ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম নিশ্চিত সমাধান! | Rahul IT BD

ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম নিশ্চিত সমাধান!

প্রিয় পাঠক আপনি কি ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম, ঠোঁট গোলাপি করার ক্রিম, কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে ক্লিক করেছেন। কারণ এই আর্টিকেলটি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে।
ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
তাই আপনি যদি এসব সম্পর্কে একেবারেই ধারণা না থাকে, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই পোষ্টটি অনেক বেশি ইনফরমেটিভ হবে। তাই আর বেশি দেরি না করে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করি আপনার উপকৃত হবেন।

ভূমিকাঃছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

প্রিয় বন্ধুগণ আমাদের অনেকেই ঠোঁটের কালচে ভাবের কারণে অস্বস্তি বোধ করি। অযত্ন অবহেলার কারণে এটা হয়ে থাকে আবার জেনেটিক কারণে এটা হতেও পারে। আপনারা এই সমস্যা সমাধান পেতে অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে যে কিভাবে এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

যত্নের সাথে নির্ধারিত উপায় অনুসরণ করে, ছেলেরা ঠোঁটের কালো দাগ নির্মূল করতে পারেন। নিয়মিত আমাদের টিপস প্রয়োগ করুন এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। এই সহজ পদ্ধতিগুলো আপনার ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনবে। 

আজকের এই পোস্টটি সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য প্রদান করেছে। আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের আর্টিকেলটা অনেক বেশি ইনফরমেটিভ হবে। সুতরাং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানুন

ঠোঁটের কালো দাগের কারণ

ঠোঁটের কালো দাগ ছেলেদের অনেকের মধ্যেই এক সাধারণ সমস্যা। এই ধরনের সমস্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। চলুন দেখা যাক কিছু প্রধান কারণ।

জীবনযাত্রার প্রভাব

সূর্যের তাপ, ধূমপানের অভ্যাস, এবং অনিয়মিত ঘুম ঠোঁটের কালো দাগের জন্য দায়ী হতে পারে। এসব অভ্যাস পরিবর্তন করে নিজের ঠোঁটকে সুস্থ রাখতে পারেন।

অনুজীবের সংক্রমণ

ঠোঁটের আসল রং চলে যাতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে। প্রতিরোধের জন্য উচিত ঠোঁট পরিষ্কার রাখা এবং চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া।

পুষ্টিগত ঘাটতি

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবে ঠোঁট কালো হতে পারে। সঠিক খাবার এবং পুষ্টি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ এই সমস্যা সমাধানে সহায়ক।

গৃহস্থালী প্রতিকার

ঠোঁটের কালো দাগ নিয়ে চিন্তিত? গৃহস্থালী প্রতিকারে আপনার সমাধান আছে। এগুলি সহজ এবং কার্যকর। আসুন, জানি কীভাবে এই দাগ দূর করতে পারি।

ন্যাচারাল লিপ বাম

ঘরে বানানো ন্যাচারাল লিপ বামে উপকার অনেক। শুধু মধু ও ভিটামিন ই তেল মিশান। এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগান, কালো দাগ কমবে।

চিনির স্ক্রাব

চিনি ও লেবুর রস দিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করুন। এটি ঠোঁটে ঘষুন সপ্তাহে দুবার। ঠোঁটের মৃত কোষ দূর হবে, ঠোঁট হবে মোলায়েম।

হাইড্রেশনের গুরুত্ব

প্রতিদিন যথেষ্ট পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ঠোঁটের কালো দাগ রোধ করে এবং হাইড্রেশন বজায় রাখে।

পেশাদার চিকিৎসাপদ্ধতি

ঠোঁটের কালো দাগ অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ। পেশাদার চিকিৎসা এই প্রতিকূলতা দূর করতে পারে। আসুন জেনে নিই কীভাবে।

লেজার থেরাপির সুবিধা

লেজার থেরাপি হল আধুনিক এবং কার্যকর পদ্ধতি। এটি ব্যবহার করে দ্রুত দাগ হ্রাস পাওয়া যায়।

  • ত্বকের গভীরে কাজ করে।
  • কম সময়ে ফলাফল।
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।

মেডিকেটেড লিপ প্রোডাক্টস

বাজারে বিশেষ মেডিকেটেড ঠোঁটের পণ্য পাওয়া যায়। এগুলি ব্যবহারে ঠোঁটের সুস্থতা নিশ্চিত হয়।

  • ভিটামিন যুক্ত।
  • আর্দ্রতা বজায় রাখে।
  • কালো দাগ কমায়।

জীবনযাত্রা ও ডায়েট পরিবর্তন

আপনার জীবনযাত্রা ও ডায়েট ঠিক করে সমস্যার মূলে যেতে পারেন। ঠোঁটের যত্নে এই পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ।

ধূমপান ও মদ্যপানের পরিত্যাগ

  • ধূমপান এর নিকোটিন ঠোঁট কালচে করে।
  • মদ্যপান শরীরের জলীয় অংশ কমায়, ফাটা দাগ সৃষ্টি করে।
  • দুটি অভ্যাস ছাড়লে ঠোঁট উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।

পুষ্টিকর আহার

পুষ্টিকর আহারের অবদান অপরিসীম। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নির্বাচন করুন।

খাবারের ধরণউপকারিতা
ফলভিটামিন সি সমৃদ্ধ, ত্বক ভালো রাখে।
সবজিঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, কোষের যত্ন নেয়।
পানিশরীর এবং ঠোঁটকে হাইড্রেট রাখে।

নিয়মিত পানি পান এবং পুষ্টি সম্বলিত খাবার ঠোঁটের যত্নে আশীর্বাদ।

সচেতনতা ও প্রতিরোধ

দৈনিক জীবনে সচেতনতা ও প্রতিরোধ অনুসরণ করে ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা সম্ভব। সহজ কিছু পদক্ষেপে ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।

সান প্রটেকশন ব্যবহার

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ঠোঁটের ত্বকে কালো দাগ তৈরি করে। এ থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন লাগান। ঠোঁটের জন্য বিশেষ সান প্রটেকটিভ প্রোডাক্ট খুঁজে বের করুন।

ঠোঁটের যত্নে নিয়মিততা

  • ঠোঁট ভেজা রাখুন, শুকনো না হতে দিন।
  • ঠোঁটের বাম নিয়মিত লাগান।
  • হাইড্রেশন ঠিক রাখুন, পানি অনেক পান করুন।
  • ঠোঁটের স্ক্রাবিং সপ্তাহে একবার করুন।

সমর্থন এবং পরামর্শ

ঠোঁটের যত্নে যে কেউ হোক না কেন, সতর্ক এবং সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সমর্থন এবং পরামর্শ সেই সিঁড়ির মতো যা ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ হ্রাসে সাহায্য করে। সম্যক জ্ঞান এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শের মাধ্যমে ঠোঁটকে করুন মসৃণ এবং আরও প্রাণবন্ত।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত

  • অস্বাভাবিক ফোলা বা খুব বেশি দাগ দেখা দিলে।
  • ঠোঁটে প্রদাহ বা যন্ত্রণা থাকলে।
  • দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তন যা ঘরোয়া প্রতিকারে সাড়া দেয় না।

উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস

নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিন ভালো ফলাফলের জন্য। উৎসাহ ধরে রেখে চিকিৎসা অবলম্বন করুন। ভালো দেখানোর ইচ্ছা আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত

উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস

Frequently Asked Questions On ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়

কিভাবে ঠোঁটের কালো দাগ হ্রাস করবেন?

ঠোঁটের কালো দাগ হ্রাস করতে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন লেবুর রস, মধু, ও আখের গুড় ব্যবহার করুন। রাতে শোবার আগে, মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন।

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় কী?

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য বিটের রস, চিনির স্ক্রাব বা নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ঠোঁটের জন্য প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

ঠোঁটের কালো দাগের জন্য কোন জেল সেরা?

এলোভেরা জেল ঠোঁটের কালো দাগ হ্রাস করতে উপকারী। প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে এলোভেরা জেল লাগান। এটি ত্বকের পুনর্জীবন ও ময়শ্চারাইজেশনে সাহায্য করে।

ঠোঁটের কালো দাগ কেন হয়?

ঠোঁটের কালো দাগের প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত সূর্যের এক্সপোজার, ধূমপান, ডিহাইড্রেশন, ও ভিটামিনের অভাব। সুস্থ জীবনধারা অনুসরণ করলে এড়ানো সম্ভব।

শীত বা গরমকালে আমাদের অনেকে ঠোঁট ফাটা বা কাজ ভাব দেখা যায়। বিশেষ করে শীতকালে ঠোঁটের সমস্যাটি কমবেশি সবারই দেখা যায়। ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে সবসময়ই আমরা শীতকালে মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা ভেসলিন ব্যবহার করে থাকি। 

যা শুধু ঠোঁটকে কোমর বা নরম রাখতে সাহায্য করে। আমাদের ঠোঁটে সেন্সেটিভ মেমব্রেন আবরণের একটি পাতলা লেয়ার থাকে তাই একাধিক লেয়ার না থাকায় ঠোঁট ফাটা বা কালসে ভাব দেখা যায়। সেই সাথে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। 

অনেকে ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের কাছে ভাব দূর করার চেষ্টা করে থাকেন তবে অনেক সময় সেটা কাজ না করেও থাকতে পারে। 

হ্যাঁ সে ক্ষেত্রে কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। যখন ঠোঁটে কালো দাগের কথা আসে তখন সঠিক কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন তা খোঁজা একটু কঠিন মনে হয়। 

কেননা ঠোঁটের কালো দাগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে, কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকেও ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। কিন্তু এখন লিভ ব্রাইট করার জন্য বাজারে বেশ কিছু ক্রিম এসেছে এর মধ্যে লিপ স্লিপিং মাস্ক, ক্লোভেট, স্ক্রু ক্রিম, বেশ জনপ্রিয়। 

আপনারা ত্বকের যত্নের ডেইলি রুটিনে ক্রিম গুলো এড করে নিতে পারেন। এর ক্রিমগুলো ঠোঁটের পিগমেন্টেশন রিমুভ করে এবং ঠোট কে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে কারণ এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি।

ঠোঁট গোলাপি করার ক্রিম ছেলেদের জেনে নেওয়া যাক

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঠোঁটের যত্নের ক্রিম পাওয়া যায়। তবে স্কিনের কোন ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ক্রিম ব্যবহার করলে তা স্কিনের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। 

যারা কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার জন্য যেসব ক্রিম পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো-
SCRU Cream lips scrub-ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার জন্য এটি খুবই কার্যকরী একটি প্রোডাক্ট। এটি ঠোঁটের ওপর হালকা ভাবে মেসেজ করতে হয়। 

এটি ইউসের সাথে সাথে চেঞ্জিং দেখতে পাওয়া যায়। দেওয়ার সাথে সাথে ঠোঁটের অতিরিক্ত ময়লা উঠে আসে কালচে ভাব দূর হয়ে ঠোঁট গোলাপি হয়। 

ঠোঁটের মরা কালো চামড়া বের করে আনে ফলে সিগারেট খাওয়ার ফলে যে কালচে ভাব হয়ে যায় সেটিও চলে যায়।

বর্তমানে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও ঠোঁটে যত্নে বিভিন্ন ক্রিম পাওয়া যায় ।ছেলেদের ঠোঁট গোলাপি করার ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে ছেলেদের ঠোঁট গোলাপি করে নিতে পারবেন । অনেক ছেলেরাই রয়েছেন যাদের ঠোঁট একটু শুষ্ক ভাব বা ফাটা ভাব থাকে। 

সকল ছেলেরা ছেলেদের ঠোট গোলাপি করার জন্য ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। লিপ ব্রাইট করার জন্য বাজারে বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে এসবের মধ্যে লিপ স্লিপিং মাস্ক, ক্লোভেট, স্ক্রু ক্রিম, বেশ জনপ্রিয়। ডেইলি রুটিনে ক্রিমগুলো অ্যাড করে নিতে পারেন। 

এই ক্রিমগুলো ঠোঁটের পিগমেন্টেশন রিমুভ করে এবং ঠোঁটকে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে কারণ এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি।

ঠোঁটে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট বা লিপস্টিক ইউজ করার কারণে ঠোট কালো হয়ে যায়। এ কালো ঠোঁটকে লাল করার বা গোলাপি করার জন্য অনেকে অনেক ধরনের ক্রিম ইউজ করে থাকেন। অনেকে আবার ক্রিম ইউজ করে কাঙ্খিত ফলাফল না পেয়ে হতাশ হয়ে যান। 

ঠোঁটকে লাল বা গোলাপি করার জন্য বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে তবে সে ক্রিমটা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে সেটা কিন্তু নয়। কারণ একেক জনের ত্বকের ধরন একেক রকম। এজন্য সঠিক ক্রিমটি বাছাই করতে হবে। স্ক্রু লিপস স্ক্রাব ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী একটি প্রোডাক্ট। 

স্ক্রু ক্রিম যার ঠোটের উপর হালকা ভাবে মেসেজ করতে হয়। খুব সফট এটি হিউজের সাথে সাথে চেঞ্জিং দেখা যায়। ময়লা উঠে আসে এতে কালচে ভাব বের হয়ে ঠোঁট গোলাপি হয়। মরা কালো চামড়া বের হয়ে আনে। এ ক্রিমটির বিশ্বজুড়ে অনেক রিভিউ আছে।

* এটি ব্যবহারের লিপ পিঙ্ক হবে
* সিগারেটের কালো দাগ যাবে ঠোঁট থেকে
* শীত ও অন্য সময় ভালো থাকবে লিভ কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

এই ক্রিমটি লাগিয়ে ভালোভাবে ক্রাব করতে হয়। এতে ঠোটের ময়লা উঠে ফাটা ও ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়। এটা প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে লিপে এপ্লাই করতে হবে সকালে উঠে লিভস করে ফেলতে হবে।

কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

আমরা কমবেশি অনেকে ঠোঁটে লিপস্টিক ইউজ করি। আর এ কারণে ঠোঁট কালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কালো ঠোঁটকে আমরা লাল বা গোলাপি করার জন্য অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকি। কালো ঠোঁট লাল বা গোলাপি করার অনেক উপায় রয়েছে।

*প্রথমে ঠোঁটের মেকআপ যথাযথভাবে পরিষ্কার করতে হবে। আমরা যারা ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করি তারা সেই লিপস্টিক যথাযথভাবে পরিষ্কার করি না। যে কারণে ঠোঁট আস্তে আস্তে কালচে হয়ে যায়। 

তাই লিপস্টিক ব্যবহার করলেও তা সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এজন্য ঠোঁটে ডাবল ক্লিনজিং করা বেশ দরকার।

* ঠোটে স্ক্রাব ব্যবহার বন্ধ করা। যত মিহিদানাই হোক না কেন তার ঠোঁটের জন্য ভালো না। ঠোট আমাদের শরীর বা মুখের ত্বকের চেয়ে অনেক বেশি পাতলা। 

ত্বকে যে সেলুলাইলিজ থাকে ১৬ টি ঠোঁটে তা থাকে মাত্র পাঁচটি। তাই মুখের জন্য যে স্ক্রাবটি ভালো কাজ করবে সেটি ঠোটের জন্যও করতে পারে।
ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি ইউজ করা ভালো।

* ঠোঁটে এস পি এফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা। বর্তমান সময়ে এসপিএফ যুক্ত অনেক ধরনের লিপস্টিক বা লিপবাম পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে কিছুটা ঠোঁট কালো হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

* ফিজিকেল সান প্রটেকশন নিতে হবে। দীর্ঘক্ষণ যদি রোধে থাকা হয় তাহলে অবশ্যই ফিজিক্যাল সান প্রটেকশন অর্থাৎ সানগ্লাস, চওড়া হ্যাট, ছাতা বা মাস্ক ব্যবহার করা খুবই জরুরী।

* নকল, নিম্নমানের বা মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা। একটি ভালো মানের লিপস্টিক যদি সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করা হয় তাহলেও তা দুই বছরের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। 

তাই যে প্রোডাক্টটি ঠোটে ব্যবহার করা হয় তা যেন অবশ্যই মেয়াদ উত্তীর্ণ না হয়। যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয় তাহলেও তা ঠোঁটকে দিনে দিনে কালচে করে ফেলে।

* এলার্জিক বা ইরিটেটিং উপাদান এড়িয়ে চলা। ঠোঁটে যে লিপ প্রোডাক্ট ইউজ করা হোক না কেন সেটা যদি শুট না করে তাহলে সেটা এরিয়া চলতে হবে। ঠোঁটে ইরিটেটিং হয় এমন কোন প্রোডাক্ট ইউজ করা যাবে না এতে করে ঠোঁট ধীরে ধীরে কালো হয়ে যাবে।

* ঠোঁট বারবার জিব্বা দিয়ে ভেজানো যাবে না।
* তাছাড়া ঠোঁটের মরা চামড়া হাত দিয়ে টেনে উঠানো যাবে না।

* লিপ স্ল্যবিং-প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ঠোঁটে পুরু করে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিতে হবে এবং সকালে উঠে তা ফেসওয়াশ দিয়ে বা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে দিনের বেলা তো ভাজলিন ব্যবহার করলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না।

* নিজের এশিয়ান বৈশিষ্ট্যটা মেনে নেওয়া। সাউথ এশিয়ান যারা তারা জেনেটিকলি অধিক মেলানিন এর অধিকারী। অধিক মেলানিনের ছাপ যেমন আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে তেমনি ঠোটেও প্রভাব ফেলে থাকে। 

এজন্য ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। ছোটবেলায় ঠোঁটের রং না থাকলেও তা ধীরে ধীরে কালচে হয়ে যায়। তাছাড়া অনেক ধরনের মেডিসিন খাওয়ার কারণেও সেই প্রভাব ঠোঁটে পড়তে পারে।

ঠোঁট গোলাপি করার ঘরোয়া উপায়

প্রতিদিনের ধুলোবালি বা ময়লা থেকে ঠোট ধীরে ধীরে কালচে হতে শুরু করে। আবার কেউ কেউ রোজ বাইরে যাবার সময় লিপস্টিক বা অন্য কোন লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। যা সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে পরিষ্কার না করার কারণে ধীরে ধীরে ঠোঁট কালো হতে থাকে। 

তাছাড়া লিপস্টিকে থাকা রাসায়নিক কিছু উপাদান ঠোঁটকে কালো করে থাকে। তাই ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ঠোঁট গোলাপি করা সম্ভব।

* একটু কটন বলে সামান্য পরিমাণ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ভিজিয়ে ঠোটোর কালচে জায়গায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে তারপরে কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করে আলতো ভাবে মেসেজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার করা যেতে পারে। 

এটি ঠোঁটে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ঠোটের কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে গোলাপি করে থাকে। আপেল সিডার ভিনেগার ঠোঁটের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

* এক থেকে দুই ফোঁটা মধুর মধ্যে দুই তিন ফোটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পুরো ঠোঁটে লাগিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি দশ মিনিট ঠোটে রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা যাবে। লেবুর রস ঠোটে ব্লিচ বা এক্সফলিওট হিসেবে কাজ করে। 

ঠোঁটে কোন সংক্রমণ থাকলে লেবু এন্টি সেপটিক হিসেবেও কাজ করে। মধু ঠোঁটে রুক্ষতা কমিয়ে ঠোঁটকে মসৃণ ও কোমল করতে সাহায্য করে।

* এক টুকরো বিট রুট কেটে কয়েক মিনিট ফ্রিজে রেখে তা বের করে ঠোঁটে আলতো ভাবে মেসেজ করতে হবে। বিট রুটের রস পাঁচ মিনিট ঠোঁটে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

এটি নিয়মিত ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁট গোলাপি হবে। ঠোটের কালো ভাব দূর করতে বিট রুট বেশ উপকারী। এটি ঠোঁটের মরা চামড়া উঠিয়ে ঠোঁটকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন আমি আশা করি আপনারা ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার উপায় বিভিন্ন ধরনের ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।

এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। সবশেষে আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url