চুল কিভাবে দ্রুত গজানো যায় জেনে নেওয়া যাক | Rahul IT BD

চুল কিভাবে দ্রুত গজানো যায় জেনে নেওয়া যাক

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে চুল কিভাবে দ্রুত গজানো যায়, প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় চুল গজানোর কিছু টিপস, দ্রুত চুল লম্বা ঘন করার ঘরোয়া উপায়, দ্রুত চুল লম্বা ও ঘন করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা এ ধরনের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
চুল কিভাবে দ্রুত গজানো যায় জেনে নেওয়া যাক
তাই এই সমস্যার সমাধান পেতে যারা আগ্রহী তাদেরকে আজকের আর্টিকেলে স্বাগতম।

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ আমাদের অনেকেরই চুলের নানা ধরনের সমস্যা যায়  বিভিন্ন কারণে। বংশগত কারণে, ভৌগলিক কারণে, ও সঠিক পুষ্টির অভাবে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। আপনারা  এই সমস্যার সমাধান পেতে অনেকে ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন যে কিভাবে এ সমস্যার সমাধান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আজকের এই পোস্টটি সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য প্রদান করেছে। তাই আপনাদের কাছে আজকের এই আর্টিকেলটা অনেক বেশি ইনফরমেটিভ হবে। সুতরাং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

চুল কিভাবে দ্রুত গজানো যায় জেনে নেওয়া যাক

প্রিয় বন্ধুরা দ্রুত চুল গজানোর জন্য আপনাকে চুলের অনেক বেশি পরিচর্যা করতে হবে নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে, এবং চুল সব সময় পরিপাটি রাখা এবং আঁচড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। চুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রথমে আপনাকে চুল গোড়া থেকে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

তারপরে চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে পেঁয়াজের রস প্রত্যেকটি জায়গায় সুন্দর করে লাগিয়ে নিতে হবে এভাবে প্রায় আপনাকে ১০ মিনিট রাখতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুল আপনার অবশ্যই গজাবে।

এভাবে আপনি মেহেদি পাতা নারিকেল তেল ইত্যাদি দিয়ে চুলের গোড়ায় ভালো করে মেসেজ করতে পারেন যা আপনার চুল গজাতে স্বয়ং ভূমিকা রাখবে এছাড়াও আপনি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন যেমন মাছ মাংস দুধ ডিম পনির ইত্যাদি এগুলো খাবারে তালিকায় রাখতে পারেন যা আপনার চুল গজানোর জন্য খুবই কার্যকরী।

আলুর প্যাকের ব্যবহারঃ আরো সাধারণত আমরা আমাদের প্রতিদিন তৈরি তরকারির সাথে গ্রহণ করে থাকি এর পাশাপাশি চলেও ব্যবহার করা যায় যা খুবই ভালো কাজ করে থাকে গজানোর ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে দুইটা মাঝারি সাইজের আলো নিতে হবে একটি ডিম ও এক চামচ মধু নিতে হবে। 

প্রথমেই আলু আপনাকে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার এই ব্লেন্ড করা আলোর সাথে ডিমের কুসুম এবং এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে অল্প একটু জল দিয়ে ভালো করে মিশ্রণটি তৈরি করে নিতে হবে তারপরে এই মিশ্রণটি আপনার চুলের গোড়াতে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে। 

এভাবে কমপক্ষে আধা ঘন্টা ধরে রাখতে হবে তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে কমপক্ষে একবার এটি করার চেষ্টা করবেন এভাবে করতে থাকলে দেখবেন যে আপনার চুল ভালো হবে গজাতে শুরু করেছে।

পেঁয়াজ এবং রসুনের ব্যবহারঃ পেয়াজ এবং রসুনের ব্যবহারের মাধ্যমেও চুল গজাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচটি রসুনের কোয়া দুই চামচ মত নারিকেল তেল নিতে হবে। প্রথমে আপনাকে রসুন এবং পেঁয়াজ খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। 

যাতে রসুন এবং পেঁয়াজের রসালো ভাবটা থাকে এর সাথে নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট এর মত করে যখন তৈরি হবে তারপরে আপনার পুরো চুলের মধ্যে এবং চুলের গোড়াতে ভালো করে মেসেজ করতে হবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে এটা রাখতে হবে কমপক্ষে আপনাকে আধা ঘন্টা ধরে রাখতে হবে। 

এভাবে কমপক্ষে সপ্তাহে দুবার তিনবার করার চেষ্টা করবে তাতে দেখবেন যে আপনার খুব ভালো ফলাফল পাবেন চুল গজানোর ক্ষেত্রে।

আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় তৈরি করার জন্য ২০ টি টিপস জানুন

বেশিরভাগ মানুষের কাছে চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক উপায় বেশি জনপ্রিয়। কেননা প্রাকৃতিক উপায় গুলো আমাদের ত্বকের কোমলতা ধরে রাখে এবং রাসায়নিক উপাদানের মত চুলের ক্ষতি সাধন করে না। 

সুষম খাদ্যাভাস চুলের বৃদ্ধি সাধন করতে সহায়তা করে ,চুলে তেল দেওয়া, স্কাল্পে মেসেজ পুনরায় চুল গজাতে সহায়তা করে, অ্যালোভেরা, পেঁয়াজ, গ্রিন টি, আদা এবং আমলকি প্রাকৃতিকভাবে চুল পুনরায় গজানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 

প্রাকৃতিকভাবে কিছু টিপস অনুসরণ করা গেলে পুনরায় চুল তৈরির ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করে। নিম্ন সেগুলো আলোচনা করা হলো-

১। চুলে তেল দেয়া-চুলে তেল দেবার গুরুত্ব অনেক প্রাকৃতিকভাবে চুল পুনরায় গজানোর জন্য চুলা অবশ্যই তেল দেওয়া দরকার। বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে চুল গজানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন:

* নারিকেল তেল-চুলের যত্নে নারিকেল তেল সে আদিমকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিকভাবে চুল গজানোর ক্ষেত্রে নারিকেল তেল বেশ কাজে দেয়। নারিকেল তেল দিয়ে মেসেজ চুলের গোড়া মজবুত করে, চুলে পুষ্টি যোগায় এবং চুলের বৃদ্ধি করে।

* অলিভ অয়েল-অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই যেগুলো চুলের বেড়ে ওঠার জন্য দরকার।

* আলমন্ড অয়েল-ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডে ভরপুর অলিভ অয়েল চুলের ক্ষতি হয় এবং ভাঙ্গা থেকে রক্ষা করে তাছাড়া এটি দ্রুত চুল বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

* জোজবা ওয়েল-জোজবা ওয়েল তেলটি পুনরায় চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া অনেক অংশ কমিয়ে দেয়।

* ক্যাস্টর অয়েল-চুল ঘন করার জন্য অন্যতম সেরা তেল হল ক্যাস্টর অয়েল। চুলের যত্নে এই তেলটি অন্য তেল যেমন নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, বা অন্য কোন তেলের সাথে মিশিয়ে স্কাল্পসহ পুরো মাথায় প্রয়োগ করা গেলে চুল পড়া কমে এবং দ্রুত চুল বৃদ্ধি পায়।

* লেভেন্ডার অয়েল-এই তেল শিব্যাম অয়েল উৎপাদন এবং ভারসাম্য বজায় রাখে এটা চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

২। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা: সঠিক খাবার চুলের বৃদ্ধির জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল বৃদ্ধির জন্য সঠিক নিউট্রেশন প্রয়োজন যা কেবল মাত্র সঠিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই পাওয়া যায়। প্রতিদিন ডিম খাওয়া দরকার কারণ ডিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন। 

ভিটামিন ডি এবং আমিষ, বায়োটিন যেগুলো চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। এগুলা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুব প্রয়োজন এজন্য প্রতিদিন মাছ, বাদাম, মাংস, খাওয়া দরকার।

৩। স্কাল্প মেসেজ: নিয়মিত স্কাল্পে মেসেজ চুলের ঘনত্ব বাড়াতে যেমন সহায়তা করে তেমনি চুল বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪। এলোভেরা-এলোভেরা চুলে ব্যবহার করলে যেমন আরাম অনুভূত হয় তেমনি এটি চুলের খুশকি এবং অন্যান্য অসস্তি থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া একটি তেল দিয়ে বন্ধ হওয়া ফলি কল খুলে দেয় যেটি চুল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

৫। লেবু-লেবু ব্যবহারে চুল বৃদ্ধি করে এবং স্কাল্প সুস্থ রাখে। চুলে শ্যাম্পু দেওয়ার আগে লেবুর রস লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটা নিয়মিত করলে চুলের খুশকি যেমন দূর হবে চুল ঝলমলে হবে পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত হওয়ার কারণে চুল পড়া বন্ধ হবে।

৬। পেঁয়াজ-প্রাকৃতিক উপায়ে চুল বাড়াতে পেঁয়াজ খুবই সহজলভ্য এবং আমাদের কাছে সুপরিচিত। পেঁয়াজের রস মাথায় লাগালে চুলের ঘনত্ব বাড়ার সাথে সাথে চুলের বৃদ্ধি হয়।

৭। আদা-এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর এবং এন্টিফাঙ্গাল, এন্টি মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্য যুক্ত প্রাকৃতিক উপাদান। রসের সাথে নারিকেল তেল বা অন্য কোন তেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে এটি মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে চুল ঝলমলে হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে এটি নতুন চুল গজানোর সাহায্য করে।

৮। গ্রিন টি-গ্রিন টি চুলের বৃদ্ধির জন্য অন্যতম সেরা এবং সহজলভ্য একটি পণ্য। এটি চুল পড়া প্রতিরোধ করে এবং পুনরায় চুল গজাতে সাহায্য করে। 

দুই টেবিল চামচ গ্রিন টি, 1 টেবিল চামচ নারিকেল তেল, একটি ডিমের কুসুম, 1 টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে চুলে প্রয়োগ করলে দেখা যাবে এটি চুল পড়া বন্ধ করবে এবং চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

৯। আমলকি-চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপায় গুলোর মধ্যে সবার আগে আসে আমলকির কথা। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি যা চুলের বৃদ্ধিতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। আমলকির গুঁড়ো নিয়ে হালকা গরম করা নারিকেল তেল মিশিয়ে তা চুলে প্রয়োগ করলে দেখা যাবে চুলের খুশকি সমস্যা দূর হবে এবং চুল প্রাকৃতিক উপায়ে গজাবে।

১০। ঘুম এবং ব্যায়াম-ভালো ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম পুনরায় চুল গজানোর ক্ষেত্রে এবং বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের স্কাল্পে রক্ত সন্তান স্বাভাবিক রাখে এবং পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের ব্রেনকে ফ্রেশ রাখে ফলে এগুলার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।

দ্রুত চুল লম্বা ও ঘন করার ঘরোয়া উপায় জানতে পোস্টটি পড়ুন

চুল নারীর সৌন্দর্য। লম্বা ও ঘন চুল চায়না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কিন্তু নানা কারণে সেটা হয়ে ওঠে না। আজ থাকছে দ্রুত চুল লম্বা ও ঘন করার কিছু ঘরোয়া টিপস বা উপায় ।

* চুলের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিনের কোন বিকল্প নেই। আর এই ভিটামিন সরবরাহ করে বিভিন্ন ধরনের খাবার। প্রয়োজনে ভিটামিন না পেলে চুলের বৃদ্ধি কমে যাবে। এন্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন বি সমৃদ্ধ ওষুধগুলো খেলেও চুল অনেক সময় পুষ্টি পাবে এবং স্বাভাবিক গতিতে বাড়বে।

* পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এতে থাকা পুষ্টি গুণ চুল ঘন লম্বা করতে সাহায্য করে।, নারিকেল তেল লেবুর রস ও পেঁয়াজের রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল যেমন লম্বা হবে তেমনি ঘন হবে।

* চালের পানি চুলের যত্নে বেশ কার্যকর। সারারাত চাল ভিজিয়ে রেখে সে পানি একটি বোতলে ঢেলে চুলে স্প্রে করে দেখুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুল হবে ঘন ও লম্বা।

* ক্যাস্টর অয়েল ও চুলের জন্য অনেক উপকারী বিশেষ করে নতুন চুল গজাতে এটি দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। মাথার ত্বকে আলতো ভাবে অন্য তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন দেখবেন চুল দ্রুত গজাবে।

* 8 থেকে 10 ঘণ্টা মেথি ভিজিয়ে রেখে তা ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট তৈরি করে চুলে ব্যবহার করুন। দেখবেন এতে চুল ঘন ও দ্রুত বাড়ছে।

* চুল ঘনকর্তা চাইলে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কোন বিকল্প নেই। নিয়মিত প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা থিরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। এগুলো মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি করবে তার পাশাপাশি চুল ঘন ও মজবুত করতে সাহায্য করবে।

* চুলে অত্যাধিক তাপ ব্যবহার করা যাবে না এটা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধা প্রাপ্ত হয়।

* নিয়মিত চুল আঁচড়াতে হবে। তাহলে চুলের ফলিকলগুলো আরো সক্রিয় হয়ে চুল দ্রুত ঘন লম্বা হবে।
চুল গজাতে সাহায্য করা খাবারগুলো চিনে নিন-

স্বাস্থ্যকর সুন্দর চুল মানুষের চেহারা ফুটিয়ে তোলে। নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে চুলের কোন জুড়ি নেই তাই অনেকেই চুলে যত্ন করে থাকেন। চুলের যত্ন না করলে চুল পড়ে যেতে পারে। চুল পড়া খুব সাধারন একটি সমস্যা। তবে সঠিক খাবার গ্রহণ করলে চুল পড়া সমস্যাটাকে অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব। 

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই চুলকে মজবুত, স্বাস্থ্যজ্জ্বল করা সম্ভব আর এই খাদ্যাভাসি চুল গজাতে সাহায্য করে।

খাবারের যেসব উপাদান চুলের ঘনত্ব, বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে তা হল প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন এ, সি, ডি, বি, তাছাড়া ওমেগা থ্রি , ফ্যাটি এসিডযুক্ত খাবার, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম ও আশ জাতীয় খাবার। খাদ্যাভাস সঠিক থাকলে চুল ঘন এবং চুলের সমস্যা দূর করা সম্ভব কোন কোন খাবার নিয়মিত তালিকা রাখা উচিত সেগুলো হল-

* ডিম-ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং বায়োটিন রয়েছে। যা চুলের বৃদ্ধির জন্য ও নতুন চুল গজাতে খুবই উপকারী। এছাড়াও ডিমে জিঙ্ক সেলিয়াম রয়েছে তাই নিয়মিত ডিম খাবারে তালিকায় রাখতে পারলে তা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে এবং চুল মজবুত করতে সাহায্য করবে।

* বাদাম, বিভিন্ন বিষ ও নারিকেল চুলের জন্য খুবই উপকারী্ বাদামে থাকা ও মেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড চুল পড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বাদামও বিভিন্ন বিজি আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ও জিংক যার কারণে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

* তিসির বীজ প্রতিদিন অল্প অল্প করে খেলে চুলের জন্য বেশ উপকার পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়ার জন্য নানা ধরনের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা।

* ওটমিল চুল ঘন করতে সাহায্য করে চুলকে স্বাস্থ্যবান ও চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে আয়রন, জিংক, ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। তাছাড়াও এই খাবার গুলো এমন অ্যাসিড উৎপাদনে ভূমিকা রাখা যা চুল বাড়াতে সাহায্য করে।

* পালং শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও আয়রন। সমস্যা প্রতিরোধ করতে এবং চুল ঘন মজবুত করে তুলতে পালং শাক নিয়মিত খাবারের তালিকা রাখা দরকার।

* কমলালেবু, মাল্টা, লেবু, জাম্বুরা ইত্যাদি ফল ভিটামিন সি তে ভরপুর। ভিটামিন সি দেহের জন্য যেমন তেমনি চুলের জন্য ব্যাপক পুষ্টিকর একটি খাবার। তাছাড়া ভিটামিন সি দেহে কোলাজেন তৈরি করে যা চুল বাড়াতে সাহায্য করে এবং চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত মজবুত রাখে ফলে চুল ভেঙে পড়ে না।

* ডাল, শিম, মটরশুঁটি খাবার গুলো উদ্ভিদজাত আমি সে ও খাদ্য আসে ভরপুর যা চুলের বৃদ্ধির জন্য দরকার একটু উপাদান। এ খাবারগুলোতে আছেন নানা ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন আয়রন, বায়োটিন ফলিক এসিড ইত্যাদি যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

* মাছ চুলের পুষ্টি যোগাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। যেমন মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। যা প্রোটিন, ছেলেনিয়াম ভিটামিন ডি থ্রি, ভিটামিন বি এবং আরো অনেক পুষ্টিতে ভরপুর। খাবারের তালিকা তাই বিভিন্ন ধরনের মাছ রাখা দরকার।

মাথায় নতুন চুল গজানোর পরীক্ষিত ও প্রমাণিত ঘরোয়া কার্যকরী উপায় জানুন

মূলত মানুষের বয়স বাড়ার কারণে, বংশগত কারণে এবং পরিবেশের প্রভাবে চুল পড়ে যেতে থাকে। আমাদের মাথার ত্বক বা স্কাল্পে যদি আমরা সঠিক পুষ্টি দিতে পারি তাহলে আবার নতুন করে চুল গজানো সম্ভব। প্রতিটি চুলের গোড়া রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা রয়েছে এটাকে যদি বাড়ানো যায় তাহলে নতুন চুল গজানো সম্ভব। 

তাছাড়া কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেটা অনুসরণ করলে চুল ঝলমলে সুন্দর এবং মজবুত হয়। তাহলে জেনে নেয়া যাক কিছু ঘরোয়া উপায় যেগুলো নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর-

* প্রথম উপায় হলো মেসেজ করা। নিয়মিত চুল মেসেজ করতে হবে তাহলে স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে ও উদ্দীপন হবে। এক টেবিল চামচ ভিটামিন ই নিয়ে মাথায় মেসেজ করতে থাকুন ভিটামিন ই চুলের জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন এর যোগান দেয়। ভিটামিন ই এর সাথে চায়ের নির্যাস যোগ করতে পারেন। 

এ দুটো ভালোভাবে মিশিয়ে হাতের তালু এবং আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথায় চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন তারপর পাঁচ থেকে ছয় মিনিট মেসেজ করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আশ্রয় নিন চুলগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। 

চুল গজানোর জন্য দিনে তিনবার মেসেজ করতে হবে এই নিয়মে কিন্তু বারবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে।

* চুলের গোড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে। ভাইব্রেশন এর মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা যায় তবে নতুন চুল গজানো সম্ভব। বাজারে vibration মেসেজার কিনতে পাওয়া যায়। এর সাহায্যে আপনি স্কাল্পে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভাবরেটিং মেসেজ নিতে পারেন যে জায়গায় বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে সেখানে ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে। 

এভাবে পাশ থেকে দশ মিনিট আপনার কালকে ভাইব্রেট করুন ভালো ফল পেতে এটাও আপনাকে দিনে তিনবার করতে হবে।

* এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেটা আপনার স্কাল্পের মৃত কোষ গুলো ঝরে যেতে সাহায্য করবে। এমনিতো কোষগুলো স্কাল্পের ফলি কল ব্লক করে রাখে যে কারণে নতুন চুল গজানোর পথে বাধা দেয়। কেননা তখন স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন কমে যায় অল্প পরিমান শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় মেসেজের মত করে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন একবার করতে হবে।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন আমি আশা করি আপনারা নতুন চুল গজানোর উপায়, মাথায় চুল গজানোর ঘরোয়া উপায়, দ্রুত চুল লম্বা ও ঘন করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।

এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে এসে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। সবশেষে আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url