁচিল দূর করার ক্রিম-শতভাগ কার্যকার | Rahul IT BD

মুখের আঁচিল দূর করার ক্রিম এবং আঁচিল দূর করার ক্রিম-শতভাগ কার্যকার

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে আঁচিল দূর করার ক্রিম, উপায়, মুখের আঁচিল এবং হাতের আঁচিল দূর করার উপায় পাশাপাশি আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এসব সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে, এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
আঁচলি দূর করার ক্রিম এবং আঁচলি দূর করার উপায়
তাই আর বেশি দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে আমরা আঁচিল অপসারণ করতে পারি সে সম্পর্কে জেনে নিই।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই আঁচিলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকেন এবং এর সমাধানের উপায় জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। 

তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে, কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে আঁচিল দূর করা সম্ভব। সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।

আঁচলি দূর করার ক্রিম-যেভাবে ব্যবহার করবেন ১০০% কার্যকর

আঁচিল সাধারণত কয়েকটি কারণে হতে পারে। হঠাৎ করে যাদের ওজন বৃদ্ধি পায় বা ওজন বেড়ে যায় তাদের গলায় বা বিভিন্ন জায়গাতে আঁচিল দেখা যায় আবার যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদেরও বিভিন্ন জায়গাতে আঁচিল দেখা যায়। 

আরেকটি বিষয় আছে বংশগত, বংশগতভাবেও অনেক সময় আঁচিল দেখা যায়। খুব সহজেই আঁচিল দূর করা যায় এটার জন্য যে ওষুধ ট্যাবলেট খেতে হবে এমনটা নয়। 

আঁচিল দূর করার জন্য কিছু ক্রিম রয়েছে, যে ক্রিম ব্যবহারের ফলে আপনি আঁচিল সহজে দূর করতে পারবেন। নিচে সেই ক্রিমগুলোর ছবি দেওয়া হল। 
আঁচলি দূর করার ক্রিম
  • কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই
  • আক্রান্ত স্থানের কালো দাগ দূর করবে
  • এক সপ্তাহের মধ্যে রেজাল্ট পাওয়া যাবে
  • আঁচিল রিবুভ করবে শতভাগ
  • ক্রিম ব্যবহারের ফলে জ্বলতে পারে তবে ধৈর্য ধরে ব্যবহারের ফলে ভালো রেজাল্ট পাবেন
অনেকেই লেজার অপারেশন এর মাধ্যমে আঁচিল অপসারণ করে থাকেন। অনেকে জানতে চায় যে এই অপারেশনের পরে আবার নতুন করে আঁচিল আসতে পারে কিনা। 

এক্ষেত্রে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে দ্বিতীয়বার সেটা আসে না আবার কারো কারোর ক্ষেত্রে দু-একটা হয়তো আসতে পারে যেটা পুনরাই ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। 

বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে এ সমস্যার সমাধান করার পরে দ্বিতীয় বার আর আঁচিল তার দেখা যায়নি। একইভাবে কিছু কিছু তিলের মত দেখা যায় যেগুলো হাতে নাড়াচাড়া করলে হাতে বাধে। এই তিলগুলো মেশিনের মাধ্যমে বা লেজার অপারেশনের মাধ্যমে কিন্তু অপসারণ করা সম্ভব হয়।

আঁচলি দূর করার উপায়-সম্পর্কে জানুন শতভাগ কার্যকর

আঁচিল নিয়ে মানুষ অনেক ভাবে আক্রান্ত থাকে। কি করবো কি করা উচিত তা নিয়ে মানুষ নানান ধরনের চিন্তায় থাকে। আবার অনেকে চুন দিয়ে পানের বোঁটা দিয়ে অনেক চেষ্টা করে থাকে আঁচিল দূর করার জন্য অনেক সময় দেখা যায় কারোর কারো  লাভ হয় অনেকের আবার কোন কাজই হয় না। 

আঁচিলের জন্য মানুষের অনেক ধরনের নাজিহাল তৈরি হয়। আঁচিল অপসরণের জন্য অনেকের মনের ভয় থাকে এগুলো কাটাছেঁড়া করলে বা অপারেশন করলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে, রক্ত বের হবে তাই অনেকেই আঁচিল দূর করতে চায় না। 

কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে শরীরে কাঁচি  ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই লেজার অপারেশনের মাধ্যম দিয়ে আঁচিল সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করানো সম্ভব। এক্ষেত্রে একটি ক্রিম আঁচিলে ব্যবহার করে ৪০ মিনিট পর্যন্ত রাখা হয় তারপরে লেজার মেশিন দিয়ে সেটা অপসারণ করানো হয়। 

এখানে অস্ত্র পাচারের কোন বিষয় নেই সম্পূর্ণভাবে লেজার অপারেশন করে এটি অপসারণ হবে। লিজার অপারেশন এর ক্ষেত্রে খুব বেশি সময় লাগে এমনটা নয়, এক ঘন্টার ভিতরে এই কাজটা কমপ্লিট করা হয়ে যায়।

মুখের আঁচলি দূর করার উপায় এবং আঁচলি দূর করার ঘরোয়া উপায়-১০০% কার্যকর

আঁচিল শুধু যে মুখে হয় তা নয় শরীরের যেকোনো জায়গায় আঁচিল হতে পারে। যদিও আঁচিল দূর করতে লেজার অপারেশন রয়েছে। যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হয়ে থাকে। তার পরেও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতির মাধ্যমেও আঁচিল ভালো করা সম্ভব। 

আঁচিল দূর করতে ব্রেকিং সোডা এবং ক্যাস্ট্রর ওয়েল ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক থেকে দুই চামচ ক্যাস্ট্রর ওয়েল এবং এক চামচ ব্রেকিং সোডা নিয়ে ভালো করে মিক্স করে তা আঁচিল এর উপর লাগিয়ে সারারাত ঘুমাতে পারেন। 

তারপর সকলে ঘুম থেকে উঠে এই পেস্টটি ভালো পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন একটানা করতে থাকলে আঁচিল দূর হয়ে যাবে। 

আরো একটি পদ্ধতি রয়েছে আনারসের রস তুলোর মধ্যে ভালোভাবে লাগিয়ে তা আচিলে ব্যবহার করতে হবে তারপর আঠালো ব্যান্ডেজ বা টেপ দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিতে হবে। 

তারপরে কয়েক ঘন্টা এভাবে রেখে টেপ বা ব্যান্ডেজ তুলে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন এভাবে প্রতিদিন করলে আঁচিল দূর হয়ে যাবে। 

তারপরে আরো একটি পদ্ধতি রয়েছে একটি পেঁয়াজ পরিষ্কার করে ধুয়ে টেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপরে সেই পেস্ট আঁচিলের উপরে ভালো করে দিয়ে রাখতে হবে। 

তারপরে মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধরে রাখতে হবে। এভাবে এক ঘন্টা রাখতে হবে। প্রতিদিন পেঁয়াজের এই পেস্ট লাগালে আঁচিল ভালো হয়ে যাবে। এই পদ্ধতির সাথে আপনি চাইলে সামান্য লবন বা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। 


অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে এসিড থাকার কারণে আঁচিল দূর করতে বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে এক টুকরো তুলা নিতে হবে সে তুলা অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে ভালো করে ভিজিয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। 

তারপর কয়েক ঘন্টা এভাবে রেখে দিবেন, রেখে দেওয়ার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

এভাবে ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যে আপনার আঁচিল দূর হয়ে যাবে। ঘরোয়া উপায়ে আঁচিল দূর করতে কিছু রসুনের টুকরা এবং লবঙ্গ ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে আপনার আঁচিলের উপরে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। 

তারপরে এটির উপরে একটি আঠালো ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নিতে হবে এবং সারারাত ঘুমানোর পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি আঁচিল দূর করতে পারবেন। 

এই সমস্ত পদ্ধতি আপনি প্রতিনিয়ত যদি এপ্লাই করতে থাকেন তাহলে দেখবেন যে আঁচিল আপনার দূর হয়ে যাবে।

হাতের আঁচলি দূর করার উপায় এবং মুখের আঁচিল দূর করার ক্রিম-সম্পর্কে জানুন

খুব সহজেই আঁচিল দূর করা যায় সেটা হাতে হোক বা বিভিন্ন জায়গাতেই হোক না কেন। ইলেকট্রিক সার্জারি বা লেজার সার্জারির মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই আঁচিল দূর করতে পারি, যা খুব সীমিত সময়ের মধ্যেই সম্ভব। কোনরকম ব্যথা অনুভব ছাড়াই। 

এক্ষেত্রে যে স্থানে আঁচিল হয়েছে আঁচিলের উপরে একটা ক্রিম ব্যবহার করা হয় যে ক্রিমটা ব্যবহার করলে ওই জায়গাটা বা আঁচিলের গোড়াটা অবশ হয়ে যায় তারপরে লেজার অপারেশনের মাধ্যমে সেটা অপারেশন করা হয়ে থাকে খুবই সহজ একটা অপারেশন। 


সব মিলিয়ে এটা এক ঘন্টার মধ্যেই এই অপারেশন সম্ভব হয়। যখন আঁচিলের গোড়ায় লেজার অপারেশন হয় তখন প্রতি মিনিটে একটা দুইটা করে আঁচিল অপসারণ করা সম্ভব। এখানে কোন রকম কাটাছেঁড়া নেই রক্তপাতের ঘটনা নেই সেলাই করার বিষয় নেই। 

খুবই সাধারণ এবং স্বাভাবিক অপারেশন আপনারা চাইলেই অপারেশনটা করি অপসারণ করতে পারেন আপনাদের আঁচিল। তাই টেনশন না করে আঁচিল নিয়ে সমস্যায় ভুগে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে লেজার অপারেশন করুন। 

আঁচিল থেকে মুক্তি নিন। তারপরে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করতে বলা হয়।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি আপনারা সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন পাশাপাশি উপকৃত হয়েছেন। এ ধরনের নিয়মিত আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। 

আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের পাশেই থাকুন। সবশেষে আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url