পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক এবং পুদিনা পাতার উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নিন | Rahul IT BD

পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক এবং পুদিনা পাতার উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুগণ এই পোস্টটিতে পুদিনা পাতার উপকারিতা, অপকারিতা, রান্নায়, রূপচর্চায় এর ব্যবহার, খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা এবং পুদিনা পাতার ভর্তা রেসিপি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পুদিনা পাতার উপকারিতা
আপনি যদি এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের স্বাগতম।

ভূমিকা

মানব শরীরের মেডিসিন হিসাবে পুদিনা পাতার ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকে। যা অনেকের অজানা। আজকের এই আর্টিকেলে পুদিনা পাতার পুষ্টি এবং উপকারিতা নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের  অনেকের মধ্যে এই সম্পর্কে হয়তো ধারণা অনেক কম রয়েছে। 

তাই আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে পুদিনা পাতার সম্পর্কে  জানতে পারবেন এবং আমি আশা করি এ পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।

পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নিন

পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিকঃ

পুদিনা পাতা অনেকের প্রিয়, কিন্তু এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। সুগন্ধী ও ঠাণ্ডা এই পাতার অধিক ব্যবহার কখনও কখনও আমাদের শরীরে বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে।

মেন্থল এর প্রভাব

পুদিনা পাতায় থাকা মেন্থল অনেক সময়ে শরীরে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে, শিশুদের ক্ষেত্রে এটা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

  • মাথা ঘোরা
  • মুখে জ্বালা
  • শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা

অধিক পরিমাণের বিপদ

অতিরিক্ত পুদিনা পাতার সেবন কিছু বিষাক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

  1. বমি ভাব
  2. পেটে ব্যথা
  3. এসিডিটি বৃদ্ধি

প্রকৃতির দেয়া ঔষধি গুণাবলীর সাথে মাঝে মাঝে কিছু বিপর্যয়ও আসে। "ঔষধি পরিচর্যায় বিপর্জয়" নিয়ে কথা বলছি আমরা, যা প্রকৃতির উপাদান পুদিনা পাতা নিয়ে বিশেষ করে তুলে ধরব।

Pudinar Oushodhi Bisheshtyo

  • হজমে সাহায্য করে: পুদিনা পেটের গ্যাস কমায়।
  • ঠাণ্ডা লাঘব: সর্দি উপশমে কার্যকরী।
  • উদ্ভিদ-উপজাত ঔষধ: রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

তবে, পুদিনা পাতায় আছে সামান্য বিপদও। অতিরিক্ত পুদিনা পাতা খেলে হতে পারে অস্বস্তি। সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করা ভালো।

Oushodhi Proyogik Deenlipi

রোগপুদিনা পাতার পরিমাণসেবনের সময়
হজমের সমস্যা৫-১০ টি পাতাখাবারের পরে
সর্দি৫ টি পাতা (চা হিসেবে)দিনে দুইবার

Seban Nirdesh Avam Satarkata

পুদিনা পাতা অনেক গুণের জন্য পরিচিত। কিন্তু সেবন নির্দেশ এবং সতর্কতা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিমাণে এবং উপযুক্তভাবে পুদিনা পাতা গ্রহণ করা জরুরি। নির্দিষ্ট মাত্রার অতিরিক্ত গ্রহণে ক্ষতি হতে পারে।

সমুচিত মাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস

সমুচিত মাত্রা এর অর্থ হল সেই পরিমাণ যা কোনো ক্ষতি না করে।

  • প্রতিদিন কয়েকটি পাতা ব্যবহার করুন।
  • খাবারে ভারসাম্য রাখুন।
  • আরও ফল ও সবজি খান।

প্রতিকূল প্রভাব থেকে সুযোগ

কিছু প্রতিকুল প্রভাব রয়েছে অত্যধিক পুদিনা পাতা সেবনে।

লক্ষণকরণীয়
অস্বস্তিপরিমাণ কমান
জ্বলুনিচিকিৎসা নিন
অ্যালার্জিবন্ধ করুন

Frequently Asked Questions For পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক

পুদিনা পাতা কি স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক?

পুদিনা পাতা সাধারণত নিরাপদ, কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানে গ্রহণ করলে বা বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য শর্তে, এটি পেটের সমস্যা, এসিডিটি বা স্কিন অ্যালার্জির মতো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

পুদিনা পাতা খাওয়ার সীমাবদ্ধতা কী?

পুদিনা পাতাকে মধ্যম পরিমাণে ভোজনে অন্তর্ভুক্ত করা ভালো। মাত্রাতিরিক্ত সেবন ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ স্বাস্থ্য অবস্থা যেমন GERD বা প্রেগন্যান্সিতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।

পুদিনা পাতার সাইড এফেক্ট কী কী?

পুদিনা পাতা হজমে সহায়ক হলেও, অত্যধিক পরিমাণে সেবন পেটে জ্বালা, অম্বল, এবং মাথা ঘোরানোর মতো সাইড এফেক্ট সৃষ্টি করতে পারে।

পুদিনা পাতা কোন কোন রোগের জন্য অবোধ্য?

পুদিনা পাতা GERD বা ওষ্ঠ্যপালাতাল পেশিতে দুর্বলতা, এবং পিত্তপাথরীর মতো বিশেষ রোগের জন্য অনুপযুক্ত হতে পারে। এছাড়া শিশুদের জন্য এর মেন্থল উপাদান ক্ষতিকারক হতে পারে।

পুদিনা পাতার উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নিন 

পুদিনা পাতা সবারই পরিচিত একটি পাতা। এই পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি প্রচুর পুষ্টিগুনে ভরপুর। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। যুগ যুগ ধরে পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে তা বর্তমানে শুধু রান্নার কাজে নয় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। 

মুখের যত্নে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকর, এ পাতা মুখের ভেতরে থাকা জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। দাঁতের ক্ষয় রোধ করে দাঁত এবং জ্বীবহা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। দাঁতের সমস্যা দূর করার জন্য রোজ কয়েকটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। 

টুথপেস্ট এর মধ্যে পুদিনা পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে দাঁত কে ভালো রাখার জন্য তাই টুথপেস্ট কেনার সময় পুদিনা পাতার উপাদান রয়েছে কিনা সেটা দেখে কিনতে পারেন। এই পাতার রস ত্বকের যে কোন ক্ষতিকর জীবাণুকে ঠেকাতে এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। 


আবার গোসল করার সময় পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা মিশিয়ে গোসল করলে শরীরের স্কিনের অনেক ধরনের ডিজিজ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া শরীরের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে পাশাপাশি ঘামাচি, এলার্জি সমস্যা দূর করতে বেশির ভাগই কার্যকর। 

যাদের সর্দি এবং শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা রয়েছে তারা পুদিনা পাতা নিয়মিত খেতে পারেন। কাশির সমস্যা হলেও পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাব নিতে পারেন বা গারগল করতে পারেন। পুদিনা পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হতে পারে। 

ত্বক পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এ পাতার জুরি নেই। গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পুদিনা পাতার রস বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে গরমকালে প্রতিদিন এক গ্লাস পুদিনা পাতার রস খেতে পারেন। হালকা মাথা ব্যথা করলে পুদিনা পাতা চায়ের মত করে পান করতে পারেন অথবা তাজা কিছু পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। 

এই পাতা পেটের সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষ উপকারী। এই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার কারণে পেটের যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব সহজে। এসব ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার পরে প্রতিদিন পুদিনা পাতা দিয়ে এক কাপ চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

এক্ষেত্রে পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে তার সাথে মধু মিশিয়ে এবং সামান্য নুন মিশে খুব সহজেই পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন। অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরপুর এই পাতা আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারে, রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। তাই পুদিনা পাতা আমাদের শরীরে নানাভাবে উপকারে আসে। 

পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক-যা করবেন 

পুদিনা পাতার অনেক গুনাগুন রয়েছে। মানব শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের অনন্য উপায় পুদিনা পাতার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবেনা। তবে অধিক মাত্রায় পুদিনা পাতা গ্রহণ করলে হতে পারে বিপত্তি। 


তাই পুদিনা পাতা খাওয়ার আগে কি পরিমান খাওয়া উচিত বা কি পরিমান ত্বকে লাগানো উচিত সে সম্পর্কে ভালো জ্ঞান নিয়ে তারপর তার ব্যবহার করা উচিত। তবে পুদিনা পাতার তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেহেতু নেই তারপরেও অধিক মাত্রায় গ্রহণ করলে যৌন জীবনের জন্য এটি মোটেও ভালো নাও হতে পারে। 

এটা শরীরের যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হরমোন টেস্টরেসের মাত্রা কমিয়ে দেয়। যা শরীরকে ঠান্ডা করে দেয় এবং যৌন আগ্রহ কমিয়ে দেয়। তাই সব সময় পুদিনা পাতা ব্যবহার করা ঠিক হবে না, জেনে বুঝে তা গ্রহণ করা উচিত।

রান্নায় পুদিনা পাতার ব্যবহার-কিভাবে করবেন 

পুদিনার পাকোড়া বড়াঃ পুদিনা পাতা দিয়ে বড়া বানালে যে পুদিনা পাতা দিতে হবে কথাটা আসলেই একেবারে ঠিক নয়, এর জন্য আপনাকে রেসিপিটা জানতে হবে। প্রথমে পুদিনা পাতা খুব ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে তারপরে কিছু পেঁয়াজের কুচি দিতে হবে এরপরে কিছু মরিচ কুচি এবং প্রয়োজনমতো লবণ ব্যবহার করতে হবে। 

এর সাথে কালোজিরা দিতে পারেন একটু সাদ বাড়ানোর জন্য এরপর জিরার গোড়া এরপরে একটু ব্রেকিং সোডা, একটু গোলমরিচের গোড়া, দুই থেকে তিন চামচ মত বেসন এর সাথে আদা এবং রসুনের পেস্ট পরিমাণ মতো পানি ব্যবহার করে ভালো করে মিক্স করতে হবে তারপরে আপনি এই পুদিনার পাকোড়া বড়া তৈরি করতে পারবেন।

পুদিনা পাতার চাটনিঃ আপনি যদি পুদিনা পাতার চাটনি করতে চান তাহলে আপনাকে গরম তেলের মধ্যে কিছু পরিমাণ মরিচ, ভেজে নিতে হবে। তারপরে পেঁয়াজ কুচি এবং কিছু রসুন ভেচে নিতে হবে। এর চাটনি তৈরি করে আপনি ভাত দিয়ে খেতে পারেন আবার রুটি দিয়েও খেতে পারেন এবং এই চাটনি অনেক ভালো। 

তারপরে পরিমাণ মতো পুদিনা পাতা নিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়ে এর সাথে ভালোভাবে মিকচার করে পেস্ট তৈরি করতে হবে, তারপরে খাওয়ার জন্য আপনার পুদিনা পাতার চাটনি সম্পন্ন  রেডি।


পুদিনা পাতার শরবতঃ রমজান মাসে ইফতারের সময় পুদিনা পাতার শরবত তৈরি করে খেলে আপনার প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। এটি খেলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য এটি খুবই কাজে দেবে। 

এক্ষেত্রে প্রথমে শসা কুচি কুচি করে ব্লেন্ডারের মধ্যে দিতে হবে কিছু পুদিনা পাতা পরিমাণ মতো ব্লেন্ডারের মধ্যে দিয়ে কিছু সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ব্লেন্ডার দিয়ে পুরোপুরি ব্লেন্ড করে নিতে হবে।পানি না দিলে ভালোভাবে ব্লেন্ড হবে না তাই পানি সামান্য পরিমাণ দিতে হবে তারপরে পুদিনা পাতা দিয়ে ভালো করে ছাকনি দিয়ে ছে কে নিতে হবে।

এর ভেতরে আপনি চাইলে বরফের কুচি দিতে পারেন। মিষ্টি করে খেতে চাইলে আপনি চিনি দিতে পারেন অথবা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এভাবে আপনি ঘরে বসেই খুদিনা পাতার শরবত বানিয়ে নিতে পারেন।

পুদিনা পাতার চাঃ প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভালো করে ফুটাতে হবে তারপরে কিছু পুদিনা পাতা পরিষ্কার করে গরম ফুটন্ত পানির ভিতরে দিতে হবে। তবে চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে, কিছুক্ষণ পরে দেখবেন যে সুন্দর একটি লালচে কালার চলে এসেছে। 

এটিকে ভালো করে তৈরি করে একটি পাত্রে নিয়ে চায়ের মত করে খেতে পারেন। এরমধ্যে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস দিতে পারেন, এতে যেমন চায়ের টেস্ট পাবেন তেমনি এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। 

পুদিনা পাতা খাওয়ার নিয়ম-সম্পর্কে জেনে নিন 

পুদিনা পাতা খাবার পর এক কাপ চায়ের মত করে অথবা এর রস সরাসরি খেতে পারেন। তবে অনেক সময় খালি পেটে এর রস খেতে স্বাদ না থাকার কারণে অনেকেই সরাসরি খেতে পারে না সে ক্ষেত্রে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। 

আবার যাদের ত্বকের সমস্যা আছে সে ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা না খেয়ে, ভালো করে বেটে পেস্ট তৈরি করে, ত্বকের ক্ষতস্থানে বা আক্রান্ত স্থানে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শুকানো হলে তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ধীরে ধীরে ক্ষতস্থানটি ভালো হয়ে যায়।

রূপচর্চায় পুদিনা পাতা ব্যবহার-যা করবেন 

পুদিনা পাতা দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে কোন প্রকার বাড়তি খরচের প্রয়োজন হবে না। বরং আপনি পাবেন সুন্দর ও মসৃণ ত্বক। যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগতেছেন তারা নিঃসংকোচে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা পাতা শ্যালিসিনিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। 

এসব উপাদান ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফলে এটির প্রদাহ দূর করার পাশাপাশি ব্রনের দাগও দূর করে। এজন্য আপনাকে প্রথমে পুদিনা পাতার পেস্ট তৈরি করতে হবে। সেই পেস্ট ব্রনের উপরে লাগিয়ে শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 


শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এতে ব্রনের দাগ দূর হবে। ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে পুদিনা পাতা। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের ক্ষত,মশার কামড় ইত্যাদি দাগ দূর করতে সাহায্য করে। 

এজন্য আপনাকে প্রথমে পুদিনা পাতার রস বের করে নিতে হবে। এরপরে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন এতে ক্ষত স্থানের জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি ক্ষতস্থানটি সেরে উঠবে।

পুদিনা পাতার চা এর উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নিন 

পুদিনা পাতা নিয়মিত খেলে দ্রুত ওজন কমবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভালো করে ফুটাতে হবে তারপরে কিছু পুদিনা পাতা পরিষ্কার করে গরম ফুটন্ত পানির ভিতরে দিতে হবে। 

তবে একটু চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে, কিছুক্ষণ পরে দেখবেন যে সুন্দর একটি লালচে কালার চলে এসেছে। এটিকে ভালো করে ছেকে কেউ একটি পাত্রে নিয়ে চায়ের মত করে খেতে পারেন। এরমধ্যে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস দিতে পারেন, এটি যেমন চায়ের টেস্ট দিতে পারবে তেমনি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। 

এছাড়াও ত্বকের যত্নে, দাঁতের সুরক্ষায়, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং মৌসুমী নানা ধরনের রোগের চিকিৎসায় এই পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়।

পুদিনা পাতার ত্বকের উপকারিতা-যা করবেন 

পুদিনা পাতা আপনাদের ত্বকে ব্যবহারের ফলে, আপনার ত্বকে যদি ব্রনের দাগ থাকে বা যেকোনো ধরনের দাগ থাকে সেটা ব্যবহারের মাধ্যমে সেটা আস্তে আস্তে সম্পূর্ণভাবে উঠে যাবে। যাদের ব্রণ আছে তারা যদি এই ফেসপ্যাকটি ইউজ করে তাহলে তাদের ব্রণ আস্তে আস্তে একেবারে রিমুভ হয়ে যাবে। 

এক্ষেত্রে সামান্য কিছু পুদিনা পাতা নিয়ে বেটে নিতে পারেন অথবা ব্লেন্ডারে পেস্ট তৈরি করতে হবে এরপরে এই পেস্ট থেকে ভালো করে চেপে পুদিনা পাতার রস বের করে নিতে হবে এবং এর সাথে এক চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে তারপরে আপনার ত্বকে এটা এপ্লাই করতে পারেন। 

এভাবে আপনি সপ্তাহে তিনদিন ইউজ করতে পারেন আবার চাইলে প্রতিদিন ইউজ করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে ত্বকে ইউজ করার পরে কমপক্ষে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। 

এভাবে ব্যবহার করতে থাকলে আপনার ত্বকে ব্রণ বা ব্রণের দাগ বা যে কোন ধরনের দাগ আস্তে আস্তে রিমুভ হয়ে যাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

পুদিনা পাতা ভর্তা রেসিপি-যেভাবে করবেন 

পুদিনা পাতার ভর্তা খেতে প্রথমে আপনাকে পুদিনা পাতা সংগ্রহ করে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে তারপরে পুদিনা পাতার নরম অংশ বা নরম ডাল পাতা সহ নিতে হবে। ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। 

পুদিনা পাতা যেহেতু প্রচুর পরিমাণে বালি থাকে তাই খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে যাতে কোনরকম বালি না থাকে। পুদিনা পাতা প্রথমে খুবই কুচিকুচি করে কেটে নিতে হবে এক চামচ বা দু চামচ সরিষার তেল 5 থেকে 6 টি শুকনা মরিচ একদিন লবণ এবং দু থেকে তিনটি পেঁয়াজ টুকরা করে কেটে নিতে হবে। 

এবার এই সমস্ত উপাদানগুলো একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিয়ে আপনি ভাবতে হিসেবে খেতে পারেন যা হবে খুবই টেস্টি এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা আশা করি পুদিনা পাতার গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। সবশেষে আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url