এক মাসের শিশুর যত্ন-নবজাতক শিশুর যত্ন নেবেন যেভাবে | Rahul IT BD

এক মাসের শিশুর যত্ন-নবজাতক শিশুর যত্ন নেবেন যেভাবে

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টটিতে নবজাতক শিশুর যত্ন, শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন, শীতের ক্রিম, লোশন, শিশুদের জ্বর হলে করণীয়, জ্বরে শিশুর খাবার, হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে ব্যাপকভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।
নবজাতক শিশুর যত্ন
আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আর্টিকেলটিতে স্বাগতম।

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করছি, আর্টিকেলটি অনেক বেশি ইনফরমেটিভ হবে। মূলত বাচ্চাদের  শীতকালে এবং অন্যান্য সময় কিভাবে যত্ন নেওয়া উচিত সে বিষয়ের উপরে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয় সম্পর্কে জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন।

এক মাসের শিশুর যত্ন-নবজাতক শিশুর যত্ন নেবেন যেভাবে

নবজাতক শিশুর ক্ষেত্রে প্রথমত বাচ্চাকে ঠিকমতো বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। প্রত্যেক দুই থেকে তিন ঘন্টা পর বাচ্চাকে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তিন মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চারা খুব বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকে। তাই দুধ না খেয়ে অনেক সময় বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকবে কিন্তু আপনার ভুলে গেলে চলবে না। 

বাচ্চা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকলেও উঠিয়ে মাঝে মাঝে দুধ খাওয়াতে হবে। দু ঘন্টা বা তিন ঘন্টার বেশি গ্যাপ দিলে বাচ্চা কিন্তু রোগা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে দুধ খাওয়ানোর সময় বাচ্চার মাথা শরীরের থেকে একটু উঁচুতে রাখবেন। 


এটা দুধ ভালোভাবে বাচ্চার পেটের মধ্যে যাবে এবং তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যাবে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কখনই বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো উচিত নয়। যদি আপনার বুকের দুধের পরিমাণ কম থাকে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন ডাক্তার ওষুধ দিলে সে ওষুধ খেলে আপনার বুকে দুধের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। 

প্রত্যেকবার দুধ খাওয়ানোর পরে বাচ্চাকে অবশ্যই ঢেকুর তুলতে দিতে হবে তা নাহলে বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়ে যাবে। তা না হলে বাচ্চা বমি করতে পারে, কান্নাকাটি করতে পারে যা আপনি বুঝতে পারবেন না কেন বাচ্চা এমনটা করছে। 

দুধ খাওয়ার পরে ঢেকুর তোলার ভালো উপায় হল ওকে কাঁধে নিয়ে পিঠের উপরে হালকা হালকা করে চাপড়াতে হবে। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন বাচ্চা ঢেকুর  তুলেছে যা বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রিয় বন্ধুরা তিন মাস পর্যন্ত বাচ্চার হাড় খুবই নরম থাকে বিশেষ করে বাচ্চার ঘাড়ের হাড় খুবই নরম থাকে। 

তাই বাচ্চাকে যখনই কোলে উঠাবেন ওর ঘাড়ের পেছনে একটি হাত অবশ্যই দিয়ে রাখতে হবে। তিন মাস বয়সের আগে বাচ্চাকে বসানোর চেষ্টা করবেন না। বাচ্চাদের খুব জোরে নাড়াচাড়া করবেন না বা ঝটকা দিবেন না। 

বাচ্চার মাথাকে বেশি নড়াবেন না অনেকেই বাচ্চাকে উপরের দিকে হাওয়াতে উড়ানোর চেষ্টা করে, ভুলেও এ সমস্ত কাজ করবেন না। এতে বাচ্চার ব্রেন ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বন্ধুরা বাচ্চাকে স্পর্শ করার আগে অবশ্যই হাত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে বা সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেবেন, যাতে জীবাণু মুক্ত হয়। 

বাচ্চার নাভি শুকিয়ে পড়তে ৭ থেকে ১০ দিনের মতো সময় লাগে। যদি ডাক্তার আপনাকে কোন ওষুধ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন তবেই আপনি লাগাবেন অন্যথায় কোনরকম তেল  বা ক্রিম কোন কিছু লাগানো যাবে না। ওটা এমনি এমনি শুকিয়ে পড়ে যাবে। 

বাচ্চার নাভি পুরোপুরি শুকানোর আগে ওখানে পানি যেন না লাগে। তা না হলে পুঁজ জমে যেতে পারে। বাচ্চাকে ডাইপার পড়ানোর সময় অবশ্যই নাভি থেকে দূরে রাখবেন, না হলে বাচ্চার নাভিতে ব্যথা হতে পারে। বাচ্চার নাভি পুরোপুরি শুকনো না হওয়া পর্যন্ত গোসল না করানোই ভালো। 

যদি আপনি গোসল করাতে চান তবে সে ক্ষেত্রে বাচ্চাকে ভেজা কাপড় দিয়ে সুন্দর করে শরীরমুছে দিতে পারেন। যদি গরম কাল হয় তাহলে দিনে একবার আর শীতকাল হলে দু তিন দিন পর পর একবার গোসল করালেও চলবে। 


বাচ্চাকে গোসল করানোর সময় বাচ্চার মাথা জল থেকে উপরের দিকে রাখবেন এবং খেয়াল রাখতে হবে পানি যাতে বাচ্চার কানের মধ্যে না যেতে পারে। একত্রে বাচ্চাকে গোসল করার জন্য হালকা কুসুম গরম জল ব্যবহার করবেন। 

গোসল করানোর পরে বাচ্চাকে তেল দিয়ে ভালো করে মালিশ করবেন এতে বাচ্চার শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে। প্রতিদিন চেষ্টা করবেন কমপক্ষে দুইবার বাচ্চার শরীরকে মালিশ করতে। ছোট বাচ্চারা তো খুব কমল হয় বা নরম হয় তাই মালিশ করার সময় জোরে জোরে মালিশ করা উচিত নয়। 

প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার মালিশ করলে বাচ্চার ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হবে, বাচ্চার ত্বক উজ্জ্বল হবে পাশাপাশি বাচ্চার হাড় মজবুত হবে এবং তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো যে মালিশ করলে বাচ্চারা ঘুমায় খুব ভালো যে সমস্ত বাচ্চারা কান্নাকাটি করে। 

সেই সমস্ত বাচ্চাকে যদি ভালো করে মালিশ করা যায় কমপক্ষে দিনে দুইবার করে তাহলে দেখবেন যে সে খেলাধুলা করবে এবং পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাবে। এই মালিশ বাচ্চাকে গোসল করানোর আগে পরে বা ঘুমানোর আগে করতে পারেন। বাচ্চাকে চেষ্টা করতে হবে সবসময় সাধারণের বা খুবই হালকা রংয়ের কাপড় চোপড় পরানো। 

রঙিন জামা কাপড় পড়ালে কাপড়ে থাকা রং বাচ্চার গায়ে সাথে লাগতে পারে যা বাচ্চার স্কিনের ক্ষতি করতে পারে যেহেতু রঙ একটি ক্যামিকেল উপাদান তাই রঙিন কাপড়কে এভোয়েড করাটাই ভালো। বাচ্চার জামা কাপড় কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে বাচ্চার জামাতে কোন রকমের বোতাম মুখ বা পিন এগুলো যেন না থাকে। 

এতে বাচ্চার চোট লাগানোর ভয় থাকে। সবসময় নতুন কাপড় এনে বাচ্চাকে পড়াবেন না নতুন কাপড় আনার পরে ভালো করে ধুয়ে তারপরে বাচ্চাকে পড়াবেন নতুন কাপড়ে কেমিক্যাল থাকে। এভাবেই আমাদের নবজাতক বাচ্চাদের বা শিশুদের যত্ন নিতে হবে। 

এক কথায় ওদের ভালোর জন্য যা যা করা উচিত তাই করতে হবে এবং জেনে বুঝে করতে হবে প্রয়োজন হলে এক্সপার্টের পরামর্শ নিতে হবে।

শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন-যেভাবে করবেন 

শীতে বাচ্চাদের ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায় এ সময় বাচ্চাদের চুলকানি দেখা যায় মাঝেমধ্যে বাচ্চারা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় চুলকাতে থাকে। গোসলের আগে আপনি আপনার বাচ্চাকে ভালো করে পুরো শরীরকে মেসেজ করবেন এতে করে আপনার বাচ্চার শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি ভাবে যা বাচ্চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। 


এমন কোন জায়গাতে রেখে মেসেজ করাতে হবে যেখানে আলোর ব্যবস্থা রয়েছে আবার খেয়াল রাখতে হবে যে ঠান্ডা যাতে আবার না লাগে বাতাস হলে বাতাসটা আটকানোর চেষ্টা করতে হবে। এটা সকাল ১০ টা থেকে ১২ টার মধ্যে করতে পারেন যখন সূর্যের আলো আসে বাইরের আবহাওয়া একটু গরম থাকে ঠিক তখন। 

আপনি এক্ষেত্রে মেসেজ করার সময় অলিভ অয়েল তেলটা ইউজ করতে পারেন অলিভ অয়েল তেল দিয়ে খুব ভালো করে মেসেজ করলে আপনি ভালো উপকার পাবেন এতে বাচ্চার ত্বক ভালো থাকবে।

বাচ্চাদের শীতের ক্রিম-সম্পর্কে জেনে নিন 

শীতের সময় আবার সুস্থ থাকার কারণে শিশুদের ত্বকে আদ্রতা কমে যায় এবং সুস্থতার মাত্রা বেড়ে যায় এক্ষেত্রে বাচ্চাদের ক্রিম হিসেবে যে সমস্ত ক্রিমের ময়েশ্চারাইজার বেশি রয়েছে সে সমস্ত ক্রিমগুলো ইউজ করা যেতে পারে তাহলে শিশুদের ত্বকে আদ্রতা ধরে থাকবে। 

শিশুর মুখে আদ্রতা ধরে রাখতে ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন। শীতে বাচ্চাদের ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে বাচ্চার বুকে এবং পিঠের সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এ পদ্ধতি গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি পদ্ধতি যা আমরা অনেক ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। 

পাশাপাশি অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন বাচ্চার পুরো শরীরে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের ত্বক অনেক ভালো থাকবে। বাচ্চাদের হাতের তালুতে এবং পায়ের তালুতে ভ্যাসলিন দিতে পারেন এটি অনেক কার্যকরী বাচ্চাদের জন্য।

বাচ্চাদের শীতের লোশন-সম্পর্কে জানুন

শীতকালটা শিশুদের জন্য অনেক বেশি সংবেদনশীল কারণ শীতকালে আবহাওয়া টা অনেক শুষ্ক থাকে। এ সময় ত্বকের সুরক্ষার জন্য  প্রয়োজন বাড়তি ময়েশ্চারাইজার। শিশুর ত্বক প্রাকৃতিকভাবে আদ্র থাকে যার কারণে শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে এর প্রভাব ত্বকের উপরে পড়ে। 

লোশন ব্যবহারের ফলে শিশুর ত্বকে অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজার দেয় তাই শিশুর ত্বকের অতিরিক্ত আদ্রতা হারায় না। এক্ষেত্রে শিশুর ত্বক থাকে কমল এবং সজীব। শীতকালে আপনি আপনার শিশুকে সবসময় লোশন ব্যবহার করাতে পারবেন।

শিশুকে রোদের মধ্যে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানোর চেষ্টা করবেন। আর এক্ষেত্রে গোসল করানোর সময় যদি বাতাস আসে তাহলে সেই বাতাসটি আটকানোর চেষ্টা করবেন। গোসল করানোর পরে শিশুর ত্বক আদ্র থাকতে লোশন ব্যবহার করবেন। 

অনেকেই শিশুদেরকে বড়দের লোশন ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এটা করা মোটে উচিত হবে না, কারণ বড়দের লোশন এবং শিশুদের লোশন দুইটা কিন্তু এক উপাদান নয়। এক্ষেত্রে শিশুদের জন্য মেরিল বেবি লোশন রয়েছে এবং জনসন বেবি লোশন রয়েছে এগুলো ব্যবহার করাতে পারেন।

শিশুদের জ্বর হলে করণীয়-বিষয়গুলো জানুন 

জ্বর কোন রোগ নয় জ্বর হচ্ছে রোগের লক্ষণ। শিশুদের যেসব ক্ষেত্রে জ্বর হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠান্ডা জনিত কারণে জ্বরটা বেশি আসে। ঠান্ডা জনিত জ্বর বেশিরভাগ কারণেই ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে। শিশুদের জ্বর আর বড়দের জ্বর এই দুজনের মধ্যে ডিফারেন্স রয়েছে কারণ শিশুদের জ্বর হলে হঠাৎ করে বেড়ে যায়। 

এক্ষেত্রে শিশুদের জ্বর খুব দ্রুত বেড়ে ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বাবা মারা অনেক সময় ভয় পেয়ে যায় হঠাৎ করে জ্বর বেড়ে যাওয়ার কারণে। শিশুদের জ্বর হলে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার জন্য, ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই কিন্তু তার আগে বেশি কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে গার্জিয়ানদেরকে। 

এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্যারাসিটামল ওষুধ রয়েছে বিভিন্ন বয়স ভেদে বিভিন্ন পরিমাণ নির্ধারণ করে খাওয়াতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা শিশুদের জ্বরের কারণে সিরাপ ব্যবহার করে থাকি যেমন- নাপা সিরাপ। এক্ষেত্রে ম্যাক্সিমাম ছয় ঘন্টা পর পর নাপা জাতীয় সিরাপ আমরা খাওয়াতে পারি। 

আবার জ্বর যদি হঠাৎ বেশি চলে আসে সে ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সাপোজিটার ব্যবহার করতে পারি।

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয়-তা জেনে নিন 

হঠাৎ করে বাচ্চার জ্বর হলে সে ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় আমরা মাথায় পানি ঢালতে পারি এবং শিশুর শরীরটা পানির থেকে একটি কাপড় ভিজিয়ে মুছে দিতে পারি। খেয়াল রাখতে হবে পানি যাতে খুব বেশি ঠান্ডা না হয় কারণ হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। 

খেয়াল রাখতে হবে পানি ঢালার সময় কোনভাবেই যাতে সেই পানি কানের ভেতরে না চলে যায়। যখন জ্বর শিশুর ১০২° উপরে উঠে যাবে তখনই আমরা মেডিসিন খাওয়ানোর চেষ্টা করব তার আগে কিন্তু নয়। ওটা তার আগে আমরা কখনোই কোনো ওষুধ প্রয়োগ করবো না। 

সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে হবে। আমরা অনেকে মনে করে সাধারণত জোর হলে নাপা প্যারাসিটামল এই ধরনের ওষুধ খাওয়ালে হবে কিন্তু আসলে ওভাবে খাওয়ানো উচিত নয়, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ানো উচিত।

শিশুর জ্বর না কমলে করণীয়-জানতে পোস্টটি পড়ুন 

জ্বর যে কারণেই আসুক, প্রথমে আমাদেরকে ঠিক করতে হবে যে জ্বর হলে কি খাওয়ানো উচিত আর কি খাওয়ানো উচিত নয় সে ব্যাপারটি প্রথমে জানা উচিত। কারণ খাবারের উপর নির্ভর করছে যে শিশুর জ্বর কমবে না বাড়বে। 

শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে প্রাথমিক অবস্থাতে পানি ঢালতে পারেন বা পানি দিয়ে গা মুছে দিতে পারেন অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এক্ষেত্রে পানি যেন কুসুম কুসুম গরম হয় একেবারে ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করা ভালো। জরুরীক্যালোরি ঘাটতি দেখা যায় তাই ক্যালোরি জাতীয় খাবার খেলে শরীরে  এনার্জি পাওয়া যায়। 

সাধারণত জ্বরের মুখে কোনো খাবারের তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না ভালো মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেক সময় তিতা মনে হয় রুচি পাওয়া যায় না। শিশুদের জ্বর হলে খাবার হিসেবে দুধ সাবু খাওয়ানো যেতে পারে। 

জ্বরের সময় শাকসবজি খেতে ভালো লাগেনা তাই শাক সবজির সুপ বানিয়ে টেস্টি করে শিশুকে খাওয়ালে শরীরে এনার্জি পাবে। এসবের পাশাপাশি জ্বর না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন খাওয়ানো যেতে পারে।

বাচ্চাদের বেশি জ্বর হলে করণীয়-বিষয়গুলো জেনে নিন 

তাই দেখা যায় বাচ্চারা জ্বরে আক্রান্ত হয়,বিভিন্ন কারণে জ্বর হতে পারে শিশুর শরীরের যখন কোন ইনফেকশন হয়, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন এগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে না তখন শিশুদের জ্বর দেখা যায়। বাচ্চাদের বেশি জ্বর হলে বাবা মারা অনেক সময় বিচলিত হয়ে পড়ে তাই বিচলিত না হয়ে বাচ্চার যত্ন নিতে হবে। 

ঘরে বসে প্রাথমিক অবস্থাতে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পুরো শরীরটা ভালো করে মুছে দিতে হবে পাশাপাশি মাথায় পানি ঢালতে হবে। এভাবে ঢালতে থাকলে দেখা যাবে যে জ্বর স্বাভাবিকভাবে কিছুটা কমে এসেছে। শিশুর যাতে পানিশূন্যতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 


ঘন ঘন পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে কারণ পানি শূন্যতা দেখা দিলে শরীরে খিচুনি দেখা দিতে পারে। পুষ্টিকর ক্যালরি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে পাশাপাশি মুখে রুচি আসে এমন ফলমূল যেমন মাল্টা কমলা এগুলো খাওয়ানো যেতে পারে। 

এছাড়াও বেশি জ্বর আসলে প্রাথমিক সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জ্বরে শিশুর খাবার-সম্পর্কে জেনে নিন 

যে কোনো রোগের প্রথম উপসর্গ হলো জ্বর। জ্বর হলে সর্বপ্রথম বাচ্চাদের জ্বরটাকে নামাতে হবে। আর বাচ্চাদের টেম্পারেচার নরমালি হাই থাকে। বাচ্চাদের জ্বর ইনস্ট্যান্ট ১০২ হতে বেশি সময় লাগে না। এক্ষেত্রে অনেকেই বাচ্চাদেরকে টেম্পারেচার নামানোর জন্য গোসল করাতে চায় না। 

কিন্তু সেটা উচিত নয় সর্বপ্রথমে বাচ্চাকে টেম্পারেচার নামানোর জন্য গোসল দিতে হবে। জ্বর হলে বাচ্চারা সাধারণত কোন কিছু খেতে চায় না, যদি পানি খেতে চাই সেক্ষেত্রে তাকে পানি খাওয়াতে হবে যাতে তার পানিশূন্যতা না দেখা দেয়। 

পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ পানিশূন্যতা দেখা গেলে আপনার বাচ্চার শরীরের খিচুনি শুরু হতে পারে। এজন্য বাচ্চাদের জ্বর হলে খুব বেশি কেয়ারফুল হতে হবে। খেয়াল করতে হবে যে তার খাবারের টেস্টের প্রতি যে কোন ধরনের খাবার খেলে তার মুখে সাদ আসবে সে ধরনের খাবার জ্বরের সময় বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো উচিত। 

জুসি যে ফলগুলো আছে সে ফলগুলো আপনি বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন কমলা মালটা ইত্যাদি পাশাপাশি মিক্স সবজি আপনি বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন যে খাবারগুলো খেলে তার মুখে রুচি আসবে সেই খাবারগুলো তাকে খাওয়াতে হবে।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন এবং আমি আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন। এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। সবশেষে আমি আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url