গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপায় জানতে পোস্টটি পড়ুন | Rahul IT BD

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপায় জানতে পোস্টটি পড়ুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে ক্লিক করেছেন। কারণ এই আর্টিকেলে এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করি এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপায়
তাই আপনি যদি একজন গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কিভাবে যত্ন নিলে বৃদ্ধি পাবে সে সম্পর্কে না জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাই আর দেরি না করে আসুন এই বিষয় নিয়ে জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকাঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপায়

প্রিয় বন্ধুগণ আমরা অনেকেই গর্ভাবস্থায় মায়ের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে অসচেতন। গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নেওয়া উচিত এবং গর্ভবতী মায়ের ওজন কম থাকলে তার ওজন কিভাবে বাড়ানো উচিত। তার জন্য কি পরিমান পুষ্টিকর খাবার প্রতিদিন গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।

এজন্য আবার আমরা অনেকেই এ সংক্রান্ত বিষয় জানার জন্য গুগলের সার্চ করে থাকি। আপনাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে এই পোস্টটি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে লিখা হয়েছে। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপায় জানতে পোষ্টটি পড়ুন

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গর্ভাবস্থায় সঠিক পরিমাণে ওজন বৃদ্ধি মায়ের এবং গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত জরুরী। এ সময় মায়ের ওজন কতটুকু বাড়বে সেটা নির্ভর করে, গর্ভধারণের আগে তার ওজন কেমন ছিল তার ওপর।

ব্যক্তি বিশেষে এই ওজন বৃদ্ধির পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বৃদ্ধি ১০ থেকে ১২ কেজির মধ্যে থাকে।

গর্ভাবস্থায় শিশুর ওজন বাড়তে থাকে পাশাপাশি মায়ের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে থাকে। গর্ভাবস্থায় মাত্রার চেয়ে বেশি ওজন বেড়ে যাওয়া এবং ঠিকমতো ওজন না বাড়া দুটোই ক্ষতিকর। এমন কিছু হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। অনেক নারী জানেনা গর্ভাবস্থায় কতটুকু ওজন বৃদ্ধি করা উচিত।

অনেকে আবার গর্ভাবস্থায় ডায়েট করেন কিন্তু মনে রাখা দরকার গর্ভাবস্থায় কিছু ওজন বাড়া উচিত। এটি গর্ভস্থ শিশুর মঙ্গলের জন্যই। সাধারণত গর্ভকালীন যে ওজন বাড়ে, তা সন্তান জন্মানোর কিছুদিন পরেই কমে যায়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে ওজনটা যেন অত্যাধিক বৃদ্ধি না পায়।

সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এক থেকে দুই কেজি এবং মাঝের ও শেষ তিন মাস পাঁচ কেজি করে ওজন বাড়তে পারে। গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কারণে মায়ের ওজন বৃদ্ধি পায়। শুধু পেট ভরে খাবার খেলে স্বাস্থ্যবান হওয়া যায় না।

খেয়াল করতে হবে, আপনি যে খাবার খাচ্ছেন সেগুলো সঠিক পুষ্টিকর কিনা।

একজন গর্ভবতী হিসেবে সঠিক পুষ্টিকর খাবার বাছাই করা ও অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপায়। আসুন জেনে নিই কি কি উপায়ে গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

ফরটিফাউড সিরিয়ালস : গর্ভের বাচ্চা ও মায়ের জন্য ফোলেট ও ভিটামিন বি অত্যন্ত জরুরী একটি উপাদান। এই উপাদান পূরণে প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে সিরিয়ালস রাখতে পারেন। বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের সিরিয়ালস পাওয়া যায় আপনার পছন্দসই যেকোনো একটি বাছাই করে নিতে পারেন।

মটরশুটি ও মসুর ডাল: একজন গর্ভবতীর প্রতিদিন ৬০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে মটরশুটি ও মসুর ডাল এর অনেক টাই পূরণ করতে পারে। প্রতিদিন মসুর ডালের পাশাপাশি মটরশুটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ব্রকলি: সবুজ রঙের ফুলকপির মতো দেখতে এই সবজিটি খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম, ফোলেট, ফাইবার, রোগ প্রতিরোধকারী এন্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

দুধ: দুধ যে একটি স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার, সেটা আমরা সবাই জানি। গর্ভের বাচ্চার হার গঠনে দরকার ক্যালসিয়াম। সে ক্যালসিয়ামের চাহিদা দুধ পান করে মেটানো সম্ভব। প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস দুধ পান করার চেষ্টা করুন। এতে গর্ভবতী মায়ের ওজন বৃদ্ধি পাবে।

কলা: পটাশিয়ামের অন্যতম একটি উৎস হল কলা। গর্ভবতী মহিলারা বেশিরভাগ সময়ই দুর্বল অনুভব করে তাই প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টা কলা খেলে এই সমস্যাটা দূর করা সম্ভব। নিয়মিত কলা খেলে গর্ভবতী মায়ের ওজন বৃদ্ধি সম্ভব।

চর্বিবিহীন মাংস: সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন যে কোন মাংস বিশেষ করে লাল মাংস গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়া উচিত। খেয়াল করতে হবে মাংসের সাথে যেন চর্বি না থাকে। মাংস প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। নিয়মিত মাংস খেলে গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি পায়।

ডিম: একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরে অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিনের চাহিদা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ডিম খেলে চাহিদা গুলো পূরণ করা সম্ভব। তাই প্রতিদিন ভালো করে সিদ্ধ করে দুই থেকে তিনটি মুরগির ডিম খাওয়া উচিত। গর্ভবতী মায়ের ওজন বৃদ্ধি পায়।

ওট মিল: স সকালের নাস্তা সিরিয়ালের পাশাপাশি ওটমিল খাওয়া যেতে পারে। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। শর্করার চাহিদা পূরণের সাথে সাথে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে এটি।

পালং শাক: গর্ভবতীদের একটি কমন সমস্যা রক্তশূন্যতা। কারণ একজন গর্ভবতীর নিজের ও তার বাচ্চার জন্য একই সাথে রক্ত উৎপাদন করতে হয়। এজন্য শরীরের রক্তের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পালং শাক বেশি বেশি খাওয়া উচিত। 

সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন পালং শাক খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে যেমন গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর হবে তেমনি তার ওজন বৃদ্ধি ও পাবে।

কমলা: ভিটামিন সি, ফোলেট, ফাইবার ও পানির এক ভালো উৎস কমলা। আপনি চাইলে এটিকে জুস করে খেতে পারেন আবার সরাসরিও খেতে পারেন।

বাদাম: বিভিন্ন ধরনের বাদামে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় বাদাম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। নিয়মিত বাদাম খেলে গর্ভবতী মায়ের পাশাপাশি গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায়। বাদামে রয়েছে জিংক, কপার, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড। 

তাই দৈনিক এক মুঠো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। কাজুবাদাম, কাঠ বাদাম, ও আখরোটে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং বেশ কিছু খনিজ উপাদান যা খেলে গর্ভবতী মায়ের পাশাপাশি বাচ্চারও ওজন বৃদ্ধি পায়।

ঢেঁড়স: গর্ভাবস্থায় সবুজ শাক সবজির উপকারিতা অপরিসীম। গর্ভাবস্থার সবুজ শাকসবজি নিয়মিত খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করা সম্ভব। এর মধ্যে ঢেঁড়স হল এমন একটি সবজি যা খেলে গর্ভবতী মায়ের ওজন বৃদ্ধি পায়। 

তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজি রাখার চেষ্টা করবেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ঢেঁড়শ বা ভেন্ডি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

কুমড়ো বিচি: গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের মূল খাবারের পাশাপাশি হালকা খাবার খাওয়া উচিত। খাদ্য তালিকায় কুমড়োর বিসি যোগ করলে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিংক সহ নানা খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। শরীরের মাংসপেশীর দৃঢ়তা ঠিক রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি। 

তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এক কাপ পরিমাণ কুমড়ার বিচি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে গর্ভবতী মায়ের ওজন বৃদ্ধি পাবে।

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন এবং শিশুর ওজন বাড়ানোর উপায়  

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের প্রোটিন, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম যুক্ত এবং আয়রন জাতীয় খাবার তার খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এ সমস্ত ভিটামিনযুক্ত খাবার এর মধ্যে যদি একটি বাদ পড়ে যায় তাহলে গর্ভাবস্থায় শিশুর ওজন বাড়বে না। 

তাই গর্ভাবস্থায় একজন মা যদি তার সন্তানের ওজন বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা উচিত হবে। 

একজন মায়ের খাবারের তালিকায় যদি ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের মাত্রা কম থাকে তাহলে যেমন রক্তশূন্যতা দেখা দিবে তেমনি শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি করবে। 

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে পরিমাণ মতো তা না হলে শিশুর হাড় মজবুত হবে না, তাই শিশুর হাড় মজবুত গর্ভবতী মাকে অবশ্যই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন একজন গর্ভবতী মাকে গ্লাস থেকে এক গ্লাস দুধ খেতে হবে। 

প্রোটিনের খুব ভালো উৎস হিসেবে চর্বি ছাড়া মুরগির মাংস খেতে পারেন, গরু বা খাসির মাংস খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। 

চর্বি ছাড়া মুরগির মাংস খেতে পারলে খেতে যেমন প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রেন্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য অনেক ভালো। 

এরপরে সবুজ শাকসবজি এবং প্রচুর ফলমূল খেতে হবে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস রয়েছে যেটা আমাদের শিশু ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরী। সে সময় আপনি ভুট্টা গমের রুটি লাল চিড়া রয়েছে সেটা খেতে পারেন অনেকেই রুটি খেতে পারে না তারা চিড়া খেতে পারেন। 

সামুদ্রিকমাছ খেতে পারেন কারণ সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণে ভালো ফ্যাট রয়েছে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে এবং ওমেগা থ্রি সম্পর্কে আমরা অনেকে অবগত রয়েছি সামুদ্রিক মাছের প্রচুর অমেগা থ্রি রয়েছে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ফ্রেন্ড ডেভেলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

তবে সামাজিক মাছটা সপ্তাহে একদিন দুদিন খাওয়া যেতে পারে কন্টিনিউ খাওয়ার দরকার নেই। এরপরে রয়েছে কলা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন আপনার শরীরের যে পরিমাণ আয়রন পর্যন্ত আপনি নিয়মিত এক থেকে দুইটি কলা খেলে সে হারুনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। 

এর ফলে আপনার রক্তশূন্যতা দূর হবে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গর্ভবতী মা নিয়মিত খেজুর খেতে পারে খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে এটি একটি পুষ্টিকর খাবার, এই খাবারটি গ্রহণ করলে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে তেমনি গর্ভ অবস্থায় শিশুর ওজন বৃদ্ধি পাবে। 

গর্ভাবস্থায় বাদাম খুবই কার্যকর একটি খাবার আপনি চাইলে কাজুবাদাম চিনাবাদাম কাঠ বাদাম এগুলো মিক্স করে খেতে পারেন এটা আপনার শরীর স্বাস্থ্য যেমন ভালো রাখবে তেমনি গর্ভাবস্থায় সন্তানের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি বেন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুবই ভালো হবে। 

ডাল বা বিচ জাতীয় যে সমস্ত খাবার গুলো রয়েছে এ সমস্ত খাবারগুলো খাবারে তালিকায় গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাকে দেওয়া উচিত বা রাখা উচিত, ডাল যেমন শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে স্বয়ং ভূমিকা রাখবে তেমনি প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। 

তাই গর্ভাবস্থায় সন্তানের ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার ডাল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে বা খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে ঘন ডাল খেলে আরো বেশি ভালো হয়। 

বীজ জাতীয় যে সমস্ত খাবার রয়েছে সিমের বিচি কুমড়োর বিচি এ ধরনের বিচিগুলো খাওয়া যেতে পারে এগুলো খেলে যেমন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন তেমনি ভাবে আপনার বাচ্চার জন্যও অনেক পুষ্টিকর হবে।

কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে ও নবজাতকের ওজন বৃদ্ধির উপায়

গর্ভবতী মায়েদের ঘুমটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। যে সমস্ত কাভারে খুব ভালো পরিমাণ আয়রন রয়েছে প্রোটিন রয়েছে সে সমস্ত খাবার গুলো বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত আপনাকে এ ধরনের খাবারগুলো খাবারে তালিকায় রাখতে হবে। 

অতিরিক্ত টেনশনে থাকা যাবে না অতিরিক্ত টেনশনে থাকলে আপনার যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি তেমনি আপনার গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি হতে বাধা প্রদান করবে। তাই চেষ্টা করবেন টেনশন ফ্রি থাকার জন্য এবং আনন্দে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করবেন। 

বেশি স্ট্রেস নেওয়া উচিত হবে না কারণ বেশি এক্সপ্রেস নিলে আপনার বাচ্চার জন্য সেটি ভালো নাও হতে পারে, রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করবেন বিশেষ করে বাচ্চা যখন গর্ভে থাকবে তখন স্ট্রেস কম রাখার চেষ্টা করবেন। 

প্রিয় মানুষদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করবেন যাদের সাথে কথা বলতে আপনার ভালো লাগবে তাদের কথা শুনতে ভালো লাগবে যারা আপনাকে ভালো রাখতে পারবে। 

তাদের কাছাকাছি তাহলে টেনশন হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেকটা কম থাকবে কারণ তারা আপনাকে সবসময় পরিস্থিতি অনুযায়ী ভালো রাখার চেষ্টা করবে। 

আপনি পজিটিভ চিন্তাভাবনা করবেন সব সময় অনেকটা সেলফ ডিপেন্ডেন্ট থাকার চেষ্টা করবেন এতে আপনি যেমন ভাল থাকবেন তেমনি আপনার শিশু ভালো থাকবে পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়বে। 

শুধু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে বাচ্চার ওজন বাড়বে ব্যাপারটা এমনটা নয়, এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই চাপমুক্ত, টেনশনমুক্ত থাকতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন একটা সুস্থ বাচ্চা এবং ভালো ওজনের বাচ্চা নিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই টাইম মেনটেন করে খেতে হবে। 

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে প্রচুর পরিমাণ ঘুমাতে হবে রিলাক্স থাকতে হবে তবেই আপনি সুস্থ বাচ্চা পরিমাণ মতো ওজন সহকারে পেতে পারেন।

বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির খাবার এবং শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায়-সম্পর্কে জেনে নিন

সর্বপ্রথম যে খাবারের কথা বলব সেটা হল দুধ কারণ এর মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম। দুধ এ সমস্ত ভিটামিনস এর ভালো একটি উৎস। তাই নিয়মিত বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির জন্য খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর এই খাবার রাখতে পারেন। 

এর পরে রয়েছে ডিম ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি ডিম খাওয়া খুবই জরুরী। শিশুকে শাকসবজি ফলমূল খাওয়াতে হবে যেটা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। 

বাচ্চাদেরকে তৈলাক্ত জাতীয় মাছ খাওয়াতে পারেন এ পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন সামুদ্রিক মাছের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভালো ফ্যাট এবং প্রচুর উচ্চমানের প্রোটিন যা বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে পাশাপাশি ব্রেন ও স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করবে। 

শিশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত একটি থেকে দুইটি কলা খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন এর পাশাপাশি ভালো মানের খেজুর অর্থাৎ অর্গানিক খেজুর খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন। তারপরে আপনি বাচ্চাকে বিভিন্ন ধরনের বাদাম রয়েছে যেমন চিনা বাদাম কাজু বাদাম কাঠবাদাম। 

এ সমস্ত বাদামগুলো আপনি একসাথে নিয়মিত কিছু পরিমাণ খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন শিশু ফলে ওজন বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি ব্রেন ভালো থাকবে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকবে। তাই বাচ্চারা যাতে নিয়মিত এই সমস্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আশা করি আপনারা কিভাবে গর্ব অবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। 

এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। আমি আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করি আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url