মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় এবং ঘরোয়া বিউটি টিপস-Skincare tips | Rahul IT BD

মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় এবং ঘরোয়া বিউটি টিপস-Skincare tips

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়, উপকারিতা, ঘরোয়া বিউটি টিপস এবং রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা ত্বকের পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে আজকের এই আর্টিকালে স্বাগতম।
মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় এবং ঘরোয়া বিউটি টিপস
তাই আর বেশি দেরি না করে আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনারা অনেকেই ঘরে বসে ইন্টারনেটের সার্চ করে থাকেন কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে, ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে ত্বকের সৌন্দর্য এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা উপকৃত হবেন।

মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়-শতভাগ কার্যকারী

মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ত্বককে নরম রাখে বলিরেখা ও ত্বকের কাছে ভাব দূর করে। এছাড়াও ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। খুব কম সময়ে উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মধুর কোন বিকল্প নেই। 

ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা প্রায় সময়ই বিউটি পার্লারে যেয়ে পার্লারিং করে থাকি। তাতে আমরা খুব ভালো রেজাল্ট পায় না। আমরা চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করতে পারি সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করছি। 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে করতে হলে প্রথমে আপনার লাগবে কাঁচা দুধ, চা চামচের 2 চামচ তারপরে লাগবে এক চামচ খাটি মধু মধু অবশ্যই এক্ষেত্রে খাঁটি হতে হবে, অর্গানিক হতে হবে ভেজাল মধু হলে হবে না। এরপরে এই উপাদানকে খুব ভালো করে মিশ্রণ করতে হবে। তার

পরে একটি নরম কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে ত্বককে হালকা করে লাগিয়ে দিতে হবে এতে করে ত্বকের যে সমস্ত জীবাণু বা ময়লা রয়েছে তা কাটতে সহায়তা করে এবং মুখের তৈলাক্ত ভাবকে কমিয়ে ফেলে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। 

আরেকটি পদ্ধতি হলো এক চামচ মধু নিয়ে তার মধ্যে 1 থেকে 2 চামচ চিনি তারপরে একটি লেবুর রস ভালো করে চিপে, মিশ্রন করে নিতে হবে এই উপাদানগুলো আমাদের ত্বকের মধ্যে ময়লা জীবা দূর করতে সহায়তা করবে, পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনারা এভাবে তকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। যা ত্বকের কোন ক্ষতি করবে না সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের চর্চা করা যেতে পারে। কারণ এ সমস্ত উপাদানের ভেতরে কোন প্রকার কেমিক্যাল নেই যা তোকে ক্ষতি করতে পারে।

মুখে মধু মাখার উপকারিতা-অবিশ্বাস্য হলেও সত্য 100% কার্যকর

প্রিয় বন্ধুরা মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, জিংক এবং লৌহ। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মধুর সবচাইতে ভালো দিক হলো সব ধরনের মধুই আমাদের জন্য উপকারী। তাই যেকোনো ধরনের অর্গানিক মধু বা খাঁটি মধু এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

যে সমস্ত মধুর রঙ যত বেশি গাড়, সে সমস্ত মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা তত বেশি থাকে। চেষ্টা করবেন সবসময়ই প্রাকৃতিক মধু ব্যবহারের জন্য যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো, আর বিশেষ করে বাজারে যে সমস্ত প্রসেস মধু পাওয়া যায় সে সমস্ত মধু এভয়েড করে চলাটাই ভালো। 

কারণ ওই সমস্ত মধুগুলো খাওয়ার থেকে না খাওয়াই ভালো, উপকারের থেকে অপকারই বেশি। মধুর এন্টিসেপটিক ও এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। মধু ব্যবহারের ফলে ত্বকের অস্বস্তিকর জ্বালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 


মধুর সাথে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়েও আপনি আপনার ত্বকে প্রয়োজন মত লাগাতে পারেন যা আপনার ত্বকে কমল উজ্জ্বল করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে ত্বক প্রথমে খুব ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে তারপরে খুবই হালকা ভাবে ত্বকে মধু পরিমাণ মতো লাগাবেন। 

তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরে তারপরে পরিষ্কার কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলবেন। নরম কাপড় দিয়ে ত্বক আলতো করে মুছে ফেলতে হবে, এভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারলে আপনার ত্বকের জন্য সেটা অনেক উপকারী হবে। 

এর ব্যবহার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের ভারসাম্য বজায় থাকে পাশাপাশি ত্বকে বয়সের চাপ দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে মধু।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন-ঘরোয়া বিউটি টিপস-Skincare tips জানুন

প্রিয় বন্ধুগণ ত্বকের যদি খুব ভালো যত্ন নিতে চান তাহলে রোদে খুবই কম যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে আর যদি যান তাহলে সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে রোদে যাওয়ার সময় সাথে সাথে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয় না কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তারপরে যাওয়া উচিত।

এক্ষেত্রে যদি কোনভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে হালকা কালারের ছাতা নিয়ে রোদে বের হতে পারেন। ত্বককে সুন্দর রাখার জন্য বিশেষ করে সকাল ৯ টা থেকে বেলা একটা বা দুইটা পর্যন্ত এই সময় প্রচন্ড কড়া রোদ থাকে এরূপ তাকে এভোয়েড করে চলার চেষ্টা করবেন, যেটা ত্বকের জন্য ভালো হবে। 

যদি এভাবে না মানতে পারেন তাহলে রোদের কারণে ত্বকের যে উজ্জ্বলতা হয় না সেটা হতে থাকবে পাশাপাশি আরো যে সমস্ত সমস্যা হয় সেগুলোও হতে দেখা দিবে আপনার ত্বকে। তাই কোন কারনে যদি এই সময়ের মধ্যে বাইরে বের হওয়ার একান্তই প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে সানস্ক্রিম ব্যবহার করুন অথবা হালকা রঙের ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। 

যেটা আপনার ত্বকের জন্য অনেকটা সেফ হবে। ত্বকের যত্নে চেষ্টা করবেন দিনের বেলায় হালকা রঙের কাপড় গুলো ব্যবহার করতে। পাশাপাশি ত্বকের জন্য সিন্থেটিক যেসব কাপড়গুলো রয়েছে তা ব্যবহার করা উচিত নয়। 

কোন পার্টি বা অনুষ্ঠান থাকলে সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন তা না হলে সুতি বা লিলেন যে কাপড়গুলো রয়েছে তা ব্যবহার করাটা ত্বকের জন্য সবথেকে ভালো।, তাহলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য যে সমস্ত ক্রিম, লোশন আপনার স্কিনে শুট করে সে সমস্ত ক্রিম ভালো ব্যবহার করবেন। 

যাদের পানির কাজ বেশি করা লাগে সেক্ষেত্রে সমস্ত কাজ এক সময়ের ভেতরে গুছিয়ে নিয়ে সে কাজ করতে হবে, তারপরে হাতটাকে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে ভেসলিন লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে হাতের ত্বকের খসখসে বা ফাটা যে দাগ গুলো থাকে সেগুলো থাকবে না। 


ঠিক তেমনি আপনার পায়ের ত্বকের যত্ন নিতে পারেন রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে ভেসলিন লাগিয়ে নিলে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং পায়ের ত্বক ভালো থাকে। 

আপনি রোদে যদি বেশি না যান সে ক্ষেত্রে আপনার মুখে কালো যে দাগ বা ত্বকে যে কালো দাগ দেখা যায় সেগুলো হবে না। অনেক সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খেয়ে থাকে মেয়েরা সেই জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খাওয়ার ফলেও মুখে অনেক ধরনের দাগ তৈরি হতে পারে। 

খুব কমন ভাষা সেটাকে মেছতা বলা হয়ে থাকে। মেছতা দূর করার জন্য আপনাকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খাওয়া যাবেনা। সবার যে এমন হবে ব্যাপারটা এমনটা নয় তবে যাদের হয় তাদেরকে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

রাতে ঘুমানোর আগে মুখের যত্ন-সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুগণ রাতে ঘুমের আগে আমাদের ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নেয়া উচিত। এটা আপনি সাবান দিয়েও করতে পারেন বা যে কোন ক্লিনজার দিয়েও করতে পারেন যেটা আপনার ত্বকের উপযোগী সেটা দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। 

আপনার ত্বক যদি ড্রাই হয় তাহলে আপনাকে সে ধরনের ক্রিম ইউজ করতে হবে আবার ত্বক যদি তুই লাগতো হয় তাহলে আপনাকে সে ধরনেরই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যেটা আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ যারা আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি তারা ত্বকের পরিচর্যা সম্পর্কে মধুর ব্যবহার কতটা যে গুরুত্বপূর্ণ তা জানতে পেরেছেন পাশাপাশি উপকৃত হয়েছেন। এ ধরনের আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন।

আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের পাশে থাকুন, সবশেষে আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url