বার বার বমি হলে করণীয় এবং বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক | Rahul IT BD

বার বার বমি হলে করণীয় এবং বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটিতে বারবার বমি হলে করণীয় বমি বন্ধ করার উপায় ও খাওয়ার পর বমি হওয়ার কারণ, বাচ্চাদের হঠাৎ বমি হলে করণীয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম।
বার বার বমি হলে করণীয় এবং বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
তাই আর দেরি না করে বমি হওয়ার বা বমি বন্ধ করার সমস্যার সমাধান পেতে চাইলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় মানুষ প্রত্যেকেরই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বমি ভাব আসার সম্ভাবনা থাকে। আমরা অনেক সময় বুঝতে পারিনা যে কেন আমাদের বমি হল। বিভিন্ন কারণে আমাদের বমি বমি ভাব আসতে পারে বা বমি হয়ে থাকে। সে সমস্ত কারণগুলো নিয়ে আজকের খেলে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। 

তাই আজকের আর্টিকেলটি অনেক বেশি ইনফরমিত হবে। পুরো বিষয়টি ভালোভাবে জানতে এবং বুঝতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত-জেনে নেওয়া যাক

বমি হওয়ার পরে বেশি খাবার গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই সাধারণত বমি হওয়ার পরে আমাদের পানির খাওয়ার চাহিদাটা বাড়ে তবে খেতে পানিটা খুব বেশি খাওয়া যাবে না কারণ পানি যদি বেশি খান তাহলে আপনার বমি এটা আরো বেশি বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

এক্ষেত্রে আপনি আদা খেতে পারেন বাজার রস আবার আলাদা দিয়ে চা পানিও খেতে পারেন যা আপনার বমি হওয়ার পরে শারীরিক যে দুর্বলতা লাগে সেটা অনেকটা কমে আসবে। অবশ্য কফি খাওয়া যাবেনা কারণ কফি খেলে বমি ভাবটা আপনার আবার চলে আসতে পারে। 

এরপরেও যদি দেখেন যে আপনার বমি ভালো হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। সব থেকে বড় যে বিষয়টা সেটা হল যে সমস্ত কারণে বমি হয়, আপনি যদি সেই বিষয়টা আইডেন্টিফাই করতে পারেন। 

আইডেন্টিফাই করার পরে সেগুলো এভোয়েড করে চললেই দেখবেন যে আপনার বমি হওয়ার সম্ভাবনা ভাব লাগার সম্ভাবনাটা অনেকটাই কমে গেছে। আর বমি হওয়ার পরে কখনো বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবেনা কারণ সেগুলো খাওয়ার সাথে খাবারগুলো বের হয়ে আসবে।

বার বার বমি হলে করণীয়-জানতে এই পোস্টটি পড়ুন

বারবার বমি হওয়ার পেছনে কতগুলো কারণ থাকে বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে যেকোনো পরিবেশে পরিস্থিতিতে এটা হতে পারে। বমি হওয়াটা খুবই অসুস্থ করে একটা ব্যাপার যে বমি করে তার যেমন কষ্ট হয় অসুবিধা হয় আমার পাশে যে থাকে তারও কষ্ট বা অসুবিধা হয়। 

কারণ বমি যখন হয় তখন তারও কিন্তু বমি বমি ভাব চলে আসে এবং হয়েও যায়। বিভিন্ন ধরনের ফুড প্রয়োজন থেকে বমি হতে পারে অতিরিক্ত টেনশন অস্বস্তিকর পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে মানুষ বমি করে ফেলে। 

বিশেষ করে যারা বাইরের খাবার বেশি খেয়ে থাকে অসুস্থকার পরিবেশে খোলামেলা পরিবেশের খাবার গ্রহণ যারা করে বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা বেশি দেখা যায়। তাই যে সমস্ত কারণ গুলোর জন্য আপনার বমি বেশি হয় সেগুলো বাদ দিলেই দেখবেন যে আপনার বারবারহওয়াটা কমে আসছে।

বমি বন্ধ করার উপায়-সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বমি হতে পারে অনেকে যে গাড়িতে চড়ার ক্ষেত্রে বমি হতে পারে কারোর বদহজমের কারণে বমি হতে পারে, আবার অনেকেই অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের ফলে এসিডিটি তৈরি হয়ে বমি হতে পারে। এরকম বিভিন্ন কারণে মানুষের বমি হতে পারে। 

অনেকেই অতিরিক্ত তেলে ভাজা ভাজাপোড়া খাবার কারণে বমি হতে পারে আমাদের কাছে খুবই অস্বস্তিকর করে একটা ব্যাপার। আবার অনেক সময় গাড়িতে চলে গাড়ির জাকির কারণে বা কোন গ্যাসের কারণে বমি লাগতে পারে। 

সেক্ষেত্রে আমরা চোখে মুখে পানি দিতে পারি টিস্যু দিয়ে বা ভেজা টিস্যু দিয়ে মুখটাকে ভিজে নিতে পারি। লেবু পাতার গন্ধ নিতে পারি বা একটু টক জাতীয় ফল যেমন লেবু হতে পারে সেটা একটু খেতে পারি এর ফলে বমির প্রভাব কিছুটা কেটে যায়। 

আবার অনেকেই এই সমস্যা আছে জানার কারণে তারা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে আগেই সমস্যার সমাধান এর ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

খাওয়ার পর বমি হওয়ার কারণ-সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

খাবারের পর অনেক সময় বমি বমি ভাব হয়ে থাকে এর কারণ হতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে অথবা তার পরিপাকতন্ত্রের বা হজমগত সমস্যা রয়েছে। আবার যাদের পেটের মধ্যে কৃমির রয়েছে একই থাকলেও কিন্তু আপনি কোন কিছু খাবেন তারপরে বমি বমি ভাব আপনার থাকতে পারে। 

আপনি যখন দেখবেন যে কোন কিছু খাবার গ্রহণের পরে আপনার বমি ভাব লাগে, তার কারণ প্রথমে আইডেন্টিফাই করতে হবে যে কেন কোন কিছু খেলে আমার বউ লাগছে। অথবা আপনি ভালো একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। 

এখন যদি দেখেন যে কৃমির কারণে আপনার বমির ভাবটা আসছে তাহলে আপনি কৃমির ওষুধ সেবনের মাধ্যমে দূর হতে পারে। আবার যদি আপনার অনেক গ্যাস্ট্রিক থাকে সেক্ষেত্রে আপনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে গ্যাস্ট্রিক কমিয়ে এই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। 

খাবারের পর বমি ভাব দূর করতে চাইলে টক জাতীয় খাবার খেতে পারেন যেমন লেবু হতে পারে এর মধ্যে সাইট্রিক এসিড রয়েছে যার কারণে বমি ভাব কমায়। আরেকটি কার্যকরী উপাদান রয়েছে সেটা হচ্ছে আদা যেটা আমরা রান্নাবান্নার কাজে প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকি। 

এই আধা আপনি টুকরো টুকরো করে কেটে মুখে দিয়ে চিবুতে পারেন তাতে আপনার ভালো লাগবে। লবঙ্গ একইভাবে মুখের মধ্যে দিয়ে রাখলে আপনার এই খারাপ ভাবটা দূর হবে। এজন্য যখনই আপনার কোন কিছু খাবার গ্রহণের পরে বমি ভাব হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই এ ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারেন যা আপনার সমস্যার সমাধান করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বারবার বমি কিসের লক্ষণ-সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

সাধারণত যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের শরীর অনেক সময় ম্যায ম্যায করে দুর্বলতা লাগে ভালো লাগে না জ্বর জ্বর লাগে সাধারণত তাদের বারবার বমি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সাধারণত যারা খাবার গ্রহণের আগে হাত পরিষ্কার করে না, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে রাস্তার পাশে খোলা ফেলার জায়গায় খাবার গ্রহণ করেন। 

এ সমস্ত বিভিন্ন কারণে এ ধরনের সমস্যা বারবার দেখা যায়। আবার যারা খোলামেলা আকাশে নিচে যে সমস্ত রান্নাবান্না তৈরি হয় সেই সমস্ত রান্নাবান্না খেলে খোলামেলা পানি খেলে এ সমস্ত সমস্যা গুলো খুব বেশি দেখা দেয়।

আমরা বিভিন্ন সময়ে মুখোরুচি খাবার খেয়ে থাকি যে সমস্ত খাবার গ্রহণের ফলে আমাদের শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করে এবং যার ফলে আমাদের বমি বমি ভাব লাগে। ফলে বমি হতে হতে শরীরে পানি স্বল্পতা বা শূন্যতা দেখা দিতে পারে। 

এ ধরনের খাবার থেকে  আমাদের শরীরের যে ভাইরাস গুলো যায় তা লিভারের প্রদাহ হিসেবে কাজ করে। তাই ঘন ঘন বমি হওয়া এটা লিভারের রোগের একটা লক্ষণ স্বাভাবিকভাবে হতে পারে।

বাচ্চাদের হঠাৎ বমি হলে করণীয়-সে সম্পর্কে জেনে নিন

বাচ্চারা অনেক সময় কাশতে কাশতে বমি করে থাকে, অনেক সময় বাচ্চারা বমি করার সময় বমি খেয়ে ফেলে তখন শ্বাসনালীতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন বাচ্চার আরো বেড়ে যেতে পারে এর ফলে নিউমোনিয়া হতে পারে। 

এজন্য যখন বাচ্চাদের বমি হবে তখন সাথে সাথে বাচ্চাদেরকে যেকোনো পাশে কাত করে রাখতে হবে যাতে ভূমিকা তারা খেতে না পারে তারপরে পরিষ্কার আঙ্গুল দিয়ে মুখের মধ্যে যদি কোন রকম বমি থেকে থাকে তাহলে সেটা বের করে আনতে হবে। 

বমি করার সাথে সাথে বা পরে কোন কিছু খাবারের দরকার নেই, একটু উঁচু বালিশে শুয়ে রাখলে কাশির ভাবটা কম হবে আর যদি বেশি সমস্যা মনে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলটি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি আপনারা ববি বন্ধ করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। 

আবার দেখা হবে নতুন কোনো আর্টিকেলে সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন। সবশেষ আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url